আবীর ঘোষাল, কলকাতা: শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস আরও বেশি সংখ্যায় রাস্তায় নামাচ্ছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। একাধিক এসি বাস বিভিন্ন ডিপোয় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রয়েছে। বহু ক্ষেত্রে যাত্রী না মেলায় বাস চালিয়ে লাভ হবে না বলে ডিপোয় রাখা হয়েছিল। এবার চাহিদা বাড়ছে। তাই এই সব বাস রাস্তায় নামানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য পরিবহণ দফতর।
মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুলাই মাস জুড়ে ১০০টিরও বেশি সরকারি বাস রাস্তায় পরিষেবা দেবে। তার মধ্যে বেশিরভাগই এসি বাস। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, এখনও প্রায় ৬০ শতাংশ এসি বাস ডিপোয় রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে ভলভোর ৬৩টি বাসের মধ্যে ২৫ টি রাস্তায় চলছে। বাকি অশোক লেল্যান্ডের ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১৩০টি বাস রাস্তায় চলে। যদিও ডিপোয় থাকা বাসগুলির মধ্যে কিছু বাসকে সারিয়ে নিয়ে রাস্তায় নামানো হবে।
সূত্রের খবর, চলতি মে মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই ধাপে ধাপে একগুচ্ছ এসি বাস রাস্তায় নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনাও সেরে ফেলেছে তারা। শহরের পরিবহণ পরিষেবার উপরে চাপ কমাতে এমনিতেই এপ্রিল মাসের জুড়ে রাজ্যে ১০০টির বেশি সরকারি বাস নামানো হবে। সেই ১০০টির মধ্যে থাকবে অনেক সংখ্যায় এসি বাস। এই বাসগুলির মধ্যে রয়েছে এসি ভলভো ও সাধারণ বাতানুকূল বাস।
চলতে চলতে বাসের এসি বিকল হয়ে গেলে, অত্যাধিক গরমে বাসের ভিতর ঠিক মতো ঠান্ডা না হলে যাত্রীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে চালককে। আবার এসি বাসগুলির রক্ষাণবেক্ষণেও বিপুল খরচ। এদিকে সরকারি বাস পরিষেবাও কমেছে। তার সঙ্গে কমেছে বেসরকারি বাসও। যার জেরে সমস্যার পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। সকালে তাঁরা অফিস যাওয়ার সময় বাস পেলেও দুপুরের দিকে বাস অমিল হয়ে পড়ছে। এমনকী, অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময়ও বাস পাচ্ছেন না তাঁরা। কারণ,গরমের চোটে বাস আর ট্রিপ খাটছে না। তাই অফিস ফেরত যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘প্রচণ্ড গরমে দুপুরের দিকে রাস্তা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। বাসে যাত্রী হচ্ছেই না। বিকেলের পর অনেক বাস চালক আর গাড়ি চালাতে চাইছেন না। তাই গাড়ির সংখ্যা রোজ কমছে।’’ বাস সংগঠনের নেতা রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘এই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিতে আমরাও কি করে সারাক্ষণ বাস চালাতে বলি। তবে গরম একটু কমলে আগের মতোই বাস চলবে।’’ এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন অনেক বাস নিয়েছে ভোটের কাজে।