#কলকাতা: ভর্তির মেধাতালিকায় প্রথমেই সানি লিওনের নাম থাকাকে কেন্দ্র করে হাসির ফোয়ারা উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মজা করে ট্যুইট করেছেন অভিনেত্রী। সেই টুইট এই মুহূর্তে হাসির খোরাক সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা একদমই ভালভাবে নিচ্ছে না আশুতোষ কলেজের পড়ুয়ারা। তদন্ত চাইছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। শত বছরের ঐতিহ্যশালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এভাবে মজা করা মেনে নিচ্ছেনা পড়ুয়ারা। কলেজের বদনাম হচ্ছে বলেও মত তাদের। এই পরিস্থিতিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্ত চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। শুক্রবারই কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল অভিযোগ দায়ের করেছেন ভবানীপুর থানা ও লালবাজারের সাইবার থানায়।
পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে কে বা কারা এই নিন্দনীয় কাজ করেছে তাকে গ্রেফতার করুক, দাবি পড়ুয়াদের।
See you all in college next semester!!! Hope your in my class 😉 ??
— sunnyleone (@SunnyLeone) August 28, 2020
মেধা তালিকায় প্রথমেই তার নাম থাকায় মজা করে টুইট করতে ছাড়েননি সানি লিওনি। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, “পরের সেমিস্টার এ ক্লাসে তোমাদের সবার সঙ্গে দেখা হচ্ছে।” সঙ্গে হাসির ইমোজি। পোস্ট করার কিছু সময়ের মধ্যেই ভাইরাল এই ট্যুইট।
কিন্তু কেন হল এমন?
কলেজ সূত্রে খবর, কোভিড পরিস্থিতিতে স্নাতক স্তরে ভর্তির অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি রয়েছে সেখানে চাইলে যে কোনও নাম বসিয়ে আবেদন করা যেতে পারে। প্রাথমিক এই ধাপে নাম বা রেজাল্ট যাচাইয়ের কোনও উপায় নেই। সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে লিস্ট বেরিয়েছে তাকে মেধা তালিকা বলতে নারাজ কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাদের ভাষায় এটি ‘ভ্যালিড অ্যাপ্লিকেশন লিস্ট’। তাই সানি লিওনের নাম কেউ যে নিছক মজা করেই বসিয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কেন এমন করা হল তারই তদন্ত চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এরকম মজা একদমই পছন্দ নয় পড়ুয়াদের। কলেজের জুলজি অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সঞ্জয় দাস বলেন, “কেউ একটা মজার ছলেই এটা করেছে। তবে আমাদের কলেজকে নিয়ে যে ট্রোল হচ্ছে সেটা খুবই লজ্জাজনক। এটা ঐতিহ্যশালী কলেজ। খুব খারাপ লাগছে। ছাত্র হিসেবে আমি দুঃখিত। যে এটা করেছে পুলিশ তাকে খুঁজে বের করুক।”
সঞ্জয়ের সাথে একমত তৃতীয় বর্ষের উত্তরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর কথায়, “সানি লিওন আমাদের কলেজের নাম ব্যবহার করে ট্যুইট করেননি। কেউ হয়তো মজা করেছে। তবু আমরা অভিযোগ জানাচ্ছি পুলিশকে। কলেজ আমাদের কাছে গর্বের বিষয়।” একই বক্তব্য তৃতীয় বর্ষের সুরজিৎ সরকারেরও। তার স্পষ্ট বক্তব্য, “যে বা যারা এটা করেছে তারা খুব খারাপ করছে। ১০০ বছরের বেশি পুরনো একটা কলেজের এরকম বদনাম করা অনুচিত।”
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হবে। আইপি অ্যাড্রেসের সূত্র ধরে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করা হবে।
SUJOY PAL