Tag Archives: Kolkata Police

Garden Reach illegal construction: গার্ডেনরিচের বেআইনি নির্মাণের আড়ালে কী ঘটত? তাজ্জব পুলিশও! ‘সেন্টার’ ঘিরে যা চলত…

কলকাতা: বেআইনি নির্মাণে এবার কল সেন্টার যোগ। গার্ডেনরিচ এলাকায় গজিয়ে ওঠা একাধিক কল সেন্টারের লাভের টাকা বেআইনি নির্মাণে লগ্নি করা হয় বলে অভিযোগ। ধৃত প্রমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের সঙ্গে একাধিক কল সেন্টারের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। কল সেন্টারের হয়ে মানি রিসিভিং-এর কাজ করতেন ওয়াসিম। স্থানীয় কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়ের কল সেন্টারের মানি রিসিভিংয়ের কাজ করতেন ওয়াসিম, অভিযোগ এমনই।

বিনিময়ে পেতেন মোটা অঙ্কের কমিশন। সেই টাকা লগ্নি হত বেআইনি নির্মাণে। এছাড়া বিভিন্ন কল সেন্টারের মালিক কালো টাকা সাদা করতে এই সমস্ত বেআইনি নির্মাণে লগ্নি করেছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন ওয়ালেটের মাধ্যমে বিদেশী মুদ্রা এসেছে কল সেন্টারে। রিসিভিং পয়েন্টে ওয়াসিমের মাধ্যমে লেনদেন হত সেই টাকা।

আরও পড়ুন: জানেন, ভারতে প্রথম কত টাকার নোট ছাপা হয়? ৫০০, হাজার কিন্তু নয়, তাহলে? চমকে যাবেন

প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচে বেআইনিভাবে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মৃত্যুও ঘটেছে অনেক। ফতেপুর ব্যানার্জি বাগান লেনের ওই বহুতল যে নিয়ম মেনে তৈরি হচ্ছিল না, তা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: বলুন তো, আরপিএফ ও জিআরপি-র তফাৎ কী? না জানলে কিন্তু অসুবিধায় পড়তে পারেন

শহরের আনাচেকানাচে এমন বেআইনি নির্মাণের বিপদ চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে গার্ডেনরিচের এই দুর্ঘটনা। আর এর পরইক কলকাতার থানাগুলিকে সতর্ক করেছে লালবাজার। সূত্রের খবর, শহরের প্রত্যেকটিল নির্মীয়মাণ বাড়ি, বহুতলে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে যে সেগুলি আইন মেনে তৈরি হচ্ছে কি না। প্রয়োজনে প্রোমোটার বা নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা।

Garden Reach Building Collapse: ঘটনাস্থলে মমতা, মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই গার্ডেনরিচের ভাঙা বহুতলের উদ্ধারকাজ খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা: গার্ডেনরিচে যেখানে বহুতল ভেঙে পড়েছে, সেখানে আজ, সোমবার সকাল সকালই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এদিন সকালে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী ৷ যে হাসপাতালে আহতরা ভর্তি রয়েছেন, সেখানেও যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে জানা গিয়েছে ৷ মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার পাশাপাশি আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার ৷ নবান্নের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে ৷ গার্ডেনরিচের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে নিজের এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, আমি তাতে শোকাহত। আমাদের মেয়র, দমকলমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনারের সেক্রেটারিয়েট, সিভিক পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল সারা রাত ধরে ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।’’ এদিন গার্ডেনরিচে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যান কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ মালা রায় এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়ালও।

রবিবার কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি ভেঙে বিপত্তি। উদ্ধারকাজে দমকল ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এবং NDRF। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকার কাজ। ভাঙা বাড়ির নীচে কেউ আটকে পড়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন– গার্ডেনরিচের ফতেপুরে ব্যানার্জীপাড়া লেনে ভেঙে পড়ল বহুতল বাড়ি ! ২ জনের দেহ উদ্ধার

সূত্রের খবর, বহু লোক জখম হয়েছেন এই ঘটনায়। পুলিশ জানিয়েছে, ১৫ জনের বেশি মানুষ আহত এবং ইতিমধ্যে দু’জনের মৃত্যু ঘটেছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, রবিবার রাত ১২টার কিছু আগে এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যেটি ভেঙে পড়েছে, সেটি বেআইনি নির্মীয়মাণ পাঁচ তলা ভবন। বহুতলটি সামনের টালি ও ঝুপড়ি ঘরের উপর ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে বেআইনি নির্মাণকেই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সতর্কতা আজ দক্ষিণবঙ্গে, শিলাবৃষ্টি-সহ কালবৈশাখীর সম্ভাবনা!

যে বাড়িটি ভেঙেছে তার ঠিকানা ৫১৩/৫ ব্যানার্জিপাড়া লেন। বহুতল বাড়ির নীচে এবং পাশে বেশকিছু ঝুপড়ি ঘর ছিল। সেখানে লোক ছিল বলে খবর। ফলে কতজন আটকে রয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নীচে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আজহার মোল্লা বাগান এলাকায় যেখানে এই ঘটনা রয়েছে। সেখানে একাধিক বহুতল রয়েছে। ফলে প্রবল আতঙ্ক রয়েছে এলাকায়। যেই বাড়ি ভেঙেছে, তার পাশে আরেকটি ভবন হেলে রয়েছে। দমকল, পুলিশ, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট , NDRF টিম পৌঁছে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা হাত লাগিয়েছেন এই এলাকায়।

লালবাজার সূত্রে বলা হয়েছে, ১২টা নাগাদ তাঁরা এই দুর্ঘটনার খবর পান। পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্য়বস্থা নেওয়া হয়েছে। তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। প্রস্তুত করা হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্স। কাউকে উদ্ধার করলে তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে পৌঁছনো যায় সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্দর এলাকায় ট্রাফিক পরিস্থিতি পরিষ্কার রাখা হয়েছে।

যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেই সময় এলাকায় প্রায় সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। হঠাৎ কানফাটানো আওয়াজে সবাই বেরিয়ে আসেন। এসেই তাঁরা দেখতে পান চারিদিক ধুলোয় ভর্তি। কংক্রিটের বহুতল ভেঙে পড়েছে দেখেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।

Garden Reach Building Collapse: গার্ডেনরিচের ফতেপুরে ব্যানার্জীপাড়া লেনে ভেঙে পড়ল বহুতল বাড়ি ! ২ জনের দেহ উদ্ধার

কলকাতা: কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি ভেঙে বিপত্তি। উদ্ধারকাজে দমকল ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এবং NDRF। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকার কাজ। ভাঙা বাড়ির নীচে কেউ আটকে পড়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, বহু লোক জখম হয়েছেন এই ঘটনায়। পুলিশ জানিয়েছে, ১৫ জনের বেশি মানুষ আহত এবং ইতিমধ্যে দু’জনের মৃত্যু ঘটেছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, রবিবার রাত ১২টার কিছু আগে এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যেটি ভেঙে পড়েছে, সেটি বেআইনি নির্মীয়মাণ পাঁচ তলা ভবন। বহুতলটি সামনের টালি ও ঝুপড়ি ঘরের উপর ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে বেআইনি নির্মাণকেই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।

আরও পড়ুন– কয়েক দশক ধরে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা; কোথায় রয়েছে এই ‘নরকের দরজা’?

যে বাড়িটি ভেঙেছে তার ঠিকানা ৫১৩/৫ ব্যানার্জিপাড়া লেন। বহুতল বাড়ির নীচে এবং পাশে বেশকিছু ঝুপড়ি ঘর ছিল। সেখানে লোক ছিল বলে খবর। ফলে কতজন আটকে রয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নীচে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

আজহার মোল্লা বাগান এলাকায় যেখানে এই ঘটনা রয়েছে। সেখানে একাধিক বহুতল রয়েছে। ফলে প্রবল আতঙ্ক রয়েছে এলাকায়। যেই বাড়ি ভেঙেছে, তার পাশে আরেকটি ভবন হেলে রয়েছে। দমকল, পুলিশ, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট , NDRF টিম পৌঁছে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা হাত লাগিয়েছেন এই এলাকায়।

আরও পড়ুন- গাড়ির সিটবেল্টে রয়েছে গোপন বোতাম, এর কি কাজ জানেন?

লালবাজার সূত্রে বলা হয়েছে, ১২টা নাগাদ তাঁরা এই দুর্ঘটনার খবর পান। পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্য়বস্থা নেওয়া হয়েছে। তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। প্রস্তুত করা হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্স। কাউকে উদ্ধার করলে তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে পৌঁছনো যায় সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্দর এলাকায় ট্রাফিক পরিস্থিতি পরিষ্কার রাখা হয়েছে।

যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেই সময় এলাকায় প্রায় সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। হঠাৎ কানফাটানো আওয়াজে সবাই বেরিয়ে আসেন। এসেই তাঁরা দেখতে পান চারিদিক ধুলোয় ভর্তি। কংক্রিটের বহুতল ভেঙে পড়েছে দেখেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।

West Bengal Police: কখনও কখনও খড়ের গাদা থেকেও ছুঁচ মেলে! পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এমনই এক নিখুঁত তদন্তের কাহিনি

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: সালটা ২০১৬, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি। হাওড়া স্টেশনে এসে দাঁড়িয়েছে সেকেন্দ্রাবাদ-হাওড়া ডাউন ফলকনামা এক্সপ্রেস। ট্রেন খালি হয়ে যাওয়ার পর শুরু হয়েছে সাফাইয়ের কাজ। সাধারণ শ্রেণীর একটি কামরায় সিটের নীচে ব্যাগ খুঁজে পান সাফাইকর্মীরাই। নতুন কিছু নয়, ট্রেন থেকে প্রায়শই উদ্ধার হয় ফেলে যাওয়া মালপত্র। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)-এর হাতে তুলে দেওয়া হয় বেওয়ারিশ মাল। তেমনটাই হয় এবারও।

ব্যাগ খুলে যে অবর্ণনীয় দৃশ্য দেখেন জিআরপি কর্মীরা, তাই নিয়েই আজকের মামলা। ব্যাগের ভেতর একটি উলঙ্গ শিশুর মৃতদেহ, বয়স বড়জোর এক, হয়তো কিছু বেশি। দেহে পচন ধরেছে, তবে শনাক্ত করা যাবে না এমন নয়।

আরও পড়ুন- আগামী কয়েক দিন শুষ্ক আবহাওয়া, সামান্য কমবে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনা কি আছে?

মুশকিল হল, শনাক্ত করবে কে? জিআরপি-র তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হওয়ার পর শুরু হল তন্নতন্ন খোঁজ। বলা বাহুল্য, কাজটা সহজ নয়। সেকেন্দ্রাবাদ থেকে হাওড়া পর্যন্ত প্রতিটি স্টেশনে খবর পাঠানো হয়, যোগাযোগ করা হয় তেলেঙ্গনা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি পুলিশ ইউনিটের সঙ্গে।

কখনও কখনও খড়ের গাদা থেকেও ছুঁচ মেলে। অন্ধ্রপ্রদেশের গুনটুর জেলার তেনালি থেকে খবর আসে, জিশান আহমেদ নামে একটি দেড় বছরের শিশুর ব্যাপারে ‘মিসিং ডায়েরি’ জমা হয়েছে স্থানীয় থানায়, দায়ের করেছেন তার দিদিমা। আরও কিছু খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, শিশুটির মায়ের নাম হাসিনা সুলতানা (২৪), বৈবাহিক অশান্তির কারণে স্বামীর সঙ্গে না থেকে ছেলেকে নিয়ে তেনালিতে নিজের মায়ের কাছে আছেন এক বছর ধরে।

আরও পড়ুন– রাশিফল ৫ মার্চ; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যাবেলা জিশানকে নিয়ে বেরোন হাসিনা, কিন্তু মায়ের বাড়িতে আর না ফিরে দেখা করেন ওই এলাকারই বাসিন্দা ২৮ বছরের শেখ ভান্নুর শা-এর সঙ্গে। দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল হাসিনার বিয়ের আগে থেকেই, হাসিনা এলাকায় ফিরে আসায় পুনরায় চালু হয় সম্পর্ক। সেই সন্ধ্যার পর দু’জনে হায়দরাবাদের বানজারা হিলস এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন।

ওদিকে মেয়ে এবং নাতি ফিরছে না দেখে অবশেষে ২৯ ডিসেম্বর থানায় অভিযোগ জানান হাসিনার মা। তবে ২৭ জানুয়ারি ফিরে আসেন হাসিনা, জানান, ছেলেকে রেখে এসেছেন এক ‘বন্ধুর’ বাড়িতে। অভিযোগপত্রে জমা দেওয়া শিশুটির ছবির সঙ্গে মৃত শিশুর চেহারার যথেষ্ট মিল। সুতরাং আর দেরি না করে তেনালি অভিমুখে রওনা দেন মামলার তদন্তকারী অফিসার সাব-ইনস্পেকটর স্বপন দাস (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত)। সেখানে পৌঁছে হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে, এবং জিশানের মৃত্যুর আড়ালে ভয়াবহ কাহিনির বিবরণ সংগ্রহ করতে বেশি সময় লাগেনি তাঁর।

মর্মান্তিক সেই কাহিনির বিশদে যেতে চাই না আমরা, বোধহয় শুনতে চাইবেন না আপনারাও। সংক্ষেপে বলি, মায়ের প্রেমের পথে ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই ছিল জিশানের অপরাধ। তাই জলে মেশানো বিষাক্ত বড়ি খাইয়ে তাকে হত্যা করে হাসিনা এবং ভান্নুর, ছোট্ট দেহ ব্যাগে ভরে রেখে দেয় দূরপাল্লার ট্রেনের সিটের নীচে। ট্রেনে ব্যাগ নিয়ে ওঠার দৃশ্য ধরা পড়ে সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরায়।

গ্রেফতার হয় হাসিনা এবং ভান্নুর, চার্জশিটও জমা পড়ে সময়মত। তারপর শুরু হয় আট বছরের বিচারপর্ব চলাকালীন দু’জনকে পুলিশি হেফাজতে রাখার অক্লান্ত লড়াই। সেই লড়াই শেষ হয়েছে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি, বিরলতম এই মামলায় মাননীয় ফাস্ট ট্র্যাক (ফার্স্ট কোর্ট)-এর সেশনস বিচারপতি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন হাসিনা এবং ভান্নুরকে। বিচার পেয়েছে ছোট্ট জিশান। আমাদের এটুকুই প্রাপ্তি। জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ।

Knowledge Story: লালবাজার, নীল-সবুজ-সাদাবাজার নয়! কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের নাম লালবাজরই কেন জানেন?

কলকাতা পুলিশের হেডকোয়ার্টার বা সদর দফতর লালবাজার। প্রাচীন ঐতিহ্যবহনকারী এই লালবাজারের আছে নিজস্ব কিছু ইতিহাস। লালবাজারের বিল্ডিংটি দেখতে লাল, সে কারণেই কি এই বাড়িটির নাম লালবাজার?
কলকাতা পুলিশের হেডকোয়ার্টার বা সদর দফতর লালবাজার। প্রাচীন ঐতিহ্যবহনকারী এই লালবাজারের আছে নিজস্ব কিছু ইতিহাস। লালবাজারের বিল্ডিংটি দেখতে লাল, সে কারণেই কি এই বাড়িটির নাম লালবাজার?
কখনও ভেবেছেন নীলবাজার, সাদাবাজার, সবুজবাজার না হয়ে ঠিক কী কারণে এই বাড়িটির নাম লালবাজার হল?
কখনও ভেবেছেন নীলবাজার, সাদাবাজার, সবুজবাজার না হয়ে ঠিক কী কারণে এই বাড়িটির নাম লালবাজার হল?
২০১৮ সালে ফেসবুকে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল এই বাড়িটির নাম কেন লালবাজার তার ইতিহাস। পুলিশের তরফে জানানো গোটা বয়ানটি মন দিয়ে পড়লেই বোঝা যায় কেন এই বাড়িটির নাম লালবাজার।
২০১৮ সালে ফেসবুকে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল এই বাড়িটির নাম কেন লালবাজার তার ইতিহাস। পুলিশের তরফে জানানো গোটা বয়ানটি মন দিয়ে পড়লেই বোঝা যায় কেন এই বাড়িটির নাম লালবাজার।
পোস্টে লেখা হয়েছিল, '' লালবাজার' নামের নেপথ্যে... রোজকার কাজের খতিয়ান নয়। আজ একটু স্বাদবদল। স্বল্প পরিসরে ভাগ করে নিচ্ছি 'লালবাজার' নামের নেপথ্যকথা। শহরের ইতিহাস বিষয়ে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরা চিন্তার রসদ পেতে পারেন। অনেকেই ভাবেন, কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তরের বাড়িটির রং লাল বলেই নাম 'লালবাজার '। সত্যিই কি তাই?'
পোস্টে লেখা হয়েছিল, ” লালবাজার’ নামের নেপথ্যে… রোজকার কাজের খতিয়ান নয়। আজ একটু স্বাদবদল। স্বল্প পরিসরে ভাগ করে নিচ্ছি ‘লালবাজার’ নামের নেপথ্যকথা। শহরের ইতিহাস বিষয়ে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরা চিন্তার রসদ পেতে পারেন। অনেকেই ভাবেন, কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তরের বাড়িটির রং লাল বলেই নাম ‘লালবাজার ‘। সত্যিই কি তাই?’
'আজ থেকে প্রায় আড়াইশো বছর আগের কথা।রাস্তাটি ছিল ছবির মতো সুন্দর। আজকের কলকাতার যেখানে বিবাদী বাগ, তার উত্তর-পূর্ব কোণ থেকে বৌবাজার পর্যন্ত ছিল তৎকালীন ‘ক্যালকাটা'র এই রাস্তাটির ব্যাপ্তি। ইংরেজদের মতে রাস্তাটি ছিল ‘বেস্ট স্ট্রিট অফ ক্যালকাটা’। লন্ডনের রাস্তাগুলির আদলে বানানো এই সড়কপথের নাম ব্রিটিশরা দিয়েছিলেন 'অ্যাভিনিউ টু দ্য ইস্টওয়ার্ড’। আর স্থানীয়রা বলতেন ‘গ্রেট বাংলো রোড’। কারণ, এই রাস্তাতেই অবস্থিত ছিল একটি প্রাসাদোপম বাড়ি, যার মালিক ছিলেন তৎকালীন কলকাতার অন্যতম ধনকুবের ব্যবসায়ী জন পামার।'
‘আজ থেকে প্রায় আড়াইশো বছর আগের কথা।রাস্তাটি ছিল ছবির মতো সুন্দর। আজকের কলকাতার যেখানে বিবাদী বাগ, তার উত্তর-পূর্ব কোণ থেকে বৌবাজার পর্যন্ত ছিল তৎকালীন ‘ক্যালকাটা’র এই রাস্তাটির ব্যাপ্তি। ইংরেজদের মতে রাস্তাটি ছিল ‘বেস্ট স্ট্রিট অফ ক্যালকাটা’। লন্ডনের রাস্তাগুলির আদলে বানানো এই সড়কপথের নাম ব্রিটিশরা দিয়েছিলেন ‘অ্যাভিনিউ টু দ্য ইস্টওয়ার্ড’। আর স্থানীয়রা বলতেন ‘গ্রেট বাংলো রোড’। কারণ, এই রাস্তাতেই অবস্থিত ছিল একটি প্রাসাদোপম বাড়ি, যার মালিক ছিলেন তৎকালীন কলকাতার অন্যতম ধনকুবের ব্যবসায়ী জন পামার।’
'সেই রাস্তা আজও আছে। আছে সেই বাড়িটিও। তেরোটি আর্চ এবং 'পোরবন্দর থাম' (Porebunder Columns) সম্বলিত সেই দক্ষিণমুখী চারতলা বাড়িতেই অধিষ্ঠান কলকাতা পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের। লালবাজার।'
‘সেই রাস্তা আজও আছে। আছে সেই বাড়িটিও। তেরোটি আর্চ এবং ‘পোরবন্দর থাম’ (Porebunder Columns) সম্বলিত সেই দক্ষিণমুখী চারতলা বাড়িতেই অধিষ্ঠান কলকাতা পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের। লালবাজার।’
'লালবাজার – এই নামকরণ সম্পর্কে নানা মুনির নানা মত ইতিহাসের পাতায়, গবেষণার নথিতে। কেউ বলেন, তৎকালীন লাল রঙের প্রাচীন ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গটির ছায়া পড়ত লালদীঘিতে। সেই থেকেই এলাকাটির নাম ' লালবাজার। ‘লাল’ শব্দটির সূত্রপাতের কারণ দর্শাতে কেউ কেউ তৎকালীন পুলিশ কনস্টেবলদের লাল পাগড়ির প্রসঙ্গও নিয়ে আসেন। যদিও, দ্বিতীয় মতটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়, কারণ, বাড়িটির নাম ‘লালবাজার’ হওয়ার পরবর্তীকালে লাল পাগড়ি পরতে শুরু করেন কনস্টেবলরা।'
‘লালবাজার – এই নামকরণ সম্পর্কে নানা মুনির নানা মত ইতিহাসের পাতায়, গবেষণার নথিতে। কেউ বলেন, তৎকালীন লাল রঙের প্রাচীন ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গটির ছায়া পড়ত লালদীঘিতে। সেই থেকেই এলাকাটির নাম ‘ লালবাজার। ‘লাল’ শব্দটির সূত্রপাতের কারণ দর্শাতে কেউ কেউ তৎকালীন পুলিশ কনস্টেবলদের লাল পাগড়ির প্রসঙ্গও নিয়ে আসেন। যদিও, দ্বিতীয় মতটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়, কারণ, বাড়িটির নাম ‘লালবাজার’ হওয়ার পরবর্তীকালে লাল পাগড়ি পরতে শুরু করেন কনস্টেবলরা।’
'অনুমান করা হয় যে, বর্তমান লালবাজার এলাকায় সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের একটি কাছারিবাড়ি ছিল। দোলের সময়, লালদীঘি ও তার সংলগ্ন এলাকা আবির ও কুমকুমের রঙে লালবর্ণ ধারণ করত। সেই থেকেই লালবাজার’ নামকরণ, এই ধারণা অনেকের। কিন্তু এর সম্ভাবনা কম। কারণ, রায়চৌধুরীরা বংশপরম্পরায় ছিলেন শাক্ত বা কালীর উপাসক। ফলে বৈষ্ণবদের দোল উৎসব নিয়ে মাতামাতি করা কতটা সম্ভব ছিল তাঁদের পক্ষে, সন্দেহের অবকাশ থেকেই যায়।'
‘অনুমান করা হয় যে, বর্তমান লালবাজার এলাকায় সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের একটি কাছারিবাড়ি ছিল। দোলের সময়, লালদীঘি ও তার সংলগ্ন এলাকা আবির ও কুমকুমের রঙে লালবর্ণ ধারণ করত। সেই থেকেই লালবাজার’ নামকরণ, এই ধারণা অনেকের। কিন্তু এর সম্ভাবনা কম। কারণ, রায়চৌধুরীরা বংশপরম্পরায় ছিলেন শাক্ত বা কালীর উপাসক। ফলে বৈষ্ণবদের দোল উৎসব নিয়ে মাতামাতি করা কতটা সম্ভব ছিল তাঁদের পক্ষে, সন্দেহের অবকাশ থেকেই যায়।’
'রেভারেন্ড জেমস্‌ লঙ লাল ইটে তৈরি মিশন চার্চ বা লাল গির্জাটিকে লালবাজারের নামকরণের কারণ হিসেবে ইঙ্গিত করেছিলেন। এই লাল গির্জাটি ১৭৬৮ সালে নির্মাণ করেন জন জাকারিয়া কারন্যান্ডার, যিনি ছিলেন বাংলার প্রথম প্রোটেস্টান্ট পাদ্রী। অথচ গির্জাটির প্রতিষ্ঠার বহু আগেই ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির নথিপত্রে ১৭৪৫ সাল থেকেই লালবাজারের উল্লেখ পাওয়া যায়। জন হলওয়েল, যিনি ১৭৫১-৫৬ সালে কলকাতার কালেক্টর ছিলেন, এই এলাকার সম্পর্কে বলেছেন – এটি বাজার নয়, বরং জনবসতি হিসেবেই পরিচিত ছিল। দশ বিঘা নয় কাঠা জমি এবং প্রায় ৮১টি বাড়ি ছিল এই অঞ্চলে।গবেষক ভোলানাথ চন্দ্র উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে লালবাজার-কে একটি বাজার হিসেবে চিহ্নিত করেন। তাঁর মতে, এই বাজারটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন লালমোহন বসাক।সেই থেকেই নাকি ' লালবাজার'।'
‘রেভারেন্ড জেমস্‌ লঙ লাল ইটে তৈরি মিশন চার্চ বা লাল গির্জাটিকে লালবাজারের নামকরণের কারণ হিসেবে ইঙ্গিত করেছিলেন। এই লাল গির্জাটি ১৭৬৮ সালে নির্মাণ করেন জন জাকারিয়া কারন্যান্ডার, যিনি ছিলেন বাংলার প্রথম প্রোটেস্টান্ট পাদ্রী। অথচ গির্জাটির প্রতিষ্ঠার বহু আগেই ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির নথিপত্রে ১৭৪৫ সাল থেকেই লালবাজারের উল্লেখ পাওয়া যায়। জন হলওয়েল, যিনি ১৭৫১-৫৬ সালে কলকাতার কালেক্টর ছিলেন, এই এলাকার সম্পর্কে বলেছেন – এটি বাজার নয়, বরং জনবসতি হিসেবেই পরিচিত ছিল। দশ বিঘা নয় কাঠা জমি এবং প্রায় ৮১টি বাড়ি ছিল এই অঞ্চলে।গবেষক ভোলানাথ চন্দ্র উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে লালবাজার-কে একটি বাজার হিসেবে চিহ্নিত করেন। তাঁর মতে, এই বাজারটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন লালমোহন বসাক।সেই থেকেই নাকি ‘ লালবাজার’।’
'অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে লালবাজার এলাকায় ব্রিটিশরা অনেকটা সময় কাটাতেন। তখনকার বিখ্যাত রিসর্ট ‘হারমোনিক ট্যাভার্ন’ অবস্থিত ছিল মূল বাড়িটির গা ঘেঁষে।উচ্চবিত্ত ইংরেজ নারী-পুরুষের কাছে তুমুল জনপ্রিয় ছিল এই ট্যাভার্ন, যা সুর এবং সুরায় জমজমাট হয়ে উঠত প্রতি সন্ধ্যায়। ওয়ারেন হেস্টিংস-এর ফেয়ারওয়েল পার্টি আয়োজিত হয়েছিল এখানেই। 'লাল'-এর উৎস সন্ধানে পুরনো নথিপত্রে ‘loll’ শব্দটিও পাওয়া গেছে, যা ‘loll shrub’-এর অপভ্রংশ। ‘লল শ্রব’ বা লাল সুরা। এই সূত্র ধরেই উল্লেখ পাওয়া যায় ' loll bazar’-এরও। নানা মত। তবে যতই থাক মতানৈক্য, রং-এর বিচারে যে নামের উদ্ভব নয় লালবাজারের, অনুমান করাই যায়। শেষ বিচারে উৎস সন্ধান অমীমাংসিতই। অবশ্য নামে কী-ই বা এসে যায়?'
‘অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে লালবাজার এলাকায় ব্রিটিশরা অনেকটা সময় কাটাতেন। তখনকার বিখ্যাত রিসর্ট ‘হারমোনিক ট্যাভার্ন’ অবস্থিত ছিল মূল বাড়িটির গা ঘেঁষে।উচ্চবিত্ত ইংরেজ নারী-পুরুষের কাছে তুমুল জনপ্রিয় ছিল এই ট্যাভার্ন, যা সুর এবং সুরায় জমজমাট হয়ে উঠত প্রতি সন্ধ্যায়। ওয়ারেন হেস্টিংস-এর ফেয়ারওয়েল পার্টি আয়োজিত হয়েছিল এখানেই। ‘লাল’-এর উৎস সন্ধানে পুরনো নথিপত্রে ‘loll’ শব্দটিও পাওয়া গেছে, যা ‘loll shrub’-এর অপভ্রংশ। ‘লল শ্রব’ বা লাল সুরা। এই সূত্র ধরেই উল্লেখ পাওয়া যায় ‘ loll bazar’-এরও। নানা মত। তবে যতই থাক মতানৈক্য, রং-এর বিচারে যে নামের উদ্ভব নয় লালবাজারের, অনুমান করাই যায়। শেষ বিচারে উৎস সন্ধান অমীমাংসিতই। অবশ্য নামে কী-ই বা এসে যায়?’

Stoneman Kolkata: মনে আছে, কলকাতার সেই ভয়ঙ্কর খুনি স্টোনম্যানকে! কে ছিল সে জানেন? কী হল শেষমেশ?

সিরিয়াল কিলার! একের পর এক খুন করা যার নেশা। এরকম খুনির আবির্ভাব যখন কোনও এলাকায় ঘটে, তখন তা পরিণত হয় এক আতঙ্কের নগরীতে। আজ আপনাদের জানাব, ‘দ্য স্টোনম্যান’ -এর কাহিনি, ১৯৮৫-১৯৮৯ সাল পর্যন্ত যে ভারতের মুম্বই আর কলকাতায় সে তৈরি করেছিল এক ত্রাসের রাজত্ব।

সিরিয়াল কিলার! একের পর এক খুন করা যার নেশা। এরকম খুনির আবির্ভাব যখন কোনও এলাকায় ঘটে, তখন তা পরিণত হয় এক আতঙ্কের নগরীতে। আজ আপনাদের জানাব, ‘দ্য স্টোনম্যান’ -এর কাহিনি, ১৯৮৫-১৯৮৯ সাল পর্যন্ত যে ভারতের মুম্বই আর কলকাতায় সে তৈরি করেছিল এক ত্রাসের রাজত্ব।
একজন সিরিয়াল কিলার, যে ভিক্ষুক এবং গরীব মানুষদের খুন করে চলেছে, এমন সন্দেহের প্রথম শুরু হয় ভারতের মুম্বইতে। দুঃখের বিষয়, প্রথম ৬টি খুন একইভাবে হলেও ৬ নম্বর খুনের আগে পর্যন্ত মুম্বই পুলিশ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি এটি একটি সিরিয়াল কিলিংয়ের ঘটনা হতে পারে। ৬ নম্বর খুনের পর পুলিশ খুনগুলোর মাঝে একধরনের প্যাটার্ন বা মিল খুঁজে পায়, যা তাদের সিরিয়াল কিলিং সম্বন্ধে ভাবতে বাধ্য করে।
একজন সিরিয়াল কিলার, যে ভিক্ষুক এবং গরীব মানুষদের খুন করে চলেছে, এমন সন্দেহের প্রথম শুরু হয় ভারতের মুম্বইতে। দুঃখের বিষয়, প্রথম ৬টি খুন একইভাবে হলেও ৬ নম্বর খুনের আগে পর্যন্ত মুম্বই পুলিশ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি এটি একটি সিরিয়াল কিলিংয়ের ঘটনা হতে পারে। ৬ নম্বর খুনের পর পুলিশ খুনগুলোর মাঝে একধরনের প্যাটার্ন বা মিল খুঁজে পায়, যা তাদের সিরিয়াল কিলিং সম্বন্ধে ভাবতে বাধ্য করে।
খুনগুলো শুরু হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। মুম্বই বা বোম্বেতে টানা ২ বছরে ১২ জনকে খুন করে এই খুনি। তারপর ১৯৮৭ সালে সে ক্ষান্ত হয়। মুম্বইয়ের সিয়ন এবং কিং’স সার্কেল এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছিল। কিন্তু সেই সিরিয়াল কিলারকে ধরা যায়নি।
খুনগুলো শুরু হয়েছিল ১৯৮৫ সালে। মুম্বই বা বোম্বেতে টানা ২ বছরে ১২ জনকে খুন করে এই খুনি। তারপর ১৯৮৭ সালে সে ক্ষান্ত হয়। মুম্বইয়ের সিয়ন এবং কিং’স সার্কেল এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছিল। কিন্তু সেই সিরিয়াল কিলারকে ধরা যায়নি।
এরপর আটের দশকের একেবারে শেষে ১৯৮৯ সালে এই কলকাতা শহরেও দেখা দেয় ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ নির্মম হত্যাকারী। তারও নাম দেওয়া হয় ‘স্টোনম্যান’। এক বিখ্যাত ইংরেজি দৈনিকই এই নাম দিয়েছিল। তারপর ক্রমে সেই নামই চালু হয়ে গেল।
এরপর আটের দশকের একেবারে শেষে ১৯৮৯ সালে এই কলকাতা শহরেও দেখা দেয় ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ নির্মম হত্যাকারী। তারও নাম দেওয়া হয় ‘স্টোনম্যান’। এক বিখ্যাত ইংরেজি দৈনিকই এই নাম দিয়েছিল। তারপর ক্রমে সেই নামই চালু হয়ে গেল।
একটা-দু’টো নয়, ছ’মাসে তেরোটা খুন করেছিল সেই ‘অদৃশ্য’ খুনি! অদৃশ্যই, কেননা কেউ তাকে দেখেনি। কলকাতার পথেঘাটে কত মানুষের বাস। কিন্তু কেউ কোনও খোঁজ দিতে পারেনি স্টোনম্যানের। যেন অন্ধকার কুঁদে নিজের শরীর গড়ে সে ঘুরে বেড়াত শহরের পথেঘাটে। ফলে তার খুনগুলো সত্যি হওয়া সত্ত্বেও সে হয়ে উঠল এক অলীক অস্তিত্ব!
একটা-দু’টো নয়, ছ’মাসে তেরোটা খুন করেছিল সেই ‘অদৃশ্য’ খুনি! অদৃশ্যই, কেননা কেউ তাকে দেখেনি। কলকাতার পথেঘাটে কত মানুষের বাস। কিন্তু কেউ কোনও খোঁজ দিতে পারেনি স্টোনম্যানের। যেন অন্ধকার কুঁদে নিজের শরীর গড়ে সে ঘুরে বেড়াত শহরের পথেঘাটে। ফলে তার খুনগুলো সত্যি হওয়া সত্ত্বেও সে হয়ে উঠল এক অলীক অস্তিত্ব!
একের পর এক মানুষকে পাথর দিয়ে মুখ থেঁতলে খুন করত সে। আর তারপর কী এক মন্তরে হাওয়া হয়ে যেত শহরের ফিনফিনে হাওয়ার ভিতরে। কেউ তার নাগাল পায়নি।
একের পর এক মানুষকে পাথর দিয়ে মুখ থেঁতলে খুন করত সে। আর তারপর কী এক মন্তরে হাওয়া হয়ে যেত শহরের ফিনফিনে হাওয়ার ভিতরে। কেউ তার নাগাল পায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবারও পাথরে মুখ থেঁতলে খুন করার ঘটনার কথা শোনা গিয়েছিল। তবে এবার মুম্বই বা কলকাতা নয়। গুয়াহাটি। তারপর সেও অন্তর্হিত হয়। ঠিক যেমন মুম্বই বা কলকাতায় হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবারও পাথরে মুখ থেঁতলে খুন করার ঘটনার কথা শোনা গিয়েছিল। তবে এবার মুম্বই বা কলকাতা নয়। গুয়াহাটি। তারপর সেও অন্তর্হিত হয়। ঠিক যেমন মুম্বই বা কলকাতায় হয়েছিল।
স্টোনম্যানের গল্প ভারতীয় অপরাধ জগতের এক অমীমাংসিত রহস্য হয়েই রয়েছে এবং সম্ভবত রহস্য হয়েই থাকবে। রাতের আঁধারে নিরপরাধ মানুষদের কোনও কারণ ছাড়াই পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলিয়ে দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, এর চেয়ে ভয়ঙ্কর এবং আতঙ্কের বিষয় আর কী হতে পারে?
স্টোনম্যানের গল্প ভারতীয় অপরাধ জগতের এক অমীমাংসিত রহস্য হয়েই রয়েছে এবং সম্ভবত রহস্য হয়েই থাকবে। রাতের আঁধারে নিরপরাধ মানুষদের কোনও কারণ ছাড়াই পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলিয়ে দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, এর চেয়ে ভয়ঙ্কর এবং আতঙ্কের বিষয় আর কী হতে পারে?
সেই আতঙ্ক এখন হয়তো আর মুম্বই বা কলকাতার মানুষদের তাড়া করে বেড়ায় না, কিন্তু ২৬টি খুনের রক্তাক্ত ইতিহাস নিয়ে স্টোনম্যান মুম্বই আর কলকাতার ইতিহাসে এক আতঙ্ক হয়েই চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে নিঃসন্দেহে।
সেই আতঙ্ক এখন হয়তো আর মুম্বই বা কলকাতার মানুষদের তাড়া করে বেড়ায় না, কিন্তু ২৬টি খুনের রক্তাক্ত ইতিহাস নিয়ে স্টোনম্যান মুম্বই আর কলকাতার ইতিহাসে এক আতঙ্ক হয়েই চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে নিঃসন্দেহে।

Kolkata Police Recruitment 2024: মাধ্যমিক পাশ করেছেন? কলকাতা পুলিশে চাকরির দারুণ সুযোগ রয়েছে, আজই আবেদন করুন

কলকাতা: সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে কনস্টেবল/লেডি কনস্টেবল পদে নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা শীঘ্রই আবেদন করতে পারেন। এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে প্রার্থীরা কলকাতা পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন।

কলকাতা পুলিশ কনস্টেবল রিক্রুটমেন্ট ২০২৪: আবেদনপত্রের তারিখ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে আবেদন প্রক্রিয়া চলছে। প্রার্থীদের আগামী ২৯.৩.২০২৪ তারিখের মধ্যে আবেদনপত্র জমা করতে হবে। অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেই আবেদনপত্র পেয়ে যাবেন। এই সংক্রান্ত সময়সীমায় কোনও বদল আনা হলে তা নোটিশের মাধ্যমে প্রার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: বলিউডের বিখ্যাত এই গায়ক মাধুরীকে বিয়ে করতে রাজি হননি, কারণ শুনলে ভিরমি খাবেন!

২৯.৩.২০২৪ তারিখের পরে কোনও আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে না। তবে এডিটিং উইন্ডো খোলা থাকবে। আবেদনপত্রে জমা দেওয়া ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করতে চাইলে প্রার্থীরা আগামী ১ থেকে ৭ এপ্রিল এই সুবিধে পাবেন।

কলকাতা পুলিশ কনস্টেবল রিক্রুটমেন্ট ২০২৪: শূন্যপদের সংখ্যা
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের তরফে মোট ৩,৭৩৪টি শূন্যপদ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

কলকাতা পুলিশ কনস্টেবল রিক্রুটমেন্ট ২০২৪: আবেদনের যোগ্যতা
উল্লিখিত পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীকে পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বা তার সমমানের মাধ্যমিক পরীক্ষায় সরকার স্বীকৃত বোর্ড থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে।

আরও পড়ুন: কথায় কথায় তো ওকে বলেন, Ok-র ফুল ফর্ম জানেন? ৯৯.৯% জানে না!

কলকাতা পুলিশ কনস্টেবল রিক্রুটমেন্ট ২০২৪: আবেদন ফি
জেনারেল ক্যাটাগরি- ১৭০ টাকা
এসসি- ২০ টাকা
এসটি- ২০ টাকা

কলকাতা পুলিশ কনস্টেবল রিক্রুটমেন্ট ২০২৪: বয়সসীমা
১ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীদের জন্য বয়সে ছাড় দেওয়া হবে।

কলকাতা পুলিশ কনস্টেবল রিক্রুটমেন্ট ২০২৪: আবেদন পদ্ধতি
প্রথমে প্রার্থীদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে prb.wb.gov.in যেতে হবে
এরপরে ‘অনলাইন অ্যাপ্লাই’ লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
এরপরে, পদ নির্বাচন করতে হবে
সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সহ আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে
ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে
আবেদন ফি প্রদান করতে হবে
ভবিষ্যতের রেফারেন্সের জন্য প্রিন্ট আউট নিতে হবে

Kolkata Marathon Accident: কলকাতা পুলিশের ম্যারাথনে বড় দুর্ঘটনা! তোড়ন ভেঙে মাথায় আঘাত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের

কলকাতা: রবিবার সকালে কলকাতা পুলিশের হাফ ম্যারাথনে বড় দুর্ঘটনা। তোড়ন ভেঙে জখম হলেন এক পুলিশ আধিকারিক। দুর্ঘটনায় আহত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলিধর শর্মা।

আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে বৃষ্টি! ৯ জেলায় আবহাওয়ার ভোলবদল, ওদিকে শীতের দাপট! ঠান্ডা থেকে রেহাই কবে

তোড়ন ভেঙে পড়ে তাঁর মাথা ও কোমরে আঘাত লেগেছে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের। ইতিমধ্যেই তাঁকে মধ্য কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

রেড রোডের উপর দৌড় চলাকালীন হঠাৎ দমকা হাওয়ায় তোড়ন ভেঙে পড়ে। আর সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার। মাথায়, ঘাড়ে ও কোমরে চোট পান সেই তোড়নের আঘাতে।

কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন, আঘাত গুরুতর নয়। এখন ভাল আছেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার। এই হাফ ম্যারাথনে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।

Kolkata Death: জানলায় ভনভন করছে মাছি, কলকাতার ফ্ল্যাটে বাবা-মা-ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার!

কলকাতা: গড়িয়া স্টেশন এলাকার একটি আবাসনের ঘর ৩ দিন বন্ধ রয়েছে। ওই বাড়িতে স্বামী স্ত্রী এবং ছেলে থাকে। স্বপন মৈত্র ৭৫, অপর্ণা মৈত্র ৬৯ ও ৩৯ বছরের ছেলে। তাদের আত্মীয়রা ফোন করে তাদের কোনও ভাবে পাচ্ছিলেন না। ইতিমধ্যে ঘর থেকে পচা গন্ধ বেরোচ্ছে। জানালার নেটে মাছি লেগে গেছে। ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। বেল দিয়েও কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না।

খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। বাড়ির কর্তা স্বপনবাবু আগে একটি বেসরকারি সংস্থায় ইঞ্জিনিয়র ছিলেন।

আরও পড়ুন: ডিয়ার লটারির টিকিট কাটেন? যা ঘটল, আর টিকিট কাটতে ভয় পাবেন! কারণ নতুন নিয়ম

কিছুদিন আগে থেকে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়েছিলেন। বছর দেড়েক আগে তাঁর হার্টের বাইপাস সার্জারি হয়। তিনি যে রকম অসুস্থ ছিলেন সঙ্গে তাঁর স্ত্রী অপর্না দেবীও অসুস্থ ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে পরিবারটি আর্থিক অনটনে ভুগছিল বলে জানা গিয়েছে। ছেলে সেরকম ভাবে কিছু কাজকর্ম করত না।

আরও পড়ুন: ‘সবাইকে হেফাজতে নেওয়া উচিত’, বিচারপতির প্রবল তাচ্ছিল্য! হাইকোর্টে শোরগোল

যার ফলে সংসারে আর্থিক অভাব ছিল। সংসারের পেছনে বেশ খানিকটা সাহায্য করতেন অপর্না দেবীর ভাই দেবাশীষ ঘোষ। দেবাশীষ বাবু তিন দিন আগে বেড়াতে গিয়েছিলেন। দু-থেকে তিন দিন দেবাশীষ বাবু কোনও ভাবে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না ওদের সঙ্গে।

আজ সকালে দেবাশীষ বাবু ঘটনাস্থলে আসেন। এসে দেখেন ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে প্রচন্ড গন্ধ বেরোচ্ছে। তারপর পুলিশে খবর দিলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। আর্থিক অনটনে আত্মহত্যা বলে অনুমান করছেন প্রতিবেশীরা। ঘটনাটি ঘটেছে গড়িয়া স্টেশন এলাকার উত্তর বালিয়ার একটি আবাসনে।

মঙ্গলে নবান্ন অভিযান, কোন কোন রাস্তা এড়িয়ে যাবেন? দেখুন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক নির্দেশিকা

#কলকাতা: রাত পোহালেই নবান্ন অভিযান৷ যারজেরে শহরের বিস্তীর্ণ অংশে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা। সমস্ত রকম সমস্যা এড়াতে মঙ্গলবার শহরের একাধিক রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে থাকবে৷ জারি করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক নির্দেশিকাও৷

অবরুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু, স্ট্র্যান্ড রোড, দ্বিতীয় হুগলি সেতু, কলেজ স্ট্রিট, মহাত্মা গান্ধি রোডের মতো একাধিক রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হতে পারে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত দ্বিতীয় হুগলি সেতু এবং দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত হাওড়া ব্রিজ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে৷ বিকল্প রাস্তা হিসাবে কলকাতা যাতায়াতের জন্য বালি ব্রিজ ও নিবেদিতা সেতু ব্যবহার করতে হবে।

বিজেপির নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে নবান্ন অভিযানে জমায়েত নিয়ে উদ্বিগ্ন বঙ্গ বিজেপি। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের অবশ্য অভিযোগ, শুধু প্রাকৃতিক বাধা নয়৷ নবান্ন অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্য সোমবার বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়া বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ বিজেপি-র অভিযোগ, পুলিশ অনেক জায়গায় বিজেপি কর্মীদের কলকাতায় আসতে দিচ্ছে না৷ কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, বালুরঘাটের মতো উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ট্রেনে ওঠার সময় বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ৷

আরও পড়ুন: ‘বিরোধীরা যাই বলুক, বুনিয়াদি শিক্ষায় সেরা বাংলাই’, মমতার মুখে সাফল্যের হিসেব

আরও পড়ুন: ‘আমি নিজেই ইনভেস্টিগেশন করি…’, ‘সত্যিই চাকরি রেডি তো?’ নথি ঘেঁটে উত্তর খুঁজলেন মমতা

খবর মিলেছে, নবান্ন অভিযানের অনুমতি দেয়নি হাওড়া পুলিশ। বিজেপিকে চিঠি পাঠিয়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে হাওড়া পুলিশের তরফ থেকে। ১৪৪ ধারা জারি থাকে নবান্ন সংলগ্ন এলাকায়। চারজনের বেশি জমায়েত করতে দেওয়া যায় না। হাওড়া ময়দান সংলগ্ন অঞ্চল খুব ঘিঞ্জি। মঙ্গলবার থাকায় ওই অঞ্চলের মঙ্গলা হাটও বসে। তাই প্রচুর মানুষের সমাগম হয় ওখানে। সাঁতরাগাছি জাতীয় সড়কের উপরও চাপ পড়ে। আইন অনুযায়ী ওখানে জমায়েত নিষিদ্ধ রয়েছে৷ পাশাপাশি বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা জনিত সমস্যা হয়েছে। চারটি এফআইআর হয়েছে। তাই নবান্ন অভিযান আপনারা করবেন না, এমনই বলা হয়েছে চিঠিতে৷ মোট তিনটি কারণ উল্লেখ করে নবান্ন অভিযানে না পুলিশের৷