তিরুবনন্তপুরম: ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা, সর্বত্রই অবাধ বিচরণ তাঁর। ৬৩ বছর বয়সে হঠাৎই চলে গেলেন সেই অভিনেত্রী কণকলতা। একাধিক সিনেমা-সিরিয়ালে সহায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সোমবার তিরুবনন্তপুরমে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হন কণকলতা। শোনা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে (২০২১ সাল থেকে) ডিমেনশিয়া এবং পারকিনসন্স রোগে ভুগছিলেন তিনি।
কোল্লাম জেলার ওচিরাতে জন্মগ্রহণ করেন মালয়ালাম অভিনেত্রী। মালয়ালম এবং তামিল ভাষায় ৩০০টিরও বেশি ছবি এবং বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিয়ালে কাজ করেছেন। ছোটবেলায় মঞ্চে অভিনয় দিয়েই তাঁর হাতেখড়ি। আর স্টেজই ছিল তাঁর পরিবারের আয়ের উৎস। শৈশবে খুবই আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে জীবন কাটিয়েছেন তিনি।
পরিচালক পিএ ব্যাকার মঞ্চে কণকলতার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে নিজের ছবিতে কাস্ট করেন। ‘উনারথুপাত্তু’তে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। যদিও দুর্ভাগ্যবশত ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি। কিন্তু এই ছবিরই একজন প্রযোজক লেনিন রাজেন্দ্রন পরে নিজের বানানো ছবিতে কণকলতাকে কাস্ট করেন। ১৯৮২ সালে ‘চিল্লু’ (1982)-ই কণকলতার প্রথম বড়পর্দায় ডেবিউ।
১৯৮০র দশকে যখন দূরদর্শন টেলিভিশন সিরিয়াল সম্প্রচার শুরু করে, তখন তিনি টওরু পু ভিরিয়ুনুটতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করতেন। এই সিরিয়াল খুব তাড়াতাড়ি প্রবল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৩ পর্বের এই সিরিয়াল সেই সময়ে কেরলের ঘরে ঘরে মানুষ দেখতে শুরু করেন। ফলে দর্শকদের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। পরে ১৯৯০-এর দশকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় মেগা সিরিয়ালের অংশ হয়ে ওঠেন।
তা ছাড়া একাধিক বড় ছবিতে প্রধান চরিত্রগুলির বোন বা মা হিসাবে অভিনয় করতে থাকেন। উল্লেখযোগ্য কিছু ছবির মধ্যে রয়েছে, ‘কিরীদাম’, ‘কৌরাভার’, ‘হরিকৃষ্ণানস’, ‘বন্ধুক্কল সাথরুক্কল’, ‘চেঙ্কোল’, ‘স্পাডিকাম’, ‘আদ্যাথে কানমানি’ এবং ওরু ‘যথরমোঝি’।
অসুস্থতার কারণে শেষের দিকে কাজের সংখ্যা তাঁর কমে যেতে থাকে। কণকলতার শেষ ছবি গণেশ রাজ পরিচালিত ২০২৩ সালের ‘পুক্কালাম’। সে রাজ্যের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সাজি চেরিয়ান তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।