লোকসভা নির্বাচন মেটার পর প্রথমবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজের মতামত ভাগ করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার প্রথম বারের মন কি বাতের অনুষ্ঠানে ৩০ জুন তারিখের বিশেষ গুরুত্বের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ‘মনের কথা’য় উঠে এল দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে এই বিশেষ তারিখের সম্পর্ক।
৩০ জুন হুল দিবস। প্রধানমন্ত্রীর রেডিও অনুষ্ঠানে তিনি বিশেষভাবে বললেন ‘হুল দিবস’ সম্পর্কে। সেইসঙ্গে তিনি জানালেন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে আদিবাসী জনজাতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে। ‘মন কি বাত’-এর ১১১ তম পর্বে প্রধানমন্ত্রী আদিবাসী সম্প্রদায়ের দ্বারা উদযাপন করা ‘হুল দিবস’ সম্পর্কে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “এই দিনটি বীর সিধু এবং কানহুর সাহসের সঙ্গে জড়িত, যাঁরা বিদেশী শাসকদের অত্যাচারের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন,” ১৮৫৭ সালে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত। তার আগেই ১৮৫৫ সালে সিধু এবং কানহুর নেতৃত্বে হাজার হাজার সাঁওতালি ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তুর্কমেনিস্তানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৩০০ তম জন্মবার্ষিকীর স্মরণের কথাও উল্লেখ করেছেন। যেখান রাষ্ট্রপতি ভারতের জাতীয় কবির একটি মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন।
নয়াদিল্লি: আজ, রবিবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির “মন কি বাত” অনুষ্ঠিত হয়। তিনি, সম্প্রতি সম্প্রচারিত কুয়েতের নতুন হিন্দি রেডিও প্রোগ্রাম “নমস্তে কুয়েত” এর ভূয়সী প্রশংসা করেন “মন কি বাত” অনুষ্ঠানে।
কুয়েত ন্যাশনাল রেডিওতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি এই সাপ্তাহিক আধ ঘণ্টার অনুষ্ঠান ‘কুয়েত রেডিও’তে সম্প্রচারের মাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতি উদযাপন করার জন্য কুয়েত সরকার এবং তাঁর জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুনঃ তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেই প্রথম ‘মন কি বাত’-এ বিরাট চমক নরেন্দ্র মোদির! দেশবাসীর কাছে করলেন বড় আবেদন
“মন কি বাতের ১১১তম পর্বের পরে ‘এক্স’-এ একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘‘কুয়েত সরকার তার জাতীয় রেডিওতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু করেছে এবং তাও হিন্দিতে… এই দুর্দান্ত উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমি কুয়েত সরকার এবং সেখানকার জনগণকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই।’’
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে কুয়েতে বসবাসকারী ভারতীয়দের মধ্যে এই কর্মসূচির জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করেন এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রাণবন্ত চিত্রায়ন এবং শিল্পকলা নিয়ে আলোচনার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। তিনি কুয়েতের স্থানীয়দের মধ্যে ভারতীয় সংস্কৃতির উপর ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কথাও উল্লেখ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধিতে এই কর্মসূচির ভূমিকার উপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর #MannKiBaat কুয়েত সরকারের #KuwaitNationalRadio প্রতি রবিবার হিন্দি ভাষার অনুষ্ঠান ‘নমস্তে কুয়েত’ শুরু করার উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। এ ব্যাপারে দূতাবাস কুয়েতের তথ্য মন্ত্রণালয়কে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।
Just another WordPress site