Tag Archives: Maruti

আসছে অল্টোর নতুন মডেল, ওজন কমছে ১০০ কেজি! অন্যান্য ফিচার দেখে নিন

কলকাতা : ভোল বদলাচ্ছে অল্টো। নতুন মডেল নিয়ে কাজ করছে দেশের সবচেয়ে বড় গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা মারুতি সুজুকি। কোম্পানি জানিয়েছে, পুরনো মডেলের তুলনায় এটা হবে একেবারে আলাদা।

ওজন কমবে, সঙ্গে থাকবে প্রযুক্তিগত আপডেটও। সূত্রের খবর, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে নতুন অল্টো।

রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে অল্টোর ওজন ৬৮০ কেজি। নতুন অল্টোর ওজন ৫৮০ কেজিতে নেমে আসতে পারে। অর্থাৎ প্রায় ১০০ কেজি ওজন কমবে।

আরও পড়ুন- পাহাড় ছিল স্বপ্ন, পাহাড়ই কাড়ল প্রাণ! ট্রেকিংয়ে গিয়ে ফিরল না বাবা, আফসোস মেয়ের

আরও ছোট এবং দক্ষ মডেল হিসাবে বাজারে আনার জন্যই অল্টোর ওজন কমাতে চায় সংস্থা। আকারও আগের তুলনায় কমবে বলে জানা গিয়েছে। তবে নতুন অল্টো মাইলেজ দেবে বেশি। প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালে বাজারে পা দিয়েছেন অল্টো। সেই সময় ইন্দো-জাপানি অটমেকাররা নিয়ে এসেছিলেন এই গাড়ি।

অনুমান করা হচ্ছে, নতুন অল্টোতে ওজন কমানোর পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। সম্প্রতি লঞ্চ হওয়া নতুন Swift-এ Z12 ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। একই ইঞ্জিন নতুন Dezire, Wagon R, Baleno এবং Frontex-এও দেখা যাবে।

এই ইঞ্জিন অল্টোতেও লাগানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নতুন অল্টোর ইলেকট্রিক সংস্করণ লঞ্চ করার প্রস্তুতিও চলছে। বিশেষ বিষয় হল এতে আরও বড় ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করা যাবে। এমনও দাবি করা হচ্ছে যে ব্যাটারির পাশাপাশি গ্রাহক এই গাড়িকে সিএনজি চালিত গাড়িতেও রূপান্তর করতে পারবেন।

আরও পড়ুন- বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত, ঝোড়ো হাওয়া! উত্তাল সমুদ্র, মৎস্যজীবীদের বড় নির্দেশ

বর্তমানে ভারতে চলে Maruti Suzuki Alto K10। এর দাম ৩.৯৯ লাখ টাকা থেকে শুরু। ম্যানুয়াল এবং AMT ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়। এতে 1.0 লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন রয়েছে যা ম্যানুয়াল এবং স্বয়ংক্রিয় গিয়ারবক্সের সঙ্গে সজ্জিত।

এর AMT ভেরিয়েন্টের দাম ৫.৫৬ লক্ষ টাকা থেকে শুরু। এক লিটারে ২৫ কিমি মাইলেজ দেয় Alto K10। মারুতি সুজুকির এই গাড়ি গ্লোবাল NCAP ক্র্যাশ টেস্টে ২ স্টার রেটিং পেয়েছে। নিরাপত্তার জন্য এই গাড়িতে দেওয়া হয়েছে অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম, এয়ার ব্যাগ, ইলেকট্রনিক স্ট্যাবিলিটি কন্ট্রোল, সিট বেল্ট এবং ডিস্ক ব্রেক।

‘এই’ গাড়ি এখন চোরদের টার্গেট! সাইলেন্সার খুলে বেচে দিলেই মোটা টাকা

কলকাতা: মারুতি ইকো সহ অনেক গাড়ি থেকে সাইলেন্সার চুরির ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। এটি শুধুমাত্র একটি ছোট চুরি নয়, এটি গুরুতর দিকে যেতে পারে। ক্রমাগত চুরির ঘটনায় মানুষ তাদের গাড়ি নিয়ে চিন্তিত। যাই হোক, আজ আমরা এই প্রতিবেদনে বলতে যাচ্ছি কেন এটি ঘটছে।

মারুতি ইকোর সাইলেন্সার কেন বেছে নেওয়া হচ্ছে –

কনভার্টার: মারুতি ইকো গাড়ির সাইলেন্সারে একটি ক্যাটালিটিক কনভার্টার রয়েছে যা প্ল্যাটিনাম এবং প্যালাডিয়ামের মতো মূল্যবান ধাতু দিয়ে গঠিত। এই ধাতু স্ক্র্যাপ বাজারে খুব দামি। যা অনেক টাকায় বিক্রি হয়।

আরও পড়ুন- ফোনের খালি বক্স আবর্জনা ভেবে ফেলবেন না,এতে লুকিয়ে ‘গুপ্তধন’!নানা সমস্যার সমাধান

সহজেই অপসারণযোগ্য: মারুতি ইকো গাড়ির সাইলেন্সারটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, এটি সহজেই অপসারণ করা যায়।

চাহিদা: বাজারে পুরনো বা ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাটালিটিক কনভার্টারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

কীভাবে এই সমস্যা মোকাবিলা করা যেতে পারে –

পুলিশের ভূমিকা: এই ব্যাপারে পুলিশকে সক্রিয় হতে হবে। চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং স্ক্র্যাপ মার্কেট মনিটরিং করতে হবে।

গাড়ি সংস্থাগুলির দায়িত্ব: গাড়ি সংস্থাগুলিকে এমন সাইলেন্সার ডিজাইন করা উচিত, যা সহজে সরানো যায় না। এগুলি ছাড়াও, তারা গ্রাহকদের সাইলেন্সার লকের মতো অতিরিক্ত সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যও সরবরাহ করতে পারে।

সচেতনতা প্রচার: এই সমস্যা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা খুবই জরুরি। তাদের গাড়ির সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে উদ্বুদ্ধ করা উচিত।

বিমা: গাড়ির মালিকদের তাদের গাড়ির বিমা করা উচিত, যাতে তারা চুরির ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন না হয়।

আরও পড়ুন- চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম, এই নম্বরগুলোকে দু’বছরের জন্য ব্ল্যাকলিস্টেড করা হবে

প্রযুক্তিগত সমাধান: জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম এবং অ্যালার্ম সিস্টেমের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো যেতে পারে।

এই সমস্যার ফলাফল –

অর্থনৈতিক ক্ষতি: গাড়ির মালিকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

নিরাপত্তার ঝুঁকি: সাইলেন্সার ছাড়া গাড়ি চালানো বিপজ্জনক হতে পারে।

পরিবেশ দূষণ: সাইলেন্সার ছাড়া গাড়ি বেশি শব্দ করে, যা পরিবেশ দূষণ ঘটায়।

সাইলেন্সার চুরি একটি গুরুতর সমস্যা, যার জন্য সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এই সমস্যা মোকাবিলায় পুলিশ, গাড়ি কোম্পানি, সরকার ও সাধারণ মানুষকে সম্মিলিত করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

১৯৮৩ সালে এল, ২০১৪-তে বিদায়! মধ্যবিত্তের ‘স্বপ্ন’ ছিল এই গাড়ি, এখন অতীত!

কলকাতা: বছরের পর বছর ধরে, দেশের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা, Maruti Suzuki India, Alto, WagonR, Swift, Baleno এবং Brezza-এর মতো সহ বেশ কয়েকটি বেস্টসেলার গাড়ি বাজারে এনেছে।

এর মধ্যে এমন একটি মডেল রয়েছে যা আজও আমাদের অত্যন্ত পছন্দের। সেই সময় এই গাড়িটি ভারতীয় মধ্যবিত্তের কাছে এক স্বপ্ন স্বরূপ। আমরা বলছি কিংবদন্তি গাড়ি Maruti 800-এর কথা।

Maruti 800 ভারতে ১৯৮৩ সালে লঞ্চ করা হয়েছিল, তখন যার দাম ছিল ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা (এক্স-শোরুম)। দিল্লি-ভিত্তিক এক ভদ্রলোক, হরপাল সিং, Maruti 800-এর প্রথম মালিক ছিলেন।

আরও পড়ুন- ভারতে যাত্রা শুরু করল গুগল ওয়ালেট, গুগল পে-র থেকে কতটা আলাদা গুগল ওয়ালেট?

নিজেদের গাড়িকে আরও গুরুত্বপূর্ণ আরও স্পেশাল করে তুলতে ১৪ ডিসেম্বর ১৯৮৩ তারিখে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি প্রথম গাড়িটির চাবি শ্রী হরপাল সিং এস/ও হরিদাস সিং-এর কাছে হস্তান্তর করেন। ওই ভদ্রলোক গাড়িটি লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে জিতেছিলেন।

নতুন মডেল আসার সঙ্গে সঙ্গেই এরপর Maruti 800-এর ভলিউম হ্রাস পেতে থাকে, বিশেষ করে ২০১০ সাল থেকে এর বিক্রি এক ধাপে অনেকটাই কমে যায়। এরপর অবশেষে ২০১৪ সালে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ৩১ বছরের দীর্ঘ মেয়াদে, Maruti 800-এর ক্লক ভলিউম প্রায় ২,৯১৭,০০০ ইউনিট রয়েছে।

ভারতে মাত্র চারটি গাড়িই Maruti 800-এর চেয়ে বেশি ভলিউম নথিভুক্ত করেছে৷ এগুলি হল Maruti Suzuki Alto, Hyundai i10 Brand (i10, i10 Grand এবং Grand i10 Nios), Maruti Suzuki Swift এবং Maruti Suzuki WagonR৷

Maruti 800 বন্ধ করার সময়, Maruti 800-এর অন্যতম ফিচার ছিল 796cc, 3-সিলিন্ডার, 37bhp সহ পেট্রোল ইঞ্জিন এবং 59Nm পিক টর্ক। ইঞ্জিনটি একটি ৪-স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশনের সঙ্গে মিলিয়ে কাজ করত।

আরও পড়ুন- এসি অনলাইন কেনা ভাল? নাকি অফলাইন! জানা থাকলে টাকা বাঁচে, সুবিধাও অনেক

এয়ার কন্ডিশনার সহ Maruti 800-এর পেট্রোল সংস্করণের দাম ছিল প্রায় ২.২০ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। এই গাড়িটি ২০০৪ সাল পর্যন্ত ভারতে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত গাড়ির তালিকায় ছিল।

এটি নেপাল, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা সহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশেও রফতানি করা হয়। এমনকি এটি মরক্কো এবং নির্বাচিত কিছু ইউরোপের দেশের বাজারেও পাওয়া যেত।