লাইফস্টাইল Periods Problem: কতদিন পিরিয়ডস delay হলে চিন্তা করবেন না? রইল পিরিয়ডসের ডেটের হিসেব নিকেশ Gallery May 9, 2024 Bangla Digital Desk সাধারণত মহিলাদের পিরিয়ডসের মাসিক চক্র ২৮ দিনের হয়৷ তবে প্রতিটি মহিলার ক্ষেত্রে তা কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে৷ কারও ক্ষেত্রে তা ২৫-২৬ দিনের সাইকেলও হতে পারে৷ ফলে পিরিয়ডসের ডেট মিস করলে একটা চিন্তা থেকে যায়৷ কতদিন পর্যন্ত পিছতে পারে এই পিরিয়ডস? তবে কোনও বিশেষ ক্ষেত্রে পিছিয়ে যেতে পারে৷ এক হল আপনি গর্ভবতী। সেক্ষেত্রে আপনার একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা উচিত। আরেকটি হল অনিয়মিত পিরিয়ড। এটি ওষুধের প্রভাব, মানসিক চাপ, পরিবেশগত পরিবর্তন বা এন্ডোক্রাইনকে প্রভাবিত করে এমন কিছু রোগের কারণে হতে পারে। স্বাভাবিকভাবে পিরিয়ডের ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৫ দিন বিলম্ব হলে চিন্তার কিছু নেই৷ তবে লক্ষ্য রাখবেন যে এই ব্যবধানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রয়েছে কিনা৷ সাধারণত যৌনভাবে সক্রিয় থাকলে আপনার চক্রের ৫ দিন দেরিতে বা ৫ দিন আগেও হতে পারে পিরিয়ডস৷ যতক্ষণ না এটি একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার আশেপাশে পরিবর্তিত হয়। আবার কখনও ওজন হ্রাস এবং হাইপারথাইরয়েডিজমের মতো অবস্থার উপর নির্ভর করে এটি এক সপ্তাহের বেশিও পিছিয়ে যেতে পারে৷ কী কী কারণে পিরিয়ডস পিছিয়ে যেতে পারে? মূল কারণ অবশ্যই স্ট্রেস৷ স্ট্রেস আপনার মাসিকের ছন্দে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে৷ হরমোনের সমস্যার জন্যও হাতের বাইরে চলে যেতে পারে এই সমস্যা৷ PCOS-এর মতো অবস্থার ফলেও পিরিয়ডস অনিয়মিত হতে পারে৷ স্বাভাবিক ভাবে ৫-৬ দিন দেরি হতে পারে৷ কিছু মহিলা যারা প্রচুর স্ট্রেস নেন তাদের ক্ষেত্রে এটি ১০-১১ দিনও হতে পারে৷ এটা নির্ভর করে আপনি কতটা স্বাস্থ্যকর খাচ্ছেন, আপনার রেস্ট টাইম ও শরীরচর্চার উপর৷ মাসিক চক্র সাধারণত ২৮ থেকে ৩০ দিন হয়। প্রায় ৭ দিন এগিয়ে বা বিলম্বিত এখনও স্বাভাবিক সীমার মধ্যে, চক্রের দৈর্ঘ্য ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবর্তিত হয়।Disclamer: এই মতামত News18বাংলার নিজস্ব মত নয়৷ প্রচলিত ধারণার ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন৷ সঠিক ফল পেতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷
লাইফস্টাইল Periods Syncing: পিরিয়ড কি সত্যি ছোঁয়াচে? ঋতুচক্র চলাকালীন মহিলারা একে অপরের সংস্পর্শে এলেই… অবিশ্বাস্য ঘটনা! Gallery March 30, 2024 Bangla Digital Desk ঋতুচক্র বা মাসিক নিয়ে নানা ধরনের মিথ বা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। যুগের সঙ্গে সঙ্গে একাধিক ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে গিয়েছে। একাধিক বিষয়ে এখন মেয়েরা প্রকাশ্যে এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছেন বলে অনেক ধারণা স্পষ্ট হয়। এমনই একটি মিথ রয়েছে, মহিলারা একসঙ্গে থাকলে পিরিয়ড সিঙ্ক হয়ে যায়, অর্থাৎ একই সময়ে শুরু হয়ে যায় মাসিক। ঋতুচক্রের সমন্বয়ের পিছনে আসল তত্ত্বটি কী? এটি আদৌ কি সত্যি? আপনি নিজে কখনও খেয়াল করে দেখেছেন, আপনার রুমমেট বা সহকর্মীর পিরিয়ডের তারিখ মিলে যাচ্ছে? আপনার তারিখ হয়তো অনেকটাই দূরে, তা সত্ত্বেও আপনার কাছাকাছি থাকা মহিলার পিরিয়ড হওয়ার পরেই আপনারও হয়ে গেল মাসিক। এটা কি শুধু ঘটনাক্রম নাকি এর পেছনে কোনও যুক্তি রয়েছে? একটি জনপ্রিয় বিশ্বাস কয়েছে, মহিলারা একসঙ্গে খুব বেশি সময় কাটালে তাঁদের প্রতি মাসে একই তারিখে মাসিক শুরু হয়। একে বলা হয় পিরিয়ডস সিঙ্কিং, মেনস্ট্রুয়াল সিঙ্ক্রনি অথবা ম্যাকক্লিনটক এফেক্ট। একজন মহিলা অন্যজনের সংস্পর্শে এলে ফেরোমোনগুলি একে অপরকে প্রভাবিত করে, যাতে অবশেষে তাঁর মাসিক চক্র একত্রিত হয়। মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞরা এই ধারণাটিকে গুরুত্ব দিয়ে শুরু করে একটি ঘটনার পরে। মার্থা ম্যাকক্লিনটক নামে একজন গবেষক ১৩৫ জন কলেজ পড়ুয়াদের উপর গবেষণা চালান। একসঙ্গে রাখা হয় তাঁদের। গবেষণায় অন্যান্য কারণগুলি পরীক্ষা করা হয়নি তবে শুধুমাত্র মহিলাদের মাসিক শুরু হলে তা ট্র্যাক করা হয়েছে। মিলে যায় এই ঘটনাটি। এর পরে পিরিয়ড সিঙ্কিংকে ‘ম্যাকক্লিনটক এফেক্ট’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে নতুন গবেষণায় বলা হয়, এই ধারণা ভুল। এই গবেষণাটি চিনে একসঙ্গে একটি ডর্মেটরিতে থাকা ১৮৬ জন মহিলার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। গাণিতিক কাকতালীয় ছাড়া অন্য কোনও কারণ নেই বলেই দাবি করা হয়। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং একটি পিরিয়ড ট্র্যাকিং অ্যাপ কোম্পানির গবেষণায় ১,৫০০ জনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং দেখা গিয়েছে, মহিলারা একে অপরের কাছাকাছি থেকেই মাধ্যমে একে অপরের পিরিয়ড চক্রকে ব্যাহত করতে পারে। পিরিয়ড সিঙ্ক করা বাস্তব কিনা তা বলা কঠিন কারণ আমরা নিশ্চিতভাবে জানি না যে ফেরোমোন (রাসায়নিক সংকেত যা আমরা আমাদের আশেপাশের অন্যান্য মানুষকে পাঠাই) আপনার পিরিয়ডকে প্রভাবিত করতে পারে নাকি পারে না। কিন্তু এই ঘটনা বারবার লক্ষ্য করা গিয়েছে।