: ব্যবসায় সফল হতে চাইলে কঠোর পরিশ্রম এবং ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতার প্রয়োজন হয়। এই গুণাবলীর ভিত্তিতে অনেকেই সফল উদ্যোগপতি হয়ে ওঠেন। মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগরের রেণুকা মল্লিকও এমনই একজন মহিলা, যিনি ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। আর আজ তিনি একজন সফল উদ্যোগপতি। তাঁর আয়ও এখন প্রচুর। তবে তাঁর যাত্রা শুধু ব্যবসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আসলে বহু মানুষকে অনুপ্রেরণাও জোগাচ্ছেন তিনি।এক সিঙ্গেল মাদারের সাফল্যের গল্প: রেণুকা বলেছেন যে, তাঁর বয়স যখন মাত্র ২৫ বছর, তখন তাঁর স্বামী এক দুর্ঘটনায় মারা যান। সেই সময় তাঁর দুই সন্তান ছিল। এর মধ্যে একজনের বয়স পাঁচ বছর আর অন্যজনের বয়স দেড় বছর। ফলে তাঁর সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, একা হাতে নিজের সন্তানদের মানুষ করা। প্রথম ২-৩ বছর কেটেছে সেই চিন্তাতেই।তবে পাশে পেয়েছিলেন নিজের বাবা এবং ভাইকে। কিন্তু কতদিনই বা তাঁদের উপর নির্ভর করা যেত। ফলে নিজেই ময়দানে নেমে কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন রেণুকা। প্রথম দিকে নিজের কলোনিতে একটি ছোট্ট দোকান খোলেন। প্রায় ৪-৫ বছর ধরে সেই দোকান চালান তিনি। তবে তাতে প্রত্যাশিত সাফল্য না পাওয়ায় দোকান বন্ধ করে দেন তিনি।এরপর শাড়ির ব্যবসা শুরু করেন রেণুকা। এতে কিছু অর্থ উপার্জন হয়, কিন্তু তবুও সন্তুষ্ট হননি তিনি। এদিকে সকলেই তাঁর রান্নার প্রশংসা করেন দেখে তিনি হোটেল ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবেন। এরপর ছত্রপতি সম্ভাজিনগরের জ্যোতি নগর এলাকায় ‘তুলজাই কিচেন’ নামে একটি ছোট্ট হোটেল খোলেন। শুরুতে মাত্র ২ জন কর্মচারী ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ব্যবসার প্রসার ঘটতে থাকে এবং তিনি সাফল্য পেতে শুরু করেন।অন্য মহিলাদের কর্মসংস্থান: রেণুকা এই ব্যবসার মাধ্যমে নিজের দুই সন্তানকে মানুষ করেছেন। এখানেই শেষ নয়, অন্য মহিলাদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। গর্ব করে বলেন যে, “আজ আমার সঙ্গে ১৭ জন মহিলা এবং ৫ জন বাচ্চা কাজ করছে। নিজের জন্য যে ব্যবসা শুরু করেছি, সেখানে এখন অন্যদেরও কাজ করার সুযোগ দিতে পারছি। আমার বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকারও বেশি। রেণুকার বার্তা, “আমি সমস্ত মহিলাকে বলতে চাই যে, আপনি যদি ব্যবসা করতে চান, তবে সাহস রাখুন আর অবশ্যই ব্যবসা করুন। এতে সাফল্য আসবেই।”
