বিনোদন Nana Patekar Tragedy: মর্মান্তিক! সন্তানের মৃত্যু হয় চোখের সামনে, ‘জন্মের পরই ছেলের অসুখ দেখে যা মাথায় এসেছিল… খারাপ মানুষ আমি’, বললেন নানা পটেকর Gallery July 1, 2024 Bangla Digital Desk কখনও খলনায়ক হিসেবে মানুষের মনে ঘৃণা-ভয় তৈরি করেছেন, কখনও বা কৌতুক চরিত্রে অভিনয় করে নির্মল আনন্দ দিয়েছেন দর্শকদের। সেই অভিনেতা নানা পটেকরের জীবনের উপর দিয়ে মর্মান্তিক ঝড় বয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। বড় ছেলের মৃত্যু, দাদার মৃত্যু, মায়ের মারধরের শিকার হওয়া এবং নিজের বদমেজাজের কারণ, যা সম্ভবত তাঁর মায়ের থেকে পাওয়া, সবকিছু নিয়ে কথা বললেন নানা। নানার বড় ছেলে জন্ম থেকেই একাধিক জটিল রোগের শিকার ছিল। একরত্তির ঠোঁটের অসুখ ছিল। ক্লেফট প্যালট নিয়ে জন্মেছিল সে। তার উপরে একটি চোখে দেখতে পেত না সে। সাক্ষাৎকারে নানা বলেন, ‘‘বড় ছেলে জন্মানোর পরেই যেটা মাথায় এসেছিল, লোকে আমাকে নিয়ে কী ভাববে, ওকে নিয়ে নয়, মানুষকে নিয়ে ভেবেছি আমি। কতটা খারাপ মানুষ আমি।’’ নানার কথায়, ‘‘ছেলের নাম রাখা হয়েছিল, দুর্বাসা। ক্ষিপ্ত প্রকৃতির ঋষির নাম ছিল এটি।’’ মাত্র আড়াই বছর বয়সে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় সেই একরত্তি। উঁচু বিল্ডিং থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তার। ছেলের মৃত্যুর পর নানা উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করতে শুরু করেন। মদ্যপান সেভাবে না করলেও চিমনির মতো ধূমপান করতেন। দিনে প্রায় ৬০টি। এমনকি স্নান করতে করতেও সিগারেট খেতেন। আর এই পরিমাণ ধূমপান করার জন্য তাঁর গাড়িতে কেউ বসতে চাইতেন না। এত গন্ধে টেকা যেত না। এমনকি তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গেও থাকতেন না। স্ত্রীর সঙ্গে বহু বছর একত্রযাপন করেননি নানা। তাঁর বৃদ্ধা মাকেও দেখাশোনা করতেন তাঁর স্ত্রী। নানা তখন দূরে নিজের মতে জীবনযাপন করতেন। নানার আর একটি ছেলে রয়েছেন, যাঁর নাম মালহর পটেকর।
বিনোদন Nana Patekar On Tanushree Dutta: তনুশ্রীকে জোর করে কী করেছিলেন? শ্যুটিং সেটের সেই ভয়াবহ অভিযোগে মুখ খুললেন নানা Gallery June 23, 2024 Bangla Digital Desk গোটা বলিউডে ঢেউ উঠেছিল মিটু আন্দোলনের। সৃষ্টি হয়েছিল এই ঘটনার হাত ধরেই। ২০০৮ সালে একটি ফিল্মের সেটে বাঙালি অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তকে নানা পাটেকর জোর করে ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ২০১৮ সালে মিটু আন্দোলনের সময় নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেতা তনুশ্রী দত্ত। ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির একটি গানের শ্যুটিংয়ের সময় তিনি তাঁর সঙ্গে শ্লীলতাহানি করেছিলেন বলে অভিযোগ নিয়ে নতুন করে বিবৃতি দিলেন নানা পাটেকর। এক সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেন, তিনি প্রথম থেকেই জানতেন যে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, যে কারণে তিনি কখনও রাগ করেননি। নানা বললেন, ‘আমি জানতাম পুরোটাই মিথ্যে। তাই রাগ করিনি। সবই যখন মিথ্যা, তখন আমি রাগ করব কেন? আর এ সবই জিনিসই পুরনো। এর আগেও হয়েছে। এই নিয়ে কী আর কথা বলব। সেই সময় আমি কী বলতে পারি যখন এরকম কিছু ঘটেনি?’ তাঁর আরও দাবি, ‘হঠাৎ কেউ বলছে তুমি এটা করেছ, তুমি ওটা করেছ। এত কিছুর কি জবাব দিতাম? আমার কি বলা উচিত ছিল, যে আমি এটা করিনি? আমি সত্যিটা জানি যে, আমি কিছুই করিনি।’ তনুশ্রী ২০১৮ সালে ভারতে মি টু আন্দোলন শুরু করেছিলেন যখন তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, নানা পাটেকর, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য এবং পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী একটি ছবির শুটিংয়ের সময় তাঁর সঙ্গে অনুপযুক্ত আচরণ করেছিলেন। অভিনেত্রীর আরও অভিযোগ, ‘আমি রাজি না হওয়ায় একটি রাজনৈতিক দলের কিছু কর্মীকে ডেকে আনেন নানা। তারা আমার গাড়িতে ভাঙচুর করে। আমাকে অন্তরঙ্গ হওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। আর নানার সঙ্গে যোগ দেন কোরিওগ্রাফার গণেশ আচারিয়া এবং রাকেশ সরং-সহ সেটের অধিকাংশই দল পাকিয়ে এই কাজ করেন। যে কারণে আমি ওই আইটেম সং থেকে নিজেকে সরিয়ে নিই।’ তনুশ্রীর বক্তব্য ছিল, ঘটনা সবাই জানলেও কেউ এ নিয়ে টুঁ-শব্দটিও করেননি। সংবাদমাধ্যমও সব জেনেশুনেও চেপে গিয়েছিল। একটি বেসরকারি বিনোদন চ্যানেলে অভিনেত্রীর এই সাক্ষাৎকার সম্প্রচার হতেই তখন বিতর্ক উস্কে উঠেছিল।