Tag Archives: Navdeep Saini

নবদীপ সাইনি: জীবন, কেরিয়ার, সাফল্য এক ঝলকে

পুরো নাম: নবদীপ অমরজিৎ সাইনি

জন্ম: ২৩ নভেম্বর ১৯৯২

উচ্চতা: ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার)

জাতীয়তা: ভারতীয়

ক্রীড়াবিদ: বাম-হাতি ব্যাটার, বাম-হাতি ধীর গতির চায়নাম্যান বোলার

পরিবার:

পিতা: অমরজিৎ সিং সাইনি

নবদীপ সাইনি জন্মেছেন হরিয়ানার কারনালে। তাঁর বাবা ছিলেন হরিয়ানা সরকারের প্রাক্তন ড্রাইভার। নবদীপের একটি ভাই রয়েছে, যাঁর নাম মনদীপ সিং সাইনি। তাঁদের দাদু করম সিং ছিলেন এক জন স্বাধীনতা সংগ্রামী। সুভাষচন্দ্র বসুর ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর অংশ ছিলেন করম সিং। 

কেরিয়ারের সূচনা:

নবদীপ সাইনি হলেন এক জন ভারতীয় ক্রিকেটার। ২০১৩-১৪ রঞ্জি সিজনে রোশনারা ক্লাব গ্রাউন্ডে প্রথম শ্রেণীর অভিষেক হয় ২১ বছর বয়সী নবদীপের। যদিও তিনি দিল্লির খেলোয়াড় ছিলেন না বলে ডিডিসিএ সিলেকশন কমিটি তাঁকে নির্বাচন করতে চায়নি, তবে গৌতম গম্ভীর সমর্থন করেছিলেন তাঁকে। সেই সঙ্গে নবদীপকে নির্বাচন করতে বাধ্য করেছিলেন নির্বাচকদেরকেও। প্রথমে প্রতি ম্যাচে সাইনিকে দেওয়া হত মাত্র ২০০ টাকা। 

আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্থান:

নবদীপের নিখুঁত গতি প্রায় সকলকেই মুগ্ধ করেছিল। এর পর শীঘ্রই ভারতীয় দলে খেলার জন্য ডাক বাড়তে থাকে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নবদীপ সাইনির চিত্তাকর্ষক পারফরমেন্সের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান-ডে ক্যাপে খেলার সুযোগ পান তিনি। ভারতের স্কোয়াডে বড়-বড় নামীদামি খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও নবদীপের জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার বিষয়টা সহজ ছিল না। সত্যিই কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন এই তরুণ ক্রিকেটার।  

২০১৯ সালের আইপিএল পারফরমেন্সের পর ভারতীয় দলে খেলার সুযোগ দেওয়া হয় নবদীপকে। ক্রিকেটের ভাষায় টি-২০ পাওয়ার হাউস ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় তাঁর। প্রথম বাউন্সেই নিকোলাস পুরনকে আউট করেন। আর তার পরের বলেই শিমরন হেটমায়ারের উইকেট নেন নবদীপ। এর পরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কায়েরন পোলার্ডকে ৪৯ রানে আউট করে প্রথম ম্যাচেই ৩টি উইকেটের খেতাব অর্জন করেন নবদীপ। এর পর থেকে আর তাঁকে কোনও দিন পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বোলিং দক্ষতার পরিচয় দিয়ে ভারতীয় দলে পেসারের বিকল্পের তালিকায় নিজের নামকে শীর্ষে রেখেছেন নবদীপ সাইনি।  

ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চিত্তাকর্ষক পারফরমেন্সের পরে নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য দুটি টেস্ট স্কোয়াডে যুক্ত করা হয় নবদীপ সাইনিকে।

আইপিএল কেরিয়ার:

ঘরোয়া সার্কিটের পর ২০১৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলার সুযোগ পান নবদীপ সাইনি। তবে খুব বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে সুযোগ পাননি তিনি এবং এক বছর পরে ২০১৯ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলে খেলার সুযোগ পান তিনি। নিলামে তাঁকে নিয়ে রীতিমতো টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছিল। শেষে আরসিবি ৩ কোটি টাকার বিনিময়ে নবদীপকে কিনে নেয়। ওই মরসুমে ১৩টি ম্যাচ খেলে তিনি উইকেট নেন ১১টি। তাঁর বোলিং পেস এবং সঠিক প্লেসমেন্ট জাতীয় দলের নির্বাচকদের মন জয় করে নেয় এবং সেখান থেকে তাঁকে ব্লু জার্সিতে মাঠে নামার জন্য ডাকা হয়। ২০২২ সালের মেগা নিলামে রাজস্থান রয়্যালস নবদীপকে স্কোয়াডে যুক্ত করে। 

রেকর্ড:

  • ২০১৭-১৮ মরসুমে রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট টেকার হিসেবে রেকর্ড গড়েছেন নবদীপ।
  • ২০১৮-১৯ বিজয় হাজারে ট্রফিতে শীর্ষস্থানীয় উইকেট টেকার হিসেবেও রেকর্ড রয়েছে নবদীপ সাইনির।

পুরস্কার:

  • টি-টোয়েন্টি অভিষেকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন নবদীপ সাইনি।

‘টিমওয়ার্ক’: রবীন্দ্র জাদেজার জন্য কলার খোসা ছাড়িয়ে দিলেন নবদীপ সাইনি

#সিডনি: সিডনিতে ভারতীয় দলের ‘টিমওয়ার্ক’ দেখল ড্রেসিংরুমও৷ কলার খোসা ছাড়িয়ে দিলেন নবদীপ সাইনি, খেলেন রবীন্দ্র জাদেজা৷ আঙুলের চোটের জন্য জাদেজার পক্ষে এক হাতে কলার খোসা ছাড়িয়ে খাওয়াটা কার্যত কঠিন ছিল৷ কিন্ত সতীর্থ সাইনির জন্য সেই কাজটা আর করতে হল না জাড্ডুকে৷ তিনি প্যাড-আপ করে সাজঘরে বসে রইলেন, সাইনি কলারা খোসা ছাড়িয়ে দেশের এক নম্বর অলরাউন্ডারের মুখের সামনে তুলে ধরলেন৷

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করার সময় অজি পেসার মিচেল স্টার্কের একটা আগুনে গতির বল জাদেজার গ্লাভসে এসে লেগেছিল। পরে স্ক্যান রিপোর্টে জানা যায় যে, জাদেজার বুড়ো আঙুলের হাড় সড়ে গিয়েছে ও চিড় ধরেছে। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পারবেন না। এমনকী শেষ টেস্টেও খেলা হবে না তাঁর। কিন্তু চতুর্থ দিনের শেষে খুব একটা সুবিধাজনক জায়গায় ছিল না অজিঙ্কা রাহানের টিম।

জাদেজা নিজেই জানান যে, এমন অবস্থায় তিনি ইনজেকশন নিয়ে হলেও খেলতে রাজি আছেন। দলের ডাক্তার এবং ফিজিওরা আলোচনা করে জানায় যে, জাদেজা যদি ইনজেকশন নিয়ে ব্যাট করতে নামেন, তাহলে তিনি ব্যাথা অনুভব করবেন না ঠিকই। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাঁর সুস্থ হয়ে উঠতে অনেকটা বেশি সময় লাগবে। প্রায় ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। জাদেজা প্যাড আপ করে থাকলেও তাঁকে আর নামতে হয়নি৷ চেতেশ্বর পূজারা, ঋষভ পন্থ খেলে যাওয়ার পর আর অশ্বিন ও হনুমা বিহারীর লড়াইয়ে ভারত টেস্ট ড্র করে৷