কোনও প্রাণিহত্যা না হলেও বাঙালি হেঁশেলে দীর্ঘ দিন ধরে মুসুরডালকে আমিষ খাবার হিসেবেই ধরা হয়। ফলে কোনও পুজো অর্চনায় বা উপবাসভঙ্গের সময় এই ডালকে ধরা হয় না।
ভেষজ বা উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হলেও এই ডালকে গণ্য করা হয় আমিষ হিসেবেই। তাই বিশেষ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ হয়ে যায়। মুসুরডালকে কেন আমিষ খাবারের তালিকায় ফেলা হয়, সে বিষয়ে বলেছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল।
মুগ, মুসুর, মটর, ছোলা, বিউলি, খেসারি-সহ সব ডাল থেকেই আমরা কম বেশি প্রোটিন পাই৷ নিরামিষাশীদের ডায়েটে প্রোটিনের অন্যতম উৎস ডাল।
মুসুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি৷ মুসুর ডালে ২২.৩ ভাগ প্রোটিন থাকে৷ সয়াবিনে প্রোটিনের অংশ ৪৩ ভাগ৷
শুধু মুসুর ডালই নয়৷ প্রাণিজ উৎস না হলেও বেশ কিছু খাবারকে আমিষ হিসেবে ধরা হয়৷
পেঁয়াজ, রসুন, পুঁইশাক, মাসকলাই, গাজর, সয়াবিনের মতো খাবারগুলিও আমিষের পরিচয় পায়৷
এই খাবারগুলির উৎস ভেষজ হলেও প্রোটিনের পরিমাণ বেশি৷ ফলে এই খাবারগুলি আমিষ হিসেবে পরিগণিত হয়৷
