দার্জিলিং: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভ। স্মারকলিপি জুনিয়র ও পিজিটি চিকিৎসকদের। বুধবার রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, প্রিন্সিপাল ও সুপারকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। শাসকদলের ছাত্রনেতা অভীক দে ও তাঁর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব চিকিৎসকেরা। অভীক দে-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। শুধু তাই নয়, ছাত্রনেতাকে মেডিক্যাল কলেজে ঢুকতে না দেওয়ার দাবি জুনিয়র চিকিৎসক পড়ুয়াদের। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে থ্রেট কালচার চলছে। হুমকি ও হুঁশিয়ারির মাধ্যমে ভীত জুনিয়র চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: রোদ ঝলমলে দিন বদলে যাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে! গৌড়বঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়ার বড় খবর
এই অভিযোগ তুলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অধ্যক্ষকে ক্ষোভ জুনিয়র ও পিজিটিদের। এদিন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, অধ্যক্ষ ডঃ ইন্দ্রজিৎ সাহা, সুপার ডঃ সঞ্জয় মল্লিককে ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করার পর স্মারকলিপি দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান অভিযোগকারীরা। অভিযোগকারীদের দাবি ছাত্র ইউনিট ভেঙে, থ্রেট কালচার নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা-সহ হস্টেল সুপার-সহ একাধিক বিভাগ যা চলছে তা ভেঙে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রেসক্রিপশনে এ কী লিখলেন ডাক্তার? মুহূর্তে ভাইরাল, দেখুন
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় পিজিটি, জুনিয়র, হাউস স্টাফ-সহ সার্জারি বিভাগের প্রধান-সহ অন্যান্যরা। গত সোমবার রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কর ভট্টাচার্য প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানান, ওই ছাত্রনেতাকে বরখাস্ত করা হল। তাঁর বিরুদ্ধেই উঠছিল জোর করে চাপ দিয়ে নম্বর বাড়ানোর অভিযোগ। আরজি করের সেমিনার রুমে এক লাল জামা পরা যুবককে দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন ভাইরাল ভিডিওতে। লালবাজার যাঁকে ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞ বলেছিল। সেই ব্যক্তিই এই ছাত্রনেতা বলে অভিযোগ।