ব্যবসা-বাণিজ্য Money Making Tips: এই ৪টি বিষয় অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলুন, টাকাপয়সা নিয়ে ভাবতে হবে না কোনওদিন Gallery September 14, 2024 Bangla Digital Desk আর্থিক স্বাধীনতা চাইলে টাকাপয়সার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। টাকা কোথা থেকে আসছে, কীভাবে খরচ হচ্ছে, কতটা সঞ্চয় হচ্ছে এবং কোথায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে – এই চারটি বিষয় যেন নখদর্পণে থাকে। একেই বলা হয় মানি ম্যানেজমেন্ট। শুরুতে কাজটা কঠিন মনে হতে পারে। ধীরে ধীরে আয়ত্তে চলে আসবে। মাথায় রাখতে হবে, ব্যক্তিগত আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এই বোধ থাকা জরুরি। উপার্জন, সঞ্চয়, খরচ, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ তৈরি, ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা এবং সামগ্রিক জীবন পরিকল্পনা বিবেচনা করে সঠিক আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে পারাটাই আসল। আয়: পার্সোনাল ফাইন্যান্সের চারটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল অর্থ উপার্জন। সাধারণত আয়ের একটাই উৎস থাকে। সেটা চাকরি হতে পারে কিংবা ব্যবসা। করোনার সময় অনেকের চাকরি চলে যায়, বেতনে কাটছাঁট হয়। সংসার চালাতে রীতিমতো লড়াই করতে হয়েছিল সেই সময়। তাই বোঝা যায়, আয়ের একাধিক উৎস থাকা উচিত। সামগ্রিক আর্থিক পরিস্থিতির জন্য এটা জরুরি। খরচ: প্রয়োজন এবং ইচ্ছার মধ্যে পার্থক্য করতে হবে। জীবনধারণের জন্য কিছু জিনিস প্রয়োজন। সেগুলোতে খরচ করতেই হয়। এরপর আসে ইচ্ছাপূরণ বা বিলাসব্যাসন। এখানে রাশ টানাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। বাজেটের ৫০:৩০:২০ রুল মেনে খরচ করা উচিত। আয়ের ৫০ শতাংশ প্রয়োজনীয় জিনিসের পিছনে খরচ হবে। ৩০ শতাংশ দিয়ে ইচ্ছাপূরণ করা যায়। বাকি ২০ শতাংশ দিয়ে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ আবশ্যিক। সঞ্চয়: সঞ্চয় হল আর্থিক ভবিষ্যতের ভিত্তি। অনেকে খরচ করার পর যা টাকা অবশিষ্ট থাকে সেটা সঞ্চয় করে। হওয়া উচিত এর উল্টোটা। আগে সঞ্চয়, তারপর খরচ। কারও যদি মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকা হয় তাহলে সঞ্চয়ের জন্য ১০ হাজার টাকা আগে আলাদা করে রাখতে হবে। তারপর খরচ। বিনিয়োগ: মুদ্রাস্ফীতি প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাই শুধু সঞ্চয় যথেষ্ট নয়। বিনিয়োগ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ সবসময় লাভজনক। ইক্যুইটি, ডেট বা সোনায় বিনিয়োগ করা যায়। তবে আর্থিক লক্ষ্য এবং বিনিয়োগকারী কতটা ঝুঁকি নিতে পারবেন সেটা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যবসা-বাণিজ্য Money Making Tips: এই ৯ উপায়ে প্রতি মাসে মোটা টাকা রোজগার করতে পারবেন আপনিও Gallery April 11, 2024 Bangla Digital Desk ইন্টারনেটের যুগ। অর্থ উপার্জনের হাজার রাস্তা। দক্ষতা অনুযায়ী বুদ্ধি খাটালে যে কেউ ভাল টাকা রোজগার করতে পারে। সবদিক দেখে বুঝেশুনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে শুধু। ২০২৪ সালে অর্থ উপার্জনের কী কী পথ খোলা রয়েছে? খাবার বা মুদিখানার জিনিস ডেলিভারি: দরকার শুধু টুহুইলার। খাবার বা মুদিখানার জিনিস ডেলিভারি করে ভাল রোজগার হবে। DoorDash, UberEats এবং GrubHub-এর মতো অ্যাপ রয়েছে। রেস্তোরাঁ থেকে খাবার নিয়ে পৌঁছে দিতে হবে গ্রাহকের দোরগোড়ায়। সার্ভে: বাড়িতে বসে ফোন বা ট্যাব থেকে সার্ভে-র প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কেউ বড়লোক না হলেও টাকা রোজগার করা যায় ভালই। যেমন Survey Junkie। নিজের মতামত দিতে হবে শুধু। ব্যস। বদলে মিলবে পয়েন্ট। সেটাকে নগদ বা ই-গিফট কার্ডে বদলে নেওয়া যায়। নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট: অনেকেই ভাবতে পারেন, নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুললে টাকা আসবে কীভাবে? না, টাকা আসবে না। তবে ডেবিট কার্ডে কেনাকাটায় রিওয়ার্ড পাওয়া যাবে। বিনা চেষ্টায় অর্থ রোজগারের উপায় খুঁজলে হাই ইল্ড সেভিংস অ্যাকাউন্ট ভাল বিকল্প। ইনভেস্টমেন্ট অ্যাপ: বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদে সম্পদ তৈরিতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে ডে ট্রেডিং করা যায়। তুলনামূলকভাবে দ্রুত রিটার্ন মিলবে। কম দামে স্টক কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। এটাই কাজ। কেনাকাটায় ক্যাশব্যাক: খুচরো কেনাকাটায় ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়। অর্থাৎ একটা শতাংশ ফেরত দেওয়া হয়। বিশেষ প্রোমো কোড বা ডিসকাউন্টো মেলে। পাওয়া যায় ওয়েয়েলকাম বোনাসও। ওয়েবসাইট বা ডোমেইন ফ্লিপ: ওয়েবসাইট ফ্লিপিং অনেকটা রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের মতো। ওয়েবসাইট বা ডোমেইন কিনে তার উপর কাজ করে সেটাকে বেশি দামে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এভাবেই রজগার করা যায়। প্রয়োজন নেই এমন জিনিস বিক্রি: দ্রুত টাকা রোজগারের সবচেয়ে ভাল উপায় হল, বাড়িতে বা আশপাশে যে সব জিনিসের কোনও প্রয়োজন নেই, সেগুলো বিক্রি করে দেওয়া। যেমন ইলেকট্রনিক্স, গেমিং কনসোল, ভিডিও গেমস, সেলফোন, পোশাক ইত্যাদি। অড জব: এমন কাজ যা সাধারণত কল্পনা করা যায় না, কিন্তু সে সব করেই ভাল টাকা রোজগার করা যায়। যেমন বেবিসিটিং, পোষ্যকে ঘোরানো ইত্যাদি। গিফট কার্ড বিক্রি: অব্যবহৃত গিফট কার্ড বিক্রি করে দেওয়া যায়। এর জন্য CardCash, EJ-র মতো অ্যাপ রয়েছে।