Tag Archives: Purulia

Purulia News: এই সেতু পারাপার করতে ভয়ে বন্ধ হয়ে আসবে হৃদস্পন্দন

পুরুলিয়া : দীর্ঘ প্রায় কয়েক বছর ধরে বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে রয়েছে পুরুলিয়ার ঝালদা দু’নম্বর ব্লকের কাঁচাহাতু সেতু। এই সেতুর উপর দিয়ে নিত্যদিন যাতায়াত করে বহু মানুষ। গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু বর্তমানে ভগ্নদশা হয়ে গিয়েছে।‌ সেতুটির পিলার গুলি ভেঙে গিয়েছে। সেতুটির বেশির ভাগ যায়গায় সিমেন্টের চাঙড় উঠে গিয়ে লোহার রোড বেরিয়ে এসেছে। সেতুর নিচের অংশও প্রায় ভগ্নদশা।

এই ভগ্ন সেতুর উপর দিয়েই চলছে যানচলাচল। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে সেতুটি। ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। এছাড়াও সেতুটির রাস্তা যথেষ্ট সংকীর্ণ। সামান্য অসাবধান হলেই নদীতে পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বিভিন্ন যানবাহন সহ যাত্রীরা। এক প্রকার জীবনেরঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। সর্বক্ষণ আতঙ্কেভোগেন তারা ।

আরও পড়ুন: পাঞ্চেতে নয়া পাম্প স্টোরেজের পরিকল্পনা , হতে চলেছে কর্মসংস্থান!

স্থানীয়দের অভিযোগ ওভারলোড গাড়ি যাতায়াত করার জন্যই সেতুটির জরাজীর্ণ অবস্থা। অবিলম্বে এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি যাতে সংস্কার করা হয় এমনটাই দাবি করেছেন এলাকাবাসীরা। কয়েক বছর ধরে বিপদজনক অবস্থায় পড়েরয়েছে পুরুলিয়ার ঝালদা দুই নম্বর ব্লকের কাঁচাহাতু সেতু। ঝালদা দু-নম্বর ব্লকের অন্যতম ব্যস্ততম রাস্তা এটি। সেতুর এই ভগ্নদশার মধ্যেই রুটি-রুজির টানে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন এলাকাবাসীরা।

এই সেতু দিয়ে নিত্যদিনই যাতায়াত করেন বহু মানুষ। তবুও সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছেনা। যার ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসীরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নিত্যযাত্রী ও এলাকাবাসীদের কথা চিন্তা করে কবে এই সেতুর সংস্কার কখন হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়। ‌

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Purulia News : পাঞ্চেতে নয়া পাম্প স্টোরেজের পরিকল্পনা , হতে চলেছে কর্মসংস্থান!

পুরুলিয়া :রঘুনাথপুর শিল্পতালুকে গড়পঞ্চকোট পাহাড়ের পাশেই পাঞ্চেত ড্যাম। এই ড্যামেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলবে ডিভিসি। অযোধ্যা পাহাড়ের মাথায় বাঘমুন্ডিতে পুরুলিয়া পাম্পড স্টোরেজ প্রজেক্ট-র মতই এই প্রকল্প গড়ে উঠবে। আর এরফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। রঘুনাথপুরের শিল্পায়ন আরও সমৃদ্ধ হবে।

ডিভিসিতে বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। উৎপাদন ক্ষমতার চেয়ে অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করল ডিভিসির রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিটে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে সেখানে ৬২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ২০ মেগাওয়াট বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। ২০১৬ থেকে রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের দুটি ইউনিটের বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। এই দুটি ইউনিট থেকে ৬০০ করে মোট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা। কিন্তু গত বছরেও পূর্ণ ক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল না। প্রথম দিকে গড়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল। যার ফলে লোকসান হচ্ছিল এই সংস্থার। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কিছুটা লাভের মুখ দেখেছে এই সংস্থা।

আরও পড়ুন: বাড়িতে শৌচাগার আছে? দরজায় কড়া নেড়ে জিজ্ঞাসা করছেন জেলাশাসক!

এ বিষয়ে এই কেন্দ্রের প্রকল্প আধিকারিক চৈতন্য প্রকাশ জানান , এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট থেকে যেখানে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা। সেখানে ৬২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। অপর আরেকটি ইউনিট থেকে ৫৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ওই ইউনিট থেকেও যাতে পূর্ণ মাত্রায় উৎপাদন করা যায় সেই চেষ্টা চলছে।ডিভিসির এই সাফল্যের পিছনে প্রযুক্তিগত সাফল্য লুকিয়ে রয়েছে , তা সরাসরি জানিয়েছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ডিবিসি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ছাই একটি বড় ফ্যাক্টর। সম্প্রতি ওই কেন্দ্রে নতুন প্রযুক্তি চালু হওয়ার পরেই ছাই সংক্রান্ত সমস্যা মেটানো গিয়েছে। ফলে পূর্ণমাত্রার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। তাছাড়া আধুনিক মানের ‘ইজেকটর’ রয়েছে। যা দ্রুত ছাই সরিয়ে দিতে পারছে। এই প্রকল্পের কর্মরত কর্মীদের দক্ষতা ও ধারাবাহিক পরিশ্রমও এই সাফল্যের চাবিকাঠি।

নয়া প্রকল্প নিয়ে আপাতত প্রস্তুতি নিচ্ছে ডিভিসি ।‌ ডিভিসিসূত্রে জানা গিয়েছে , পাঞ্চেত পাহাড়ের উপরে তৈরি হওয়া জলাধারে পাম্পড স্টোরেজ প্রজেক্ট তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আগামীদিনে এই প্রকল্প

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বাস্তবায়িত হলে পুরুলিয়ার মত রুখা-শুখা জেলায় কর্ম সংস্থান বাড়বে বলেই মনে করছেন জেলাবাসী।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Purulia News : এক সময় জঙ্গলমহল আন্দোলনের ট্রেডমার্ক রেলমন্ত্রীর গলাতেও ঝুলল পুরুলিয়ায়

পুরুলিয়া : রেলমন্ত্রীকে গামছা দিয়ে দেওয়া হল সংবর্ধনা। ‌গামছা কখনও আন্দোলনের হাতিয়ার। আবার সেই গামছাই কবি , গায়কদের কত-ই না সুখের স্মৃতি বহন করে। এবার সেই গামছা-ই হল অভ্যর্থনার প্রতীক , ভালোবাসার বন্ধন।

মঙ্গলবার পুরুলিয়া সফরে এসেছিলেন রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তার পুরুলিয়া সফরকে ঘিরে রীতিমত উচ্ছ্বাসিত হয়ে উঠেছিল জেলার মানুষ। এদিন শিক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের দেওয়া বাঁকুড়ার সবুজ গামছা রেলমন্ত্রীর মনে দাগ কাটে।‌ এদিন তিনি পুরুলিয়া স্টেশনে ভিড়ের মধ্যে ওই গামছা হাতে তুলে নিয়ে জনতাকে দেখান। স্পেশাল ট্রেনে ওঠার আগে রেলমন্ত্রী বলেন , এই গামছা দারুন সুন্দর , তাই ১০০ টা গামছা নিয়ে যাচ্ছি। এই গামছা ভীষন পছন্দ হয়েছে।‌ এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন , বাঁকুড়ার গামছা সারা দেশে বিখ্যাত। সেই গামছায় রেলমন্ত্রীকে উপহার দিয়েছি। তিনি ভীষণই খুশি হয়েছেন।

আরও পড়ুন: দু’দিন নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান, ঘুরে আসুন পুরুলিয়ার ‘এই’ জায়গায়!

কিছুদিন আগেই জঙ্গলমহলে শেষ হওয়া পঞ্চায়েত ভোটে হলুদ গামছা কুড়মি আন্দোলনের হাতিয়ার হয়েছিল। এই গামছাই কুড়মিদের সিম্বল হয়ে উঠেছিল পঞ্চায়েত ভোটের সময়।‌ এবার এই গামছা দিয়েই রেলমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাল জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা। পাতলা, অমসৃণ এই গামছা সাধারণ জনজীবনে বহুল ভাবে ব্যবহৃত। খরা কবলিত রুখা-শুখা পুরুলিয়া , বাঁকুড়া , ঝাড়গ্রামে তাপপ্রবাহের সময় সাধারণ মানুষ রোদের হাত থেকে বাঁচতে বা ঘাম মুছতে এই গামছা ব্যবহার করেন।

আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা রেলমন্ত্রীর, বিশ্বমানের স্টেশন হবে পুরুলিয়া

শুধু বাংলার জঙ্গলমহলের জেলা নয়। পুরুলিয়া ছুঁয়ে থাকা ঝাড়খণ্ড, বিহার , ওড়িশাতেও গ্রীষ্মের সময় গলায় এই গামছা জড়িয়ে থাকেন বহু মানুষ। এদিন রেলমন্ত্রীর বাংলা ছুঁয়ে ওড়িশা- ঝাড়খণ্ড পরিদর্শন শেষেও রাতে রাঁচি বিমানবন্দরেও সবুজ চেক গামছা উজ্জ্বল হয়েছিল তাঁর গলায়। বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই গামছা অনেকখানি মনে জায়গা করে নিয়েছে রেলমন্ত্রীর।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Purulia News : বড় ঘোষণা রেলমন্ত্রীর, বিশ্বমানের স্টেশন হবে পুরুলিয়া

পুরুলিয়া : এক দিনের ঝটিকা সফরে পুরুলিয়ার এসেছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।‌ তাকে দেখার জন্য পুরুলিয়ার সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। মঙ্গলবার সকালেই ওড়িশার রায়রঙ্গপুর থেকে উইন্ডো ট্রলি ইন্সপেকশন শুরু করেন তিনি।

এদিন তাঁর পরিদর্শন ছিল একেবারে ঝাড়খণ্ডের হাটিয়া পর্যন্ত। সরকারিভাবে আদ্রা ডিভিশনের চান্ডিল , পুরুলিয়া ও ঝালদা স্টেশনে তাঁর পরিদর্শনের কথা থাকলেও চান্ডিলের পরে বরাভূম এবং পুরুলিয়ার পরে জয়পুর স্টেশনেও কিছুক্ষণের জন্য নামতে হয় তাঁকে। এই পরিদর্শনে রেল মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত। পুরুলিয়া স্টেশনে ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুভাষ সরকার। বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা , এছাড়াও হাজির ছিলেন রাঁচির বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় শেঠ সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা।‌

আরও পড়ুন: পুরুলিয়া বেড়াতে গেলে সস্তার পেট ভরা এই ভেজ থালির খোঁজ করতেই পারেন

এই দিন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন , পুরুলিয়া স্টেশনকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হবে। বিশ্বমানের স্টেশন হিসেবে তৈরি করা হবে পুরুলিয়া স্টেশনকে। এর জন্য টাকার কোনও অসুবিধা হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই বাংলার জন্য বরাদ্দ করেছেন ১১,৯৭০ কোটি টাকা। পুরুলিয়াকে উন্নতমানের স্টেশন করে তুলতে সমস্ত দিক থেকেই ব্যাবস্থা গ্ৰহন করা হবে।

আরও পড়ুন: বেগুনকোদরে ভূতের অস্তিত্ব নিয়ে বড়সড় ঘোষণা বিজ্ঞান মঞ্চের! জানলে অবাক হবেন

রেলমন্ত্রী আসার আগের থেকেই প্রস্তুতি নিতে দেখা গিয়েছিল রেলের। বিজেপি নেতৃত্বরও চলছিল নানান প্রস্তুতি। আর এই দিন রেল মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি