রাধাষ্টমীর দিনটিকে অত্যন্ত পবিত্র ও শুভ বলে গণ্য করা হয়। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রাধা অষ্টমীর উৎসব পালিত হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি জন্মাষ্টমীর ১৫ দিন পর এই উৎসব পালিত হয়। এই বছর রাধা অষ্টমীর উৎসব পালিত হবে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে। এই দিনটিকে রাধারানির পূজার জন্য উৎসর্গ করা হয়।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে বরসানায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাধারানি। এই শুভ তিথি উপলক্ষে রাধারানি এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রের হিসাব অনুযায়ী, রাধাষ্টমীতে কিছু ভুল এড়িয়ে চলা উচিত। জেনে নেওয়া যাক, রাধাষ্টমীর পূজা পদ্ধতি এবং নিয়ম কী কী!
রাধাষ্টমীর পূজা পদ্ধতি:
অযোধ্যার জ্যোতিষী পণ্ডিত কল্কি রাম জানিয়েছেন যে, এই বছর রাধাষ্টমীর উৎসব পালিত হবে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর। এই দিনটি রাধা জয়ন্তী নামেও পরিচিত। এই দিনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন, যা রাধারানিকে খুশি করতে পারে।
ব্রহ্ম মুহূর্তে স্নান এবং উপবাসের সংকল্প:
রাধাষ্টমীর দিন ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে উপবাসের সংকল্প করা উচিত। এরপর মা রাধা এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা করতে হবে।
আরও পড়ুন: এ বছর বিশ্বকর্মা পুজো কবে? প্রতি বারের মতো বাঁধাধরা দিন নয়? চমকে যাবেন পুজোর দিনক্ষণ জানলে!
সাত্তিক খাদ্যগ্রহণ:
এই দিন শুধুমাত্র সাত্তিক আহার গ্রহণ করা উচিত। রসুন, পিঁয়াজ, ডিম এবং মাংসের মতো তামসিক খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
অভিষেক ও নৈবেদ্য:
রাধাষ্টমীর দিন গঙ্গাজল ও পঞ্চামৃতর সাহায্যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, দেবী রাধা এবং লাড্ডু গোপালের অভিষেক করতে হবে। এতে রাধারানি প্রসন্ন হন এবং ভক্তের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন। এই দিন দেব-দেবীকে নৈবেদ্য নিবেদন করা উচিত। আর এই নৈবেদ্যের মধ্যে তুলসিপাতা, পঞ্চামৃত, পঞ্জিরি, হাওয়া, মালপোয়া, পুরী এবং ছোলা রাখা উচিত।
ভজন, মন্ত্র ও জপ:
এই দিনে রাধারানির স্তোত্র পাঠ করতে হবে এবং পূজার সময় বিভিন্ন স্তোত্র, শ্লোক এবং বৈদিক মন্ত্র জপ করতে হবে। সারা দিন ধরে ব্রহ্মচর্য পালন করা উচিত এবং যে কোনও ধরনের বিবাদ এড়িয়ে চলা উচিত।