কলকাতা: বহু প্রতীক্ষিত ইন্ডিয়া ফুড সার্ভিসেস রিপোর্ট ২০২৪ সামনে আনল ন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (NRAI)। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফুড সার্ভিস সেক্টরের উপর বিশেষ বুকলেট এবং রিপোর্ট প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তী।
রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়াও মোমো-র সিইও ও সহ প্রতিষ্ঠাতা সাগর দরিয়ানি, জিং রেস্টুরেন্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অভিমন্যু মাহেশ্বরী এবং দ্য ইয়েলো স্ট্র-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং অংশীদার পীযুষ কাঙ্কারিয়া।
ইন্ডিয়া ফুড সার্ভিসেস রিপোর্ট ২০২৪-এ রয়েছে কলকাতার খাদ্য পরিষেবা খাতের উপর সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন। পাশাপাশি গ্রাহক এবং স্টেক হোল্ডারদের অভিজ্ঞতাও উঠে এসেছে এতে। পাশাপাশি প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গের ফুড সার্ভিস সেক্টরের ট্রেন্ড, বিনিয়োগ কৌশল, অপারেশনাল মডেল নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে জিং রেস্টুরেন্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অভিমন্যু মাহেশ্বরী বলেন, “কলকাতায় ৩০ হাজারের বেশি রেস্তোরাঁ রয়েছে। প্রতিদিন এই সংখ্যাটা বাড়ছে। অনবদ্য স্বাদের মিষ্টি এবং মুঘল ঘরানার রান্না এই শহরের অন্যতম পরিচয়। নিত্যনতুন পদ তৈরি করছেন কলকাতার স্বনামধন্য রাঁধুনিরা। সব মিলিয়ে উদ্ভাবন ও রন্ধনশিল্পের উত্তরাধিকার বয়ে নিয়ে চলেছে শহর কলকাতা।’’
আরও পড়ুন– বিষাক্ত সাপের ছোবল! সঙ্গে সঙ্গে কী করা উচিত? জেনে নিন কীভাবে কমাতে পারেন বিষের প্রভাব
🎉 We are thrilled to announce that the NRAI India Food Services Report 2024 launch event is officially SOLD OUT! Thank you, fraternity members, for your overwhelming response. Your enthusiasm and support mean the world to us.
Prepare for an unforgettable experience! 🌟🍽️🥂
🗓️… pic.twitter.com/zozy3ZOJ3G
— NRAI (@NRAI_India) July 7, 2024
সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “শুধু সংগঠিত ক্ষেত্রের ৩০ হাজার রেস্তোরাঁ নয়, কলকাতা লাইসেন্সিং চ্যালেঞ্জেরও মোকাবিলা করেছে। খাদ্য পরিষেবা শিল্পে উন্নতি এবং নতুন মান স্থাপন করেছে তিলোত্তমা। কলকাতার ডায়নামিক ফুড সার্ভিসের বাজারে আলোকপাত করার জন্য এই রিপোর্টের প্রশংসা করি”।
ন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (NRAI) রিপোর্ট অনুযায়ী, সংগঠিত খাদ্য পরিষেবা খাতের সেরা ২১ শহরের মধ্যে কলকাতা সপ্তম স্থানে রয়েছে। এখানকার ফুড সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির বাজারের আকার ৮,০৫৫ কোটি টাকার। সংগঠিত এবং অসংগঠিত সেক্টর মিলিয়ে ডাইনিং রেস্তোরাঁ-সহ কলকাতার মোট রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৬১,৩০৫টি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কলকাতার খাবার এই শহরের ঐতিহ্য ও নতুনত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতিটা খাবার সৃজনশীলতার গল্প বলে। কোভিডের পর ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে শহরের খাদ্য পরিষেবা শিল্প। গ্রাহকরা রেস্তোরাঁয় আসছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে গ্রাহকের চাহিদা বোঝা যাচ্ছে সবচেয়ে ভাল। রিপোর্টের লক্ষ্য হল, সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের নির্ভরশীল তথ্যের জোগান দেওয়া। এবং কোথায় বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে তার বিশদ বিবরণ পৌঁছে দেওয়া।