#মিলান: বিভিন্ন চোট আঘাত পেয়ে অনেক ফুটবলারের জীবন সময়ের আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ছোট হয়ে গিয়েছে ফুটবল ক্যারিয়ার। কিন্তু তাই বলে অতিরিক্ত যৌন মিলনের চাপে ফুটবলারের ক্যারিয়ার যদি শেষ হয়ে যায় সেটা নিয়ে অদ্ভুত চর্চা হতেই পারে। শুনতে অদ্ভুত হলেও ব্যাপারটা কিন্তু সত্যি। স্ত্রীর যৌন মিলনের কামনার চাপেই কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে ঘানার প্রাক্তন ফুটবলার কেভিন প্রিন্স বোয়াতেংর।
এমনটাই দাবি করেছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী মেলিসা সাট্টা। সেই কারণেই স্ত্রী মেলিসা সাট্টার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর। ২০১১ সাল থেকে মেলিসার সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো প্রিন্সের। ২০১৬ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। একটি সন্তানও রয়েছে তাঁদের। ২০১৯ সাল থেকে আলাদা থাকা শুরু করেন দু’জনে। ২০২০ সালে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন – `উমরানের মতো বোলার পাকিস্তানের অলিতে গলিতে আছে’ ! সোহেলকে পাল্টা ধুয়ে দিলেন ভারতের পাঠান
কিন্তু কেন সম্পর্কে অবনতি হয়েছিল প্রিন্স ও মেলিসার? তার কারণ, অতিরিক্ত যৌন মিলন। সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে মেলিসা বলেছেন, সপ্তাহে অন্তত ১০ বার যৌন মিলন করতাম। আমিই বেশি আগ্রাসী ছিলাম। তার জন্য প্রিন্স অনেক বার চোট পেয়েছে। তখন ও এসি মিলানে খেলত। বার বার চোট পাওয়ায় ওর কেরিয়ারে সমস্যা হচ্ছিল।
তাই আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। স্ত্রীর যৌন মিলনের চাপে কেরিয়ারে একাধিকবার চোট পান প্রিন্স। হের্থা বার্লিনে কেরিয়ার শুরু করেন পশ্চিম জার্মানিতে জন্মানো এই ফুটবলারের। ২০০৭ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারে যোগ দেন প্রিন্স।
Melissa setta, kevin-prince boateng’s gf described that their sex life is the cos of his niggles. She quoted: … http://t.co/ULGYVWJN
— Oladipupo A. ?? ?? (@Dipo_adebowale) January 20, 2012
২০১০ সালে যান এসি মিলানে। সেই সময়ই ইতালির মেলিসার সঙ্গে তাঁর পরিচয়। ২০১৩ সাল পর্যন্ত এসি মিলানে খেলেছেন প্রিন্স। আবার ২০১৬ সালে সেই ক্লাবে যোগ দেন। ২০১৯ সালে তাঁকে লোনে নেয় বার্সেলোনা। এক বছরই তিনি স্পেনের ক্লাবে ছিলেন। এরপর নিজের প্রথম ক্লাব হের্থায় ফিরে গিয়েছেন প্রিন্স।
জার্মানির হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯, ২০ ও ২১ স্তরে খেললেও ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ঘানার জাতীয় দলে হয়ে খেলেছেন। মেলিসা জানিয়েছেন প্রিন্সের সঙ্গে বিভিন্ন পজিশনে তিনি মিলন করতেন। এরকম করতে গিয়েই প্রিন্স বেশি চোট পেয়ে গিয়েছিল। এমনকি পরের দিন কোচের কাছে গালাগালিও খেতে হয়েছে অনেকবার।