এবছর শনি জয়ন্তী পড়েছে ৬ জুন বৃহস্পতিবার। ওই দিন শনিদেব ৫টি রাশির জাতক-জাতিকাদের ওপর খুশি থাকবেন। শনিদেবের প্রসন্নতার কারণে এই রাশির জাতকদের জীবনে বিপুল সুখ আসবে।তিরুপতির জ্যোতিষী ডঃ কৃষ্ণ কুমার ভার্গবের মতে, এবারের শনি জয়ন্তী মেষ, বৃষ, মিথুন, কন্যা এবং বৃশ্চিক রাশির জাতকদের জন্য শুভ হতে পারে। এদের জীবনে বিপুল পরিবর্তন দেখা যাবে।এই ব্যক্তিরা নতুন চাকরি এবং ব্যবসায় অগ্রগতির আশা করতে পারেন। জেনে নিন শনি জয়ন্তীতে কোন ৫টি রাশির জাতক-জাতিকার জীবনে কী কী সুখকর পরিবর্তন আসতে চলেছে৷মেষ রাশি: এই রাশির জাতক জাতিকারা শনিদেবের আশীর্বাদ পাবেন। এই দিনটি আপনার কেরিয়ারের জন্য ভাল প্রমাণিত হতে পারে। আপনি পদোন্নতি পেতে পারেন বা আপনার পছন্দসই জায়গায় স্থানান্তরিত হতে পারেন। আপনি সরকারের সাহায্য পেতে পারেন। সাবধানে অর্থ বিনিয়োগ করুন। তবে এই দিনে কারোর সঙ্গে কড়া কথা বলবেন না।বৃষ রাশি: শনি জয়ন্তীর দিনে আপনি যে কাজের জন্য কাজ করবেন তাতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। ব্যবসায়ীরা এই দিনে ভাগ্যবান হবেন। লাভ হবে এবং কাজ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করতে পারেন। আপনি আপনার কর্মজীবনে উন্নতির জন্য ভাল সুযোগ পেতে পারেন। আয় বাড়াতে আয়ের নতুন উৎস তৈরি হতে পারে, খ্যাতি পাবে।মিথুন রাশি: এই রাশির জাতকরা শনিদেবের কৃপায় বিরাট উপকৃত হবেন। হঠাৎ আর্থিক লাভ এবং পরীক্ষায় সাফল্যের সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার সাহস বাড়বে। আপনি ব্যবসায় একটি ভাল চুক্তি পেতে পারেন, যা আপনার আর্থিক অবস্থার উন্নতি করবে। যে কোনও কাজ সাবধানে বিবেচনা করেই করুন, অন্যথায় ক্ষতি হতে পারে।কন্যা রাশি: শনি জয়ন্তীর দিনে কন্যা রাশির জাতকদের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স এবং সম্পত্তি বৃদ্ধি হতে পারে। হঠাৎ আর্থিক লাভের কারণে মন খুশি হবে। যে কোনও চুরি বা হারানো মূল্যবান জিনিস উদ্ধার করা যাবে। এই দিনে কিছু ভাল খবর পাওয়া যেতে পারে, যার কারণে পরিবারের পরিবেশ আনন্দে ভরে উঠবে। পারিবারিক জীবন শান্তিময় হবে।বৃশ্চিক রাশি: এই রাশির জাতক জাতিকাদের জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরপুর হতে পারে। অর্থের অভাব দূর হবে, শনির কৃপায় সরকারি কাজ হবে এবং বাধা-বিপত্তি দূর হবে। সমস্যাগুলি চলে গেলে, সাফল্য অর্জন করা সহজ হবে। একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন লাভের সুযোগ বাড়াতে পারে। ধন-সম্পদ বৃদ্ধির ফলে ঘরে সমৃদ্ধি আসবে। এই দিনে করা বিনিয়োগ আপনাকে লাভ দিতে পারে।
ন্যায়ের দেবতা শনিদেব একজন ব্যক্তির কাজের উপর ভিত্তি করে তার ভাল বা খারাপ ফল দেন। শনিদেব যে কোনও রাশিতে ধীরে ধীরে চলেন। তিনি কমপক্ষে আড়াই মাস ধরে একটি রাশিতে থাকেন, তবে তার নিজের সময়ে তিনি কিছু রাশিচক্রের চিহ্নগুলিতেও পিছিয়ে যান।জ্যোতিষী পণ্ডিত পঙ্কজ পাঠক জানান যে শনিদেব বর্তমানে কুম্ভ রাশিতে বিরাজ করছে। তবে ২৯ জুন এই রাশিচক্রে এটি বিপরীতমুখী হতে চলেছে। এই রাশিতে শনি ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিপরীত দিকে যাবে।শনির বিপরীতমুখী অবস্থানকে অশুভ মনে করা হয়। এই সময়ে কিছু রাশির জাতক জাতিকাদের আর্থিক সমস্যা, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা, আইনি বিবাদ এবং পারিবারিক বিবাদের মতো অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। জেনে নিন শনিদেবের পিছিয়ে যাওয়ার সময় কোন রাশির জাতকদের সাবধান হওয়া দরকার।মেষ রাশি: শনির উল্টো চালে মেষ রাশির জাতকদের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হবে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে মতভেদ হতে পারে, বিবাদও বাড়তে পারে। কর্মজীবনে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। কাজ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।বৃষ রাশি: এই রাশির জাতকদের জন্য শনিদেব খুব অশুভ হতে চলেছে। শনিদেবের বিপরীত গতিতে তাদের কাজ প্রভাবিত হবে। জীবনে অনেক উত্থান-পতন আসবে, চাকরিজীবীদের চাপের পরিবেশ থাকবে। ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়বেন। এ সময় তাদের জীবন হবে চ্যালেঞ্জে ভরপুর।মকর রাশি: এই রাশির জাতক জাতিকারা শনির বিপরীতমুখী হওয়ার কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তাদের কিছুটা আর্থিক ক্ষতি হবে, যারা ব্যবসা করছেন তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এবং তাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এই রাশির জাতক জাতিকাদের এই সময়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে।কুম্ভ রাশি: কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য শনিদেব অশুভ ফল দিতে পারে। তাদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। যারা চাকরি করেন তাদের কাজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বসের সঙ্গে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও তাদের বিভিন্ন কাজে সমস্যা আসতে পারে৷
শনিদেব মানুষের জীবনের প্রতিটি উত্থান-পতনের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রতি সপ্তাহে শনিবার একটি বিশেষ দিন। এই দিনটি শনিদেবকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে শনিদেবকে বিশেষ পুজো করলে মানুষের সমস্ত কষ্ট লাঘব হয় এবং চাকরিতে উন্নতির সম্ভাবনা থাকে এমনকি বন্ধ ভাগ্যের দরজাও খুলে যায়।শনি জয়ন্তী পালিত হবে আগামী ৬ জুন বৃহস্পতিবার। শনি জয়ন্তীর দিনটি শনি দেবকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে ভক্তরা শনিদেবকে প্রসন্ন করতে নানা রকম ব্যবস্থা করে থাকেন। । শনি জয়ন্তীতে পূজা করলে শুভ ফল পাওয়া যায়।একই দিনে তিনটি উপবাস এবং উৎসব পড়ার কারণে এটি সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে পরিণত হয়েছে। এই কারণে, শনিদেবের বিশেষ আশীর্বাদ তাঁর ভক্তদের উপর থাকবে, এমন পরিস্থিতিতে শনিদেবকে প্রসন্ন করার জন্য এই উপায়গুলি অবলম্বন করে শনিদেবের বিশেষ আশীর্বাদ পেতে পারেন।পূর্ণিয়ার পণ্ডিত মনোপল ঝা জানান, শনি জয়ন্তীর দিন বৃহস্পতিবার কৃষ্ণপক্ষ অমাবস্যা তিথি পড়ে। এই কারণে, সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে শনি জয়ন্তী হবে এবং একই দিনে বট সাবিত্রী এবং জেষ্ঠ অমাবস্যা সকলের জন্য খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এমন অবস্থায় শনিদেব সহজেই প্রসন্ন হতে পারেন।পন্ডিত জি বলেছেন যে এই দিনে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে ভগবান শনিদেবের অপার আশীর্বাদ পেতে হলে সকলকে শনিদেবকে খুশি করতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী তাঁর পূজা করে আমরা তাঁকে খুশি করতে পারি।শনিদেবকে খুশি করার জন্য শনি জয়ন্তীর দিন যে কোনও ব্যক্তির প্রথমে স্নান, ধ্যান ও পূজা করা উচিত এবং শনিদেবের মন্দিরে গিয়ে সম্ভব হলে শনি চালিসা করা উচিত আর সেই দিন হনুমান চালিসা বা সুন্দরকাণ্ড পাঠ করলে শনিদেবের অপার আশীর্বাদ পাবেন।শনি জয়ন্তীর দিন শনিদেবের প্রিয় কালো রঙের কাপড় বা জিনিস দান করলে শনিদেব খুব খুশি হন এবং সন্তুষ্ট হন এবং তিনি তাঁর ভক্তদের উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। নিষ্ঠাভরে এই কাজগুলি করলেই সারাবছর সদয় থাকেন শনিদেব৷
শনি জয়ন্তী পালিত হবে আগামী ৬ জুন বৃহস্পতিবার। শনি জয়ন্তীর দিনটি শনি দেবকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে ভক্তরা শনিদেবকে প্রসন্ন করতে নানা রকম ব্যবস্থা করে থাকেন। জ্যোতিষী পণ্ডিত পঙ্কজ পাঠক জানান, জেষ্ঠ্য অমাবস্যার দিনে শনি জয়ন্তী পালিত হয়।এমন পরিস্থিতিতে জৈষ্ঠ অমাবস্যার ধর্মীয় গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। শনিদেবকে বলা হয় ন্যায়ের দেবতা। এই দিনে তাঁর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য বিশেষ পূজা করা হয়শনি জয়ন্তীতে, ভক্তরা শনিদেবের কাছে প্রার্থনা করে যাতে ভাল কাজ করা যায় এবং জীবনে সাফল্য লাভ করা যায়। জ্যোতিষী বলেছেন যে শনি জয়ন্তীকে শনির আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য সেরা দিন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।শনি জয়ন্তীর দিন ব্রাহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে শনিদেবকে রীতিমতো পুজো করতে হবে। সর্ষের তেলে তিল মিশিয়ে শনিদেবকে অভিষেক করুন। শনিদেবকে তিলের তেল দিয়েও অভিষেক করা যেতে পারে।যদি কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে শনি দোষ থাকে তবে শনি জয়ন্তীতে শনি মন্দিরে গিয়ে অশ্বত্থ গাছে জল নিবেদন করা উচিত। এছাড়াও শনি চালিসা পাঠের পর শনিদেবের মন্ত্রগুলি জপ করুন।শনি জয়ন্তীর দিন সর্ষের তেল দিয়ে তৈরি করা রুটিতে সর্ষের তেল লাগিয়ে কালো কুকুরকে খাওয়ান। কাককে খাবার খাওয়ানোও শুভ বলে মনে করা হয়। এটা করলে শনিদেব প্রসন্ন হবেন।শনি জয়ন্তীর দিন হনুমানজিকে একটি জুঁই এবং তেলের প্রদীপ দান করতে হবে। এছাড়াও বিশ্বাস অনুসারে, শনিদেব হনুমানজির ভক্তদের কখনও কষ্ট দেন না। অতএব, এটি করলে শনিদেবের নিষ্ঠুর দৃষ্টি আপনার উপর পড়বে না।শনি জয়ন্তীর দিন আপনি হনুমান চালিসা পাঠ করুন। এটি করলে আপনি শনি দোষ থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও শনিদেব শীঘ্রই খুশি হবেন এবং তাঁর আশীর্বাদ দেবেন।শনি জয়ন্তীর দিন গরিবদের কালো তিল, জামাকাপড়, ডাল, জুতা-চপ্পল এবং কালো কম্বল দান করতে হবে। দরিদ্রদের সেবা করলে শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।শনি জয়ন্তীর দিন উপবাস করা উচিত। এই দিনে কালো কাপড় পরিধান করে শনিদেবের পূজা করলে উপকার পাবেন।
শনির সাড়ে সাতির নাম শুনলেই বেশিরভাগ মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েন কারণ যে রাশিগুলির উপর শনির সাড়ে সাতি বিরাজ করে তাদের শুধু কর্মজীবন এবং ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় না, প্রেম জীবনেও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।বর্তমানে শনি কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করছে। শনি ১৭ জানুয়ারী,২০২৩ থেকে তার নিজস্ব চিহ্ন কুম্ভ রাশিতে উপস্থিত রয়েছে। এবং ২৯ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত এখানে থাকবেন। বর্তমানে তিনটি রাশিতে শনির সাড়ে সাতি চলছে।শনির সাড়ে সাতির প্রভাব এড়াতে শনিদেবকে শান্ত করার জন্য কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কোন ৩টি রাশির জাতক বর্তমানে শনির সাড়ে সাতিতে ভুগছেন। আপনি নেই তো সেই তালিকায়? জেনে নিন বিশদে৷বর্তমানে শনি কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করছে। এটিও শনির নিজস্ব চিহ্ন। কুম্ভ রাশিতে শনির নেতিবাচক প্রভাবের কারণে কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকাদের কর্মজীবনে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে চাকরিজীবীদের সমস্যা কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যাদের চাকরি নেই তারা নতুন চাকরি পেতে পারছে না এবং যারা চাকরি করছে তারা কঠোর পরিশ্রম করেও উন্নতি করতে পারছে না। একই সঙ্গে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও ক্রমাগত লোকসানের মুখে পড়ছেন। শনির সাড়ে সাতির প্রভাবে কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকাদের সঙ্গে এসব ঘটছে।মকর রাশির জাতক জাতিকাদের দাম্পত্য জীবনে প্রতিনিয়ত বাধার সম্মুখীন হতে হয়। শনির সাড়ে সাতির প্রভাবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমন্বয়হীনতার সমস্যা দেখা যায়। শনির সাড়ে সাতির একটি নেতিবাচক প্রভাব হল যে ব্যক্তি খুব রাগান্বিত এবং অহংকারী হয়ে ওঠে, যার কারণে শনির সাড়ে সাতিতে আক্রান্ত ব্যক্তি কিছু বুঝতে অক্ষম হন এবং সব কিছুতেই রেগে যান। এ কারণে দাম্পত্য ও প্রেমের সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এবং সম্পর্কের অবনতি ঘটে। একই সময়ে, মকর রাশির লোকেরা তাদের কর্মজীবনে কোনও বিশেষ সাফল্য পেতে পারে না।শনির সাড়ে সাতি ব্যবসা, চাকরি, আয়, বৈবাহিক জীবনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। বর্তমানে মীন রাশির জাতকরাও শনির সাড়ে সাতি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। শনির নেতিবাচক প্রভাবের কারণে তারা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। শনির সাড়ে সাতির সময় যে কোনও কঠিন অসুখ বা পুরাতন রোগও ব্যথা দিতে শুরু করে। মীন রাশির লোকেরা এই সময়ে তাদের কর্মজীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। বিশেষ করে চাকরিজীবীরা প্রত্যাশা অনুযায়ী পদোন্নতি বা অগ্রগতি পাচ্ছেন না।প্রতিদিন বিশেষ করে শনিবার শনিবীজ মন্ত্র ওম প্রম প্রেম প্রম সহ শনিশ্চরায় নমঃ জপ করুন। এতে শনির সাড়ে সাতির নেতিবাচক প্রভাব কমে। শনির সাড়ে সাতি থেকে বাঁচতে শনিবার শনিদেবের মন্দিরে গিয়ে শনিদেবকে সর্ষের তেল ও কালো তিল নিবেদন করতে হবে।শনিবার শনি চালিসা পাঠ করতে ভুলবেন না। এছাড়াও, শনিবার ২১ বার শনি স্তোত্র পাঠ করলে আপনি শনির সাড়ে সাতি থেকে মুক্তি পাবেন।আপনি কখনই কোনও গরীব, পশু বা অসহায় মানুষকে হয়রানি করবেন না। এর কারণে শনির সাড়ে সাতি আরও শক্তিশালী হতে পারে। শনিবার সাড়ে সাতির প্রভাব কমাতে হনুমান চালিসা পাঠ করুন এবং মহাদেবের পূজা করুন।
বর্তমানে কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করছেন শনি৷ এরপরে শনি মীন রাশিতে যাবেন৷ ২০২৭ সাল পর্যন্ত মীন রাশিতেই থাকবেন শনি৷ এই অবস্থায়, রাশিচক্রের ১২ রাশির মধ্যে ৪ রাশির শনির কৃপায় দুর্দান্ত সময় শুরু হচ্ছে৷ সেই রাশি ৪টি কী কী, তাদের উপরে শনির কী প্রভাব পড়তে চলেছে, সেই বিষয়ে বিশদে জানাচ্ছেন ভোপালের জ্যোতিষাচার্য তথা বাস্তু পরামর্শদাতা হিতেন্দ্রকুমার শর্মা৷২০২৭ সাল পর্যন্ত সোনার সময় ফিরবে ৪ রাশির জীবনে৷ এই সময়ে যে কাজেই তাঁরা হাত দেবেন, তা সুসম্পন্ন হবে৷ ব্যবসায় আগের চেয়ে অনেক বেশি লাভের সুযোগ তৈরি হবে৷ অর্থ উপায়ের উৎসও বাড়বে৷মীন রাশিতে শনির গমনের ফলে সিংহ রাশির জীবনে দুর্দান্ত বদল আসবে৷ তাঁরা এতদিন পর্যন্ত যে সমস্ত সমস্যায় ভুগছিলেন, তা ধীরে ধীরে উধাও হয়ে যাবে৷ আর্থিক লাভের সম্ভাবনাও এই সময় প্রবল৷ এই সময় নতুন কিছু করলে সাফল্যের সম্ভাবনা থাকবে সবচেয়ে বেশি৷মীন রাশিতে শনির গমন তুলা রাশির জাতক জাতিকার উপরেও ভাল প্রভাব ফেলবে৷ উন্নতির একাধিক সুযোগ পাবেন এবং তা কাজেও লাগাতে পারবেন৷ প্রতিটি কাজে সাফল্য পাবেন৷ সংসারে অর্থের অভাব থাকবে না৷মীন রাশিতে শনির গমনে বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকাদের উপরে সুপ্রভাব পড়বে৷ এই সময়ে সর্বক্ষেত্রে তাঁরা লাভবান হবেন, নতুন দায়িত্ব পাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে৷ ২০২৫-এ আমার জন্য ভাল কোনও খবর অপেক্ষা করছে৷মীন রাশিতে শনির গমনের প্রভাবে ভাল সময় আসবে মকর রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য৷ অতীতে আপনি যদি কিছু হারিয়ে থাকেন, তা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই সময়ে৷ এই সময়কালে আপনার আর্থিক উন্নতি তো হবেই, সমাজে মান সম্মানও বৃদ্ধি পাবে৷ অর্থের কোনও অভাব থাকবে না৷দাবিত্যাগ: রাশিচক্র, ধর্ম ও শাস্ত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষী ও আচার্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সংবাদে দেওয়া তথ্য লেখা হয়েছে। কোনও ঘটনা, দুর্ঘটনা বা লাভ-ক্ষতি নিছকই কাকতালীয়। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার স্বার্থে লেখা হয়েছে। নিউজ-18 এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে না।
জ্যোতিষশাস্ত্রে অন্যতম নবগ্রহ শনিদেবকে গ্রহরাজও বলা হয়৷ তিনি উগ্র দেবতা হিসেবেও পরিচিত৷ তাঁর কুদৃষ্টি অশুভ ফল নিয়ে আসে বলে বিশ্বাস করা হয়৷
সপ্তাহের শনিবার দিনটি তাঁর নামেই উৎসর্গীকৃত৷ এই দিনে তাঁর পুজো করলে অশুভ দৃষ্টি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলেই বিশ্বাস জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের৷ কী করে শনিদেবকে তুষ্ট করা যায়, সে বিষয়ে বলেছেন বিশেষজ্ঞ অরবিন্দ ত্রিপাঠী৷
প্রতিদিন সকালে সূর্যপূজার পর হাতজোড় করে শনিদেবের পুজো করুন এবং মন্ত্রপাঠ করুন৷ এতে তিনি সন্তুষ্ট হন বলে মনে করা হয়৷
শনিদেবের মন্দিরে বা বাড়ির বাইরে তাঁর পুজো করবেন৷ বাড়ির ঠাকুরঘরে তাঁর পুজো করা হয় না৷
নীল বা কৃষ্ণবর্ণের ঘট, ফুল, বস্ত্র, মাসকলাই, কালো তিল, দুধ, সরষের তেলের মতো উপকরণ শনিদেবের পুজোয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷
শনিবার সন্ধ্যায় অশ্বত্থগাছের নীচে প্রদীপ প্রজ্বলন করুন৷ তাতে শনিদেব তুষ্ট হন বলেই বিশ্বাস৷ জীবনে পজিটিভ শক্তি প্রবাহিত হবে৷
শনিবার সূর্যোদয়ের আগেই ঘুম থেকে উঠে পড়ুন৷ শনিদেবের উদ্দেশে সব সময় প্রদীপ নিবেদন করুন৷ মোমবাতি জ্বালবেন না৷
শনিবার দান দান করুন কালো তিল, কালো কাপড় এবং লোহা৷ শনিবার সাত্তিক আহার গ্রহণ করুন৷ সবুজ ঘাসের উপর হাঁটুন খালি পায়ে৷
