বুলন্দশহর: নজিরবিহীন ভয়াবহ ঘটনা ফের উত্তরপ্রদেশে। বুলন্দশহরের আবিদ নামের এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে তার মাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বাবার মৃত্যুর পর মাকে সে ‘স্ত্রী’র মতো করে দেখতে চাইত, এমনই জানিয়েছেন তার নির্যাতিতা বিধবা মা। ৩৬ বছর বয়সি আবিদকে উত্তরপ্রদেশের একটি ফাস্ট-ট্র্যাক আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে।
আরও পড়ুন- ‘এ কষ্ট চোখে দেখা যায় না!’ আবার সেই পুরনো ফর্মে! বাঁকুড়ায় যা করলেন মমতা, চমকে উঠবেন জেনে
সোমবার এক শুনানিতে, অতিরিক্ত জেলাশাসক বরুণ মোহিত নিগম পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে আবিদকে দোষী সাব্যস্ত করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও ৫১ হাজার টাকা জরিমানার কথা ঘোষণা করে তাকে কসিয়ে চড় মারেন।
মঙ্গলবার আদালত ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার এত বছরের অনুশীলনে, ৩৭৬ ধারার মতো গুরুতর অপরাধে কখনও মাকে দেখিনি বা শুনিনি। যে মা কাঁদতে কাঁদতে বলে চলেন, তাঁর ছেলে দানব, তাঁকে ধর্ষণ করেছে! আদালত রেকর্ড ২০ মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করেছে বলে জানান সরকারি আইনজীবী বিজয় শর্মা।
২০২৩ সালের সালের ১৬ জানুয়ারি বুলন্দশহরের একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছিল। এফআইআর অনুসারে, আবিদ তার মায়ের সঙ্গে একটি কৃষি খামার থেকে গবাদি পশুর জন্য খাবার আনতে গিয়েছিল। সেখানেই সে মাকে ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ।
उत्तर प्रदेश : जिला बुलंदशहर की कोर्ट ने विधवा मां से रेप करने वाले आबिद को उम्रकैद की सजा सुनाई है। ये घटना 16 जनवरी 2023 को हुई थी। पीड़िता के मुताबिक – “पति की मौत के बाद बेटा चाहता था कि मैं उसकी बीवी की तरह रहूं”@Shahnawazreport pic.twitter.com/ViVLgrN7is
— Sachin Gupta (@SachinGuptaUP) September 23, 2024
কিছু প্রতিবেদন অনুসারে, মা দাবি করেছিলেন যে তাঁর ছেলে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পরে তাঁকে ‘স্ত্রী’ হিসাবে পেটে চেয়েছিল। তাঁর কথায়, “আমার স্বামীর মৃত্যুর পর, আমার ছেলে চেয়েছিল আমি ওর স্ত্রীর মতো থাকি…”। আবিদের ছোট ভাই, ইউসুফ এবং জাভেদ পুলিশের কাছে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। মায়ের কাছ থেকে এই ঘটনা জানতে পেরে তাঁরা আর দেরি করেননি।
আবিদের ভাই বলেন, “মা ফিরে আসার পর ঘটনাটি আমাদের জানান। আমরা পরিবারের মধ্যে সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করেছি কিন্তু আবিদ আমাদের মাকে তার স্ত্রী হিসাবে তার সাথে থাকার জন্য হুমকি দিয়ে চলেছিল। যার পরে আমরা এফআইআর দায়ের করেছি”। এর পরেই আবিদকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অবশেষে বিচারে সে দোষী সাব্যস্ত হল।