প্রযুক্তি সারা দিন ধরে আসতে থাকা SPAM কল ও মেসেজ থেকে মিলবে রেহাই, আসছে বড় পরিবর্তন Gallery May 20, 2024 Bangla Digital Desk প্রযুক্তি ব্যবহার করে করা প্রতারণার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়। মানুষ প্রায়ই কল এবং মেসেজের মাধ্যমে প্রতারিত হয়। এই বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার এখন স্প্যাম কল বা মেসেজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের কল বা অবাঞ্ছিত মেসেজগুলিকে অন্যায্য ব্যবসায়িক কার্যকলাপ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করতে চলেছে। এর জন্য কনজিউমার সিকিউরিটি আইনে কিছু নতুন নির্দেশিকা জারি করা হবে। এই পদক্ষেপ কনজিউমার সিকিউরিটি আইনের অধীনে এই ধরনের কল বা মেসেজ প্রেরণকারীকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করবে। বর্তমানে, কনজিউমার সিকিউরিটি আইন, ২০১৯-এর ধারা ২ (২৮) এবং ২ (৪৭)-এর অধীনে, অনুপযুক্ত বা অযাচিত বাণিজ্যিক যোগাযোগ একটি ‘আনফেয়ার ট্রেড প্র্যাক্টিস’ হিসাবে বিবেচিত হয়৷ কয়েক মাসের মধ্যে এই বিষয়ে নির্দেশিকা আনার কাজ করছে কনজিউমার বিষয়ক বিভাগ। এই নির্দেশাবলী টেলিমার্কেটর এবং তাদের মূল এনটিটি যেমন ব্যাঙ্ক, রিয়েল এস্টেট কোম্পানি বা গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে এমন অন্য কোনও ব্যবসার উপর এই আইন বিশেষ ভাবে নজর দেবে। কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলিই তাদের পণ্য এবং পরিষেবা বিক্রি করার জন্য ক্রমাগত গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের এই কাজটি বারবার ভোক্তাদের বিরক্ত করে। এছাড়া এর আড়ালে অনেক সময় অপরাধীরাও প্রতারণা করে থাকে। এই প্রস্তাবিত নির্দেশিকাগুলি এই ধরনের প্রতারণামূলক কলগুলিকে ফলো করবে। এই নির্দেশিকাগুলির মাধ্যমে, এটি নিশ্চিত করা হবে যে, অনুমোদিত চ্যানেলের মাধ্যমেই ভোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা উচিত হবে যে, এই বছরের শুরুতে, অবাঞ্ছিত বাণিজ্যিক কল সংক্রান্ত নির্দেশিকা তৈরির জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এটি কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় দ্বারা গঠন করা হয়েছিল। এরপর সব এলাকার টেলিমার্কেটরদের একটি নির্দেশনাও দেওয়া হয়। এর জন্য তাদের ফোন নম্বরের সামনে ১৪০ বসানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি করা হয়েছিল যাতে ভোক্তারা জানতে পারে যে কোথা থেকে তাদের কাছে কল আসছে।