ব্যবসা-বাণিজ্য TDS কাটার পরেও আয়কর দিতে হবে? দেখে নিন পুরো নিয়ম Gallery August 6, 2024 Bangla Digital Desk টিডিএস কেটে নেওয়ার পরেও কি আয়কর দিতে হয়? অনেক করদাতার মনেই এই প্রশ্নটা জাগে। এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে টিডিএস কী, সেটা সঠিকভাবে বোঝা জরুরী। করদাতা যখন কোথাও থেকে আয় করেন, টিডিএস কাটার পরেই সেই টাকা হাতে পান। এই জন্যই একে টিডিএস বা ট্যাক্স ডিডাক্টেট অ্যাট সোর্স বলা হয়। ধরে নেওয়া যাক, কোনও বিনিয়োগকারী ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট থেকে ১ লাখ টাকা সুদ পেয়েছেন। এখন এই সুদের টাকা বিনিয়োগকারীকে দেওয়ার আগে ব্যাঙ্ক এর একটা অংশ কেটে আয়কর বিভাগে জমা করবে। এভাবে ট্যাক্স লায়াবিলিটির একটা অংশ সরকারের ঘরে জমা পড়ল। এরপর বিনিয়োগকারী যখন রিটার্ন ফাইল করবেন তখন এর ক্রেডিট পাওয়া যাবে। ফর্ম ২৬ এএস এবং এআইএস-এ টিডিএস-এর তথ্য থাকে: একাধিক উৎস থেকে আয় টিডিএসের আওতায় আসে। করদাতা ফর্ম ২৬এএস এবং এআইএস-এর মাধ্যমে আয়কর বিভাগে তাঁর জমা করা টিডিএস-এর তথ্য দিতে পারেন। এতে বেতন, লভ্যাংশ, সুদ, কমিশন এবং অন্যান্য আয় থেকে কাটা টিডিএস সম্পর্কে তথ্য থাকে। এখন প্রশ্ন হল, যদি আয় থেকে টিডিএস কেটে নেওয়া হয়, তার পরেও কি ট্যাক্স দিতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তর অনেক কিছুর উপর নির্ভর করছে। যেমন আয় এবং ডিডাকশন সম্পর্কিত অনেক তথ্য থাকে যা করদাতার পক্ষে নিয়োগকর্তাকে জানানো সম্ভব হয় না। এছাড়া কোনও বছরে হঠাৎ কোথাও থেকে হাতে টাকা আসতে পারে। শেয়ার বাজারে লোকসান হতে পারে। সব মিলিয়ে বলা যায়, করদাতার মত কর দায় টিডিএসের মাধ্যমে পূরণ হয় না। এর মাধ্যমে সরকার শুধু একজন করদাতার আয় এবং রাজস্বের হিসাব রাখতে পারে। টিডিএসের পরেও ট্যাক্স দিতে হবে কি না বুঝতে হলে প্রথমে মোট আয় গণনা করতে হবে। এবার দেখতে হবে, তাতে কত টাকা ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। এর জন্য সবার আগে সমস্ত উৎস থেকে আয় যোগ করতে হবে। এরপর স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম, জীবন বিমার প্রিমিয়াম এবং হোম লোনের সুদের উপর ডিডাকশন করতে হবে। মোট আয় থেকে মোট ডিডাকশন বাদ দিয়ে যা পড়ে থাকবে সেটাই করযোগ্য আয়। এরপর ফর্ম ২৬ এএস এবং এআইএস-এর মাধ্যমে মোট টিডিএস কাটাতে হবে। এখন যদি মোট টিডিএস ট্যাক্স লায়াবিলিটির চেয়ে বেশি হয়, তাহলে সেই টাকা রিফান্ড হিসেবে ফেরত আসবে। সোজা কথায়, মোট ডিডাকশন যদি ট্যাক্স লায়বিলিটির চেয়ে কম হয়, তাহলে অতিরিক্ত কর দিতে হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাঙ্কে Fixed Deposit করেছেন? এখনই এই কাজ না করলে সরকার ট্যাক্স কেটে নেবে, জানতেও পারবেন না Gallery July 15, 2024 Bangla Digital Desk সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম হল ফিক্সড ডিপোজিট। এই স্কিমেই সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করা হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, ৫ বছরের কম মেয়াদের এফডি থেকে আয় করযোগ্য। স্থায়ী আমানতে সুদ থেকে আয় নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে গেলে, টিডিএস কেটে নেয় সরকার। এ থেকে বাঁচার উপায়? ফিক্সড ডিপোজিট করার সময়ই একটি ফর্ম পূরণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। এই ফর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানা জরুরী। এফডি করার সময় এই ফর্ম পূরণ করলে টিডিএস কাটার হাত থেকে বাঁচা সম্ভব। টিডিএস কখন কাটা হয়: নিয়ম অনুযায়ী ফিক্সড ডিপিজিটের প্রাপ্ত সুদ থেকে অর্জিত আয় বছরে ৪০ হাজার টাকার বেশি হলে টিডিএস কাটা হবে। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই সীমা ৫০ হাজার টাকা। বিনিয়োগকারীর মোট আয়ের সঙ্গে যোগ করা হয় টিডিএস, তারপর স্ল্যাব অনুযায়ী আয়কর ধার্য করা হয়। যদি বিনিয়োগকারীর আয় করযোগ্য সীমার চেয়ে কম হয়, তাহলে ফর্ম 15G এবং 15H পূরণ করে ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে। এবং অনুরোধ করতে হবে যাতে টিডিএস না কাটা হয়। কারা এই ফর্ম পূরণ করবেন: ফর্ম 15G এবং 15H পূরণ করে বিনিয়োগকারী ব্যাঙ্ককে জানান যে তাঁর আয় করের আওতায় আসে না। ফর্ম 15G হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের সদস্য এবং ৬০ বছরের কম বয়সী যে কোনও ব্যক্তি পূরণ করতে পারেন। এটা হল আয়কর আইন ১৯৬১- এর ধারা 197A-এর উপ-ধারা 1 এবং 1(A) এর অধীনে একটি ঘোষণাপত্র৷ এর মাধ্যমে ব্যাঙ্ক বিনিয়োগকারীর বার্ষিক আয় সম্পর্কে জানতে পারে। যদি বিনিয়োগকারীর আয় করের আওতায় না আসে, তাহলে ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিটে টিডিএস কাটবে না। যাঁরা ট্যাক্স স্ল্যাবের আওতায় পড়েন না তাঁরা এই ফর্ম পূরণ করতে পারেন। অন্য দিকে, ফর্ম 15H ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের লোকেদের জন্য। এটি জমা করে প্রবীণ নাগরিকরা ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের উপর টিডিএস কাটা বন্ধ করতে পারেন। কিন্তু এই ফর্মটি শুধুমাত্র তাঁরাই জমা দিতে পারবেন যাঁদের করযোগ্য আয় শূন্য। ঋণ, অগ্রিম, ডিবেঞ্চার, বন্ড ইত্যাদির মতো আমানত ছাড়া অন্য কোনও উৎস থেকে সুদের আয় যদি ৫ হাজার টাকার বেশি হয়, তাহলে ফর্ম 15H জমা দিতে হবে।