দেশ Kolkata Airport: হাইজ্যাক, বোমার হুমকি কলকাতাতেও! এয়ারপোর্টে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা, হল জরুরি বৈঠক! Gallery October 21, 2024 Bangla Digital Desk দেশ জুড়ে বিমানে বোমাতঙ্ক এবং হুমকির আঁচ এবার কলকাতায়। মাঝ আকাশে বিমান অপহরণ (plane hijack) ও বিমানে হাইড্রোজেন বোমা রাখার হুমকি ফোন এল কলকাতা বিমানবন্দরের ই পোর্টালের (Kolkata Airport E portal) ল্যান্ডলাইন নাম্বারে। তড়িঘড়ি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকল কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ারপোর্ট অথরিটি সিআইএসএফ পুলিশ। সূত্রের খবর, ২০ তারিখ, রবিবার ১০টা ৫৫ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার সিকিউরিটি চেকিংয়ের ই পোর্টালের ল্যান্ড লাইন ফোন বেজে উঠেছিল। ফোন ওঠাতেই অপরদিক থেকে কণ্ঠস্বর বলে ওঠে, “মাঝ আকাশে বিমান হাইজ্যাক করা হতে চলেছে কিছুক্ষণের মধ্যেই!” এরপরই ফোন কেটে যায়। ঠিক ২ মিনিট পর ফের ফোন বেজে ওঠে কণ্ঠস্বর ভেসে আসে, “বিমানে হাইড্রোজেন বোমা আছে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। !” ঠিক ২ মিনিট পর ফের ফোন বেজে ওঠে কণ্ঠস্বর ভেসে আসে, “বিমানে হাইড্রোজেন বোমা আছে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। !” কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পৌঁছাতেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা, শুরু হয় বৈঠক। বিমানবন্দরে জারি করা হয় হাই এলার্ট (high alert)। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক শুরু হয় দীর্ঘ সময় প্রায় দু ঘন্টা ধরে চলে বৈঠক। পরবর্তী সময় এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে অভিযোগ জানায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানায়। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে কোন নাম্বার থেকে ফোনটি এসেছিল? কেন এই ধরনের ফোন করা হয়েছিল সমস্ত বিষয় তদন্তে নেমেছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানা। এই পরিস্থিতিতে সোমবার Civil Aviation Ministry প্রেস কনফারেন্স হল। বিমানে লাগাতার বোমাতঙ্ক নিয়ে কী কী পদক্ষেপ করা হবে তা নিয়েও হল সিদ্ধান্ত। জলমগ্ন কলকাতা বিমানবন্দর দক্ষিণবঙ্গে শুক্রবার কয়েক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম এই পাঁচ জেলায়। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর ৷ সিভিল অ্যাভিয়েশন মিনিস্টার রাম মোহন নাইডু (RamMohan Naidu, Civil aviation Minister) বলেন, “আমাদের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যাত্রীদের নিরাপত্তা, এবং সময়ানুবর্তিতা। বিমান যাত্রা যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতে আমরা দায়বদ্ধ। বিমানবন্দরের বর্তমান নিরাপত্তা পরিকাঠামোর পাশাপাশি আরও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে।” বিমানবন্দরে সিকিউরিটি চেকিং আরও দশ শতাংশ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হচ্ছে সিসিটিভি কভারেজও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক লাগাতার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং সহযোগীতা করছে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রককে। ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনায় শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনে বদল আনতে চলেছে সরকার। আইনি সংশোধনী আনার জন্য অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করছে। বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অপরাধে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং জেল হতে পারে। আজীবন বিমানযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। (No fly list) সব বিমান পরিবহন সংস্থার মতামত নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং একাধিক রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন একযোগে কাজ করছে। তদন্তের গতি বৃদ্ধি করার জন্য কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটছে তা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই জানাবে মন্ত্রক। এতদিন পর্যন্ত বিমানবন্দর বা বিমানের ভেতরে কোন ঘটনা ঘটলে Ministry of civil aviation এর আইনি provision অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হত। এবার কোনও On গ্রাউন্ডে flight এর ক্ষেত্রে বা বিমানবন্দরের বাইরে থেকে হুমকি কল বা মেসেজ করা হলে তা cognizable offence হিসেবে গণ্য করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহে ১০০রও বেশি ভুয়ো বোমাতঙ্কের খবর এসেছে দেশে। ৮টি বিমানের রুট বদল করতে হয়েছে গত এক সপ্তাহে।