Tag Archives: Tonni Laha Roy

Tollywood| Tonni Laha Roy: মা আর নেই! বুক ফাটা পোস্ট তন্বীর… মান অভিমান ভুলে পাশে এলেন সেই ‘মিঠাই’, চোখ ভিজল দর্শকদের

আদৃত-কৌশাম্বীর বিয়ে থেকে রিসেপশন- সবেতেই হাজির ছিলেন তিনি। হাসি মুখে শাড়ি-ল্যাহেঙ্গায় পোজ দিয়েছেন বর-কনের সঙ্গে। কিন্তু আদৃতের বিয়ে কাটতেই সব বদলে গেল। মাকে হারালেন অভিনেত্রী তন্বী লাহা রায়।
আদৃত-কৌশাম্বীর বিয়ে থেকে রিসেপশন- সবেতেই হাজির ছিলেন তিনি। হাসি মুখে শাড়ি-ল্যাহেঙ্গায় পোজ দিয়েছেন বর-কনের সঙ্গে। কিন্তু আদৃতের বিয়ে কাটতেই সব বদলে গেল। মাকে হারালেন অভিনেত্রী তন্বী লাহা রায়।
গত মঙ্গলবার১৪ই মে মৃত্যু হয়েছে তন্বীর মায়ের। তন্বী লেখেন,  ‘এই হাত দিয়েই তো আগলে রাখতে আমাদের। বেরোলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাত নাড়তে যতক্ষণ পর্যন্ত আমার গাড়িটা দেখা যেত। সবাইকে নিজের হাতে ইউনিক জিনিস বানিয়ে দিতে। এই হাতেই বছরের পর বছর স্টেরয়েডস, স্যালাইন সব সহ্য করেছ। তুমি খুব কষ্ট পেয়েছ, কিন্তু আমাদের দেখাওনি। নিজের ভাইকে ছোট বয়সে চলে যেতে দেখেছ, মা-বাবাকে হারিয়েছ। এখন তাঁদের সঙ্গেই আছো নিশ্চয়ই?'
গত মঙ্গলবার১৪ই মে মৃত্যু হয়েছে তন্বীর মায়ের। তন্বী লেখেন, ‘এই হাত দিয়েই তো আগলে রাখতে আমাদের। বেরোলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাত নাড়তে যতক্ষণ পর্যন্ত আমার গাড়িটা দেখা যেত। সবাইকে নিজের হাতে ইউনিক জিনিস বানিয়ে দিতে। এই হাতেই বছরের পর বছর স্টেরয়েডস, স্যালাইন সব সহ্য করেছ। তুমি খুব কষ্ট পেয়েছ, কিন্তু আমাদের দেখাওনি। নিজের ভাইকে ছোট বয়সে চলে যেতে দেখেছ, মা-বাবাকে হারিয়েছ। এখন তাঁদের সঙ্গেই আছো নিশ্চয়ই?’
‘মা ও মা! তুমি দেখেছ আমার প্রথম নিঃশ্বাস। আমি দেখলাম তোমার শেষ নিঃশ্বাস। নিঃশ্বাস তখনও চলছে, ভাবলাম এই তো আবার লড়াই করে ফিরছ বোধহয়। কিন্তু দেখলাম চোখের পাতা পড়ছে না তোমার। নিঃশ্বাস তখনও চলছে। ডাক্তার এসে বলল, আর কিছু সময়। এত কিছু করেও বাপি আর নিজেকে সামলাতে পারল না। হাসপাতালের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল। আমি তোমার হাতটা শক্ত করে ধরেছিলাম। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মা মা করে ডাকছি। ১০ সেকেন্ডে একবার করে গলার শিরাটা উঠছে। মানে মা বেঁচে আছে। মা-এর বেডে আমার চোখের জল পড়তেই নিজেকে সামলে নিলাম। তারপর সেকেন্ড পেরিয়ে গেল, শিরাটা থেমে গেল। মা…’।
‘মা ও মা! তুমি দেখেছ আমার প্রথম নিঃশ্বাস। আমি দেখলাম তোমার শেষ নিঃশ্বাস। নিঃশ্বাস তখনও চলছে, ভাবলাম এই তো আবার লড়াই করে ফিরছ বোধহয়। কিন্তু দেখলাম চোখের পাতা পড়ছে না তোমার। নিঃশ্বাস তখনও চলছে। ডাক্তার এসে বলল, আর কিছু সময়। এত কিছু করেও বাপি আর নিজেকে সামলাতে পারল না। হাসপাতালের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল। আমি তোমার হাতটা শক্ত করে ধরেছিলাম। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মা মা করে ডাকছি। ১০ সেকেন্ডে একবার করে গলার শিরাটা উঠছে। মানে মা বেঁচে আছে। মা-এর বেডে আমার চোখের জল পড়তেই নিজেকে সামলে নিলাম। তারপর সেকেন্ড পেরিয়ে গেল, শিরাটা থেমে গেল। মা…’।
মিঠাই ধারাবাহিকে তন্বী ছিলেন খলনায়িকা। পরে অবশ্য বদলে যান তিনি। তবে পর্দার ভিলেন বাস্তবে একেবারেই আলাদা। শান্ত, নম্র।
মিঠাই ধারাবাহিকে তন্বী ছিলেন খলনায়িকা। পরে অবশ্য বদলে যান তিনি। তবে পর্দার ভিলেন বাস্তবে একেবারেই আলাদা। শান্ত, নম্র।
এই বিয়েতে সৌমিতৃষা আদৌ নিমন্ত্রিত ছিলেন কিনা তা কেউ জানে না। তবে মিঠাই পরিবারের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কারও অজানা নয়। মিঠাইয়ের কোনও রি-ইউনিয়নে তাঁকে দেখা যায়নি। একাধিক সহ-অভিনেতাকে সমাজমাধ্যম থেকে আনফলো করে দিয়েছেন।
এই বিয়েতে সৌমিতৃষা আদৌ নিমন্ত্রিত ছিলেন কিনা তা কেউ জানে না। তবে মিঠাই পরিবারের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কারও অজানা নয়। মিঠাইয়ের কোনও রি-ইউনিয়নে তাঁকে দেখা যায়নি। একাধিক সহ-অভিনেতাকে সমাজমাধ্যম থেকে আনফলো করে দিয়েছেন।
অতনু রায়চৌধুরীর প্রযোজনায় অভিজিৎ সেনের পরিচালনায় ক্রিসমাসে বড় পর্দায় আসে ‘প্রধান’। ছবিতে ছিলেন ‘টনিক’-এর হিট জুটি দেব ও পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা যায় কিংবদন্তী অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্য়ায়কে। কাঞ্চন-অম্বরীশ-কনীনিকা সহ বহু খ্যাতনামা তারকা রয়েছেন এই ছবিতে। ছিলেন মমতা শংকরও। নায়িকার ভূমিকায় ছিলেন সৌমিতৃষা৷ অনেকের ধারণা তারপর থেকেই সৌমিতৃষা বদলে গিয়েছেন। তন্বীকে তো ইনস্টাগ্রামে আনফলো করে দিয়েছেন নায়িকা, সেই নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি।
অতনু রায়চৌধুরীর প্রযোজনায় অভিজিৎ সেনের পরিচালনায় ক্রিসমাসে বড় পর্দায় আসে ‘প্রধান’। ছবিতে ছিলেন ‘টনিক’-এর হিট জুটি দেব ও পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা যায় কিংবদন্তী অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্য়ায়কে। কাঞ্চন-অম্বরীশ-কনীনিকা সহ বহু খ্যাতনামা তারকা রয়েছেন এই ছবিতে। ছিলেন মমতা শংকরও। নায়িকার ভূমিকায় ছিলেন সৌমিতৃষা৷ অনেকের ধারণা তারপর থেকেই সৌমিতৃষা বদলে গিয়েছেন। তন্বীকে তো ইনস্টাগ্রামে আনফলো করে দিয়েছেন নায়িকা, সেই নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি।
তবে পুরনো সহকর্মীর মায়ের মৃত্যুতে নিজেকে সব অভিমান ভুলে গিয়েছেন সৌমিতৃষা। ফোন করেছেন তন্বীকে। খোঁজ নিয়েছেন। পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
তবে পুরনো সহকর্মীর মায়ের মৃত্যুতে নিজেকে সব অভিমান ভুলে গিয়েছেন সৌমিতৃষা। ফোন করেছেন তন্বীকে। খোঁজ নিয়েছেন। পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।