নয়াদিল্লি: দিল্লি থেকে কানপুরের উদ্দেশ্যে ছুটছিল গোরক্ষপুরগামী হামসফর এক্সপ্রেস। ট্রেনের গতিবেগ তখন প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। আচমকাই একটা দৃশ্য দেখে হাড়হিম হয়ে গিয়েছিল জিআরপি-র। কিন্তু কী এমন হয়েছিল? জানা গিয়েছে, তীব্র গতিতে ছুটতে থাকা গোরক্ষপুরগামী হামসফর এক্সপ্রেসের ছাদে ঘুমোচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। আর যেখানে তিনি শুয়েেছিলেন, তার ঠিক ৫ ফুট উপরেই ছিল ১১০০০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন। আচমকাই এই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিলেন জিআরপি কর্মীরা। তাঁদের তৎপরতায় বাঁচলেন ৩০ বছর বয়সী ওই যুবক। মৃত্যু যেন ওই যুবককে ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল। আর এই ঘটনার ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে আর পরিণতি ভেবে রীতিমতো শিউরে উঠেছেন নেটাগরিকরা!
প্রথমে অবশ্য কর্তৃপক্ষের ধারণা হয়েছিল যে, ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাই তাঁকে নিচে নামানোর প্রচেষ্টাও চলেছিল। এতে অবশ্য সফল হননি তাঁরা। এরপর আসরে নামেন আরপিএফ অফিসাররা। কোনওক্রমে ট্রেনের ছাদে ওঠেন তাঁরা। এর জন্য স্টেশন চত্বরের ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নিরাপদে নামিয়ে আনা হয় ওই ব্যক্তিকে। অবশ্য জিআরপি এবং আরপিএফ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। প্রায় ২০ মিনিট দেরিতে গন্তব্যে রওনা দেয় ট্রেনটি।
मौत का सफर… दिल्ली से कानपुर तक हमसफ़र एक्सप्रेस पर की छत पर लेट कर आया युवक… #kanpur pic.twitter.com/6mp2fZDGGg
— Sumit Sharma (@sumitsharmaKnp) April 3, 2024
কানপুরের আরপিএফ স্টেশন ইন-চার্জ বিপি সিং বলেন, দিল্লি থেকে ট্রেনে ওঠেন ওই যুবক। এমনকী দিল্লি থেকে কানপুর পর্যন্ত তিনি ট্রেনের ছাদে শুইয়েই যাত্রা করেছিলেন। বিপি সিংয়ের কথায়, যদি মাঝখানে কোথাও তিনি দাঁড়িয়েও পড়তেন, তাহলে বৈদ্যুতিক লাইনের সংস্পর্শে আসতেন। আর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁর মৃত্যু হতে পারত। এর পাশাপাশি ওএইচই লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে ট্রেনের মধ্যেও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। সেই কারণে ওই যুবকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রেলওয়ে আইনের ১৫৬ ধারায় গ্রেফতারও করা হয়েছে দিলীপকে।