কলকাতা: টালা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মলয় কুমার দত্ত। আরজি করের তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।
এরপর শ্যামপুকুর থানার অ্যাডিশনাল ওসি মলয় কুমার দত্তকে টালা থানার ওসি হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁকেই ওসি করা হল টালা থানার।
আরও পড়ুন: মোবাইলের নেশায় আসক্ত বাড়ির খুদে? এই ৫ টিপস্ কাজে লাগান, নিজে থেকেই ফোন দেখা ছেড়ে দেবে সন্তান
তথ্যপ্রমা লোপাট, অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে বাঁচানোর চেষ্টার মতো একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে টালা থানার তত্কালীন ওসি অভিজিত্ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। আরজি করের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে শিয়ালদহ আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রিপোর্টে দাবি, থানায় বসেই ঘটনার যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছিলেন অভিজিৎ মণ্ডল।
প্রসঙ্গত, টালা থানার প্রাক্তন ওসি বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বুধবার প্রিজন ভ্যানে উঠতে গিয়ে হোঁচট খান অভিজিত্ মণ্ডল। এরপর জেলে গিয়ে জানান তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। পরে তাঁকে oc জেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরজি করে তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হেফাজতে টালা থানার ওসি। ঘটনার সময় তিনি টালা থানার ওসি ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে, যেমন, কর্তব্যে গাফিলতি, তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া ইত্যাদি। ৯ অগাস্ট রাতে মৃত্যু হয় তরুণী চিকিৎসকের। সেইদিন রাতভর কী চলেছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে? মৃত্যুর ঘটনা কখন জানতে পারেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ? তারপরে কাকে জানান তিনি? কখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল? তারপর থেকে দীর্ঘ সময় কী কথা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে? প্রশ্নের তালিকা দীর্ঘ।