রঙ বেরঙের লুফাহ সাজানো থাকে সব স্নানঘরেই

Loofah Care Tips: গরমে স্নানের সময় লুফাহ ব্যবহার করেন? হতে পারে ত্বকের জটিল সংক্রমণ! জানুন বাঁচার উপায়

গরমে আরাম পাওয়ার অন্যতম সেরা উপায় আয়েশ করে স্নান করা৷ ক্রান্তীয় দেশের বাসিন্দাদের গ্রীষ্মে যত্ন করে স্নান করা ছাড়া সুস্থ থাকার অন্য উপায় নেই৷ স্নানের সময় নানা ভাবে শরীর পরিষ্কার করাও জরুরি৷ সাবান বা জেল যা-ই ব্যবহার করুন না কেন, ত্বক এক্সফোলিয়েট করাও জরুরি৷ তাতে ত্বকের নোংরা, মরা কোষ ঝরে যায়৷

স্নানের সময় ত্বক এক্সফোলিয়েট করার জন্য আগে ব্যবহার করা হত ধুঁধুঁলগাছের ছোবড়া৷ এখন তার জায়গা নিয়েছে লুফাহ৷ রঙ বেরঙের লুফাহ সাজানো থাকে সব স্নানঘরেই৷ স্নানবিলাসীদের বিশ্বাস, লুফাহ দিয়ে গা ঘষলে ভাল পরিষ্কার হয়৷ ত্বক এক্সফোলিয়েট করে৷ কিন্তু জানেন কি লুফাহ আবার নানারকম জীবাণু ও ছত্রাকের বাসভূমি হয়ে উঠতে পারে৷

ত্বকের উপর যে কোনও প্রভাব বা সংক্রমণ এড়াতে লুফাহ-র যত্ন নিতে হবে৷ ঠিক যেমন আমরা টুথব্রাশের খেয়াল রাখি, সেরকমই৷ শাওয়ারের নীচে স্নান করলে লুফাহ ব্যবহার করবেন না৷ কারণ জলের বাষ্প পরিণত হয় আর্দ্রতায়৷ এই আর্দ্রতা লুফায় জমতে থাকলে তার সঙ্গে আপনার শরীর থেকে ওঠা মৃত কোষ, তেল, নোংরা, সাবানের ফেনা সবমিলিয়ে সেটিতে ছত্রাকের জন্মস্থান হয়ে উঠবে৷

আরও পড়ুন : চাঁদিফাটা গরমে এভাবে মাটির কলসিতে জল রাখলে হার মানবে ফ্রিজও! অবাক জলপানে মুক্তি বদহজম থেকেও

ব্যবহারের পর আমরা সাধারণত ভিজে লুফাহ বাথরুমেই টাঙিয়ে রাখি৷ সে সময় ভিজে লুফাহতে জন্মায় জীবাণু৷ স্নানের পর রোদে রেখে শুকিয়ে নিতে হবে লুফাহকে৷ প্রতি বার ত্বকে নতুন করে ব্যবহার করার আগে এক বার ঈষদুষ্ণ জলে ভিজিয়ে নিতে হবে লুফাহকে৷ শুকনো লুফাহ ব্যবহার করার ফলে ত্বকে সংক্রমণও দেখা দিতে পারে৷ প্রতি তিন থেকে চার সপ্তাহ পর পর টুথব্রাশের মতো বদলাতে হবে লুফাহ-ও৷

শরীরের কোনও অংশ শেভ করলে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে লুফাহ ব্যবহার করবেন না৷ নয়তো ত্বকে সংক্রমণ দেখা দিয়ে তা একসময় যন্ত্রণাদায়ী ফোস্কায় পরিণত হতে পারে৷ বাজারে হরেক রকমের লুফাহ পাওয়া যায়৷ তার মধ্যে প্লাস্টিকের লুফাহ-ই সবথেকে বেশি প্রচলিত৷ কিন্তু প্লাস্টিকের সংস্পর্শে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে৷ তাই বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করুন সি-স্পঞ্জ৷

প্রাকৃতিক স্পঞ্জে কোনওরকম রং বা রাসায়নিক থাকে না৷ বরং কিছু স্পঞ্জে থাকে ব্যাকটিরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম উৎসেচকও৷ ফলে ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ৷ ত্বকে লুফাহ-র আলতো স্পর্শে মালিশের ফলে রক্ত চলাচল মসৃণ হয়৷ স্নানের সময় লুফাহ-র উপর শাওয়ার জেল বা তরল সাবান দিয়ে ত্বক ঘষলে মৃত কোষ ঝরে পড়ে যায়৷