আবীর ঘোষাল, কলকাতা: লোকসভা ভোটের আগে জোর চর্চা কুণাল ঘোষকে নিয়ে। মে মাসের প্রথম দিনেই তাকে দেখা গেছে এক মঞ্চে উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে ৷ সকালে বিপক্ষ দলের প্রার্থীর সঙ্গে অরাজনৈতিক মঞ্চে। আর বিকেলেই তাঁকে দলের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ যদিও তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে কুণাল ঘোষকে। কুণাল পদ থেকে সরায় ভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা নানা মত পোষণ করেছেন ৷ তাঁর আচরণকে সমর্থন করতেও দেখা গিয়েছে কাউকে কাউকে।
CPIM-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কুণাল ঘোষ রক্তদান শিবিরে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আচ্ছা, অনুব্রত মণ্ডলকে কি পদ থেকে সরানো হয়েছিল? বড় অপরাধীদের বেশি কদর তৃণমূলে। তাই অনুব্রত, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের সরানো হয় না।’’
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘‘তৃণমূল রাজনৈতিক ভাবে কতটা অসহিষ্ণু, এই ঘটনা তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দুই দলের লোকজনই ছিলেন। সেখানে একজনের প্রশংসা করলে যদি সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে দেবও তো আমার এলাকায় গিয়ে আমার প্রশংসা করেছে! রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতার চরম নিদর্শন এটি।’’
বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “দেব কেন মিঠুনের সঙ্গে কথা বলেছেন, প্রশংসা করেছেন, সেদিন প্রশ্ন তুলছিলেন কুণালবাবু। আজ আর তাঁর উপরও কোপ নামল! রোজই কেউ না কেউ পার্টি বদলায়। তার সঙ্গে বসে কথা বললে তাড়িয়ে দেবে? তৃণমূলের মতো দলকে নিষিদ্ধ করা উচিত, নইলে এই অমানবিকতা বন্ধ হবে না।”
আরও পড়ুন– রাশিফল ২ মে; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
কুণাল ঘোষ অবশ্য জানিয়েছেন, পদ থেকে অপসারণের কোনও চিঠি এখনও পাননি তিনি। তিনিও জেনেছেন দলের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেখেই। কুণালের প্রশ্ন, “আমাকে কি ফোন করে একবার বলা যেত না, তুমি যে পদ থেকে সরতে চেয়েছিলে, সেই সব পদ থেকে তোমাকে অব্যাহতি দেওয়া হল। ‘রিমুভ’ শব্দটা আসল কোথা থেকে? আমি তো নিজেই ওই পদগুলি থেকে সরতে চেয়েছিলাম।” যে বিষয় নিয়ে এত আলোচনা সেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়।