জ্যোতিষকাহন Today Surya Grahan: এগিয়ে আসছে সময়, বছরের শেষ সূর্যগ্রহণের প্রভাব কী হবে? ৬ ঘণ্টা ৪ মিনিট স্থায়ী হবে দ্বিতীয় গ্রহণ Gallery October 2, 2024 Bangla Digital Desk বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ২০২৪ সালের শেষ সূর্যগ্রহণ আজ ঘটতে চলেছে। এই গ্রহণ মীন রাশিতে ঘটবে এবং বিশেষ বিষয় হল আজ সর্ব পিতৃ অমাবস্যাও। এই ধরনের পরিস্থিতি জ্যোতিষশাস্ত্রে অত্যন্ত অশুভ বলে বিবেচিত হয়। যেখানে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণকে জ্যোতির্বিদ্যাগত ঘটনা বলা হয়। সূর্যগ্রহণ কখন ঘটবে:ভারতীয় সময় অনুযায়ী, সূর্যগ্রহণ শুরু হবে আজ রাত ৯:১৩ মিনিটে এবং শেষ হবে ৩:১৭ মিনিটে। জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে সূর্যগ্রহণের গুরুত্ব:অযোধ্যার জ্যোতিষী পণ্ডিত কল্কি রামের মতে, এই গ্রহণ ২ অক্টোবর রাত ৯.১৩ মিনিটে শুরু হবে এবং শেষ হবে ৩.১৭ মিনিটে। জ্যোতিষশাস্ত্রের হিসাব অনুযায়ী, সূর্যগ্রহণের ১২ ঘণ্টা আগে সূতক সময় শুরু হয়। তবে, ভারতে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না, তাই সূতক সময়কাল বৈধ হবে না। গ্রহণ শেষ হওয়ার পর স্নান, ধ্যান ও উপাসনা করা হয় এবং এর পরে দানশীল কাজও করা হয়। ভারতে সূর্যগ্রহণের প্রভাব:পণ্ডিত কল্কি রাম বলেছেন যে এই সূর্যগ্রহণ ভারতে দৃশ্যমান হবে না, তাই ভারতে এর সরাসরি কোনও প্রভাব পড়বে না এবং সূতক সময়ও বৈধ হবে না। ভারতের বাসিন্দাদের কোনও ধরনের জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যায় পড়তে হবে না। কিন্তু শাস্ত্র মতে, সূর্যগ্রহণের সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের এই সময়ের মধ্যে সূর্যগ্রহণ দেখা উচিত নয় এবং তাদের বিশেষ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। যদিও বৈজ্ঞানিক মতে এসব নিয়মের কোনও ভিত্তি নেই৷ রাশিচক্রের উপর সূর্যগ্রহণের প্রভাব: এই গ্রহণ ভারতে দৃশ্যমান হবে না, তবে এর প্রভাব ১২টি রাশিতে দেখা যাবে। এই গ্রহণ কিছু রাশির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, অন্যদের উপর এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই রাশিচক্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ ঘটতে চলেছে আজ, বুধবার ২ অক্টোবর। এই সূর্যগ্রহণ ৬ ঘণ্টা ৪ মিনিট স্থায়ী হবে। এই সূর্যগ্রহণের দিনটি হল সর্ব পিতৃ অমাবস্যা, যা আশ্বিন অমাবস্যা তিথিতে পড়ে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, সূর্যগ্রহণ সর্বদা অমাবস্যার দিনে ঘটে এবং চন্দ্রগ্রহণ সর্বদা পূর্ণিমার দিনে ঘটে। সূতক সময় সূর্যগ্রহণের ১২ ঘণ্টা আগে শুরু হয়। এর মধ্যে কোন শুভ কাজ নেই। সূতক সময়ে খাবার তৈরি, খাওয়া, পুজো ইত্যাদি না করার রীতি হয়েছে। এ সময় মন্দিরের দরজাও বন্ধ থাকে।