দার্জিলিং: সোনালী রোদ নীল ঝকঝকে আকাশ, কাশফুল এবং ঢাকের আওয়াজ ইতিমধ্যে জানান দিয়েছে মা এসে গেছে। ইতিমধ্যেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবে মেতে উঠেছে বাঙালি। সমতলের পাশাপাশি ঢাকের আওয়াজে মেতেছে পাহাড়ও। দার্জিলিং এর বুকে কার্শিয়াংয়ের ডাওহিল রোডে বহু পুরনো এই পুজো দেখতে ভিড় জমাচ্ছে পর্যটকেরা।
পাহাড়ের কোলে বহু পুরনো এই পুজোয় কোন কিছুর খামতি থাকে না সব নিয়ম রীতি মেনে সকাল থেকেই চলছে পুজো অর্চনা। শুধু বাঙালি রাই নয়, ব্রিটিশ আমলের পুজোয় সমস্ত জাতি ধর্মের মানুষে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় এই পুজো প্রাঙ্গণ। পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে সব মহিলারা শাড়ি পরে একত্রিত হয়ে ধুমধাম করে পুজোর আয়োজন করে।
আরও পড়ুনPuri Jagannath Temple Theme: বাংলায় এবার পুরীর জগন্নাথ মন্দির, দেখতে চাইলে যেতে হবে কোথায়?
এই প্রসঙ্গে এখানে ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী অনামিকা দেব বলেন পাহাড়ের কোলে সাবেকিয়ানার সঙ্গে ধুমধাম করে আয়োজিত বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের দ্বারা পরিচালিত এই পুজো সত্যিই অসাধারণ। পুরনো রীতি মেনেই চলছে পুজো অর্চনা পাশাপাশি একই চালায় লক্ষ্মী সরস্বতী গণেশ কার্তিক থেকে শুরু করে মা দুর্গা দেখে মন ভরে গেল। পূজোর পাশাপাশি চলছে খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ, সেই অর্থেই মায়ের দর্শন থেকে শুরু করে প্রসাদ খাওয়া সবটাই খুব আনন্দের।
ব্রিটিশ আমল থেকে হয়ে আসা এই পুজোয় শিলিগুড়ি থেকে টয় ট্রেনে চেপে মা দুর্গা আসতেন কার্শিয়াং পাহাড়ের কোলে ডাওহিল রোডে এই রাজরাজেশ্বরী হলে। বর্তমানে তা পরিবর্তন হয়েছে তবে পুরনো দিনের সেই রীতি মেনে আজও এই মন্দিরে ধুমধাম করে আয়োজিত হয়ে আসছে দুর্গাপুজো। এ বছর পূজো ১০৮ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।
সুজয় ঘোষ