Tag Archives: Travel Tips

Travel Tips: যেন রূপকথার জগৎ! ঝর্ণার জল ছুঁয়ে যায় শরীর, পুরুলিয়ার এই জায়গা ঘুরে নিন ২ দিনেই

পুরুলিয়া: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা পুরুলিয়া জেলা। ‌ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে , সঙ্গে এই জেলার রূপ পরিবর্তন হয়। সুন্দরী অযোধ্যার রূপের টানে তাই ছুটে আসেন পর্যটকেরা। ‌সারা বছরই পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে পর্যটকদের ঢল নামে। ‌তবে বর্ষায় অযোধ্যা পাহাড়ে রূপ একেবারেই অনবদ্য হয়ে ওঠে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে চারদিক।

একাধিক পর্যটন কেন্দ্রে ঘেরা লাল মাটির এই পুরুলিয়া জেলা। তার মধ্যে অন্যতম পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে অবস্থিত বামনি ফলস। সারা বছরই সেখানে পর্যটকদের ব্যাপক ঢল নামে। তবে বর্ষার মরশুমে মনোমুগ্ধকর রূপ হয়ে ওঠে এই বামনি ফলসের। তাই বর্ষার এই বামনি ফলসের অপরূপ সৌন্দর্যের টানে ছুটে আসেন অনেকে।

পর্যটকেরা বলেন, তাঁরা অনেকটা দূর থেকে পুরুলিয়ার এই বামনি ফলস দেখতে এসেছেন। তাদের ভীষণই ভাল লাগছে এত সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেয়ে। ‌ তাই তাঁরা মুঠোফোনে তাঁদের এই স্মৃতি বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন। বাড়ির কাছে এত সুন্দর ওয়াটার ফলস তারা এর আগে কখনও দেখেননি। অযোধ্যা পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে গিয়েছে এই পাহাড়ি ঝর্ণা।

বামনি ফলসে যেতে গেলে পাহাড়ি চড়াই উৎরাই কিছুটা পথ পেরিয়ে যেতে হয়। পাহাড়ের খাঁজ কেটে সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে বামনি ফলস যাওয়ার জন্য। আর সেই রাস্তা দিয়েই পর্যটকেরা সুন্দরী অযোধ্যার কোলে অবস্থিত বামনি ফলসে বেড়াতে যান।‌ হাতে সময় কম থাকলেও দু-দিনের ছুটি নিয়ে অনায়াসেই ঘুরে আসা যায় লাল মাটির এই জেলা থেকে। ‌আর তাই তো পুরুলিয়ার পর্যটন মানচিত্রে এর ভূমিকা অপরিসীম।

শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়

Travel Tips: কলকাতা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্ব! ছোট্ট ছুটিতে এখানে ঘুরে আসতে পারেন, মন ভাল হবেই

পূর্ব বর্ধমান: কলকাতার কাছেই রয়েছে এক মন ভাল করা ফার্ম হাউস। অল্প ছুটিতে চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গা থেকে। প্রাকৃতিক পরিবেশে পাবেন একাধিক বিনোদনের সুযোগও। বাঙালি জাতির একটা বড় অংশ ভ্রমণপিপাসু। কিন্তু বর্তমানে সময়ের অভাবে অনেকেই দূরে কোথাও যেতে পারেন না। অল্প ছুটি থাকলে কিংবা উইকেন্ডে কাছাকাছি কোথাও ঘুরতে যেতে চান অনেকেই। তাই ফাঁকা সময় পেলেই যাঁরা ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য রইলএক নতুন জায়গার সন্ধান। কলকাতার কাছাকাছি রয়েছে এই ফার্ম হাউস।

পূর্ব বর্ধমান জেলার  কাছে অবস্থিত এই ফার্ম হাউস। শান্ত, প্রাকৃতিক পরিবেশের টানে ছুটে আসেন অনেকেই। ফার্ম হাউসের কর্ণধারের কথা অনুযায়ী, এখানে যারা আসবেন তাদের জন্য রাত্রিযাপন ও খাওয়া দাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। আগত অতিথিদের বিশেষ চমক হিসেবে রয়েছে গ্রাম বাংলার টাটকা খাবারের আয়োজন। চাইলেই অতিথিরা চেখে দেখতে পারেন সেই সব টাটকা খাবারের স্বাদ। ফার্ম হাউসের কর্ণধারের কথায়, তারা খাবারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। যাতে অতিথিদের সেরা গুণমানের খাদ্য পরিষেবা দেওয়া যায়।

ফার্ম হাউসের কর্ণধার গুল মোহাম্মদ মোল্লা জানিয়েছেন, “বর্ধমানে এই প্রথম গ্রাম্য আদলে একটা রিসর্ট আমরা গড়ে তুলতে পেরেছি। এখানে দেখতে পাবেন দেশি খাসি, দেশি মুরগি, দেশি মাছ এখানে রাখা আছে। এখানে সব টাটকা সবজি থেকে শুরু করে সবটাই অর্গ্যানিক ভাবে উৎপাদন করা। যাঁরা খাদ্যপ্রেমী বাঙালি আছে, তাঁদের জন্য গ্রাম্য আদলে, নির্ভেজাল ভাবে আমরা এটা তৈরি করলাম। এখানে ঢেঁকি থেকে শুরু করে বিভিন্ন গ্রাম্য জিনিসকে আমরা তুলে ধরছি। আমাদের সব থেকে বড় টার্গেট হচ্ছে খাদ্যপ্রেমী বাঙালি এবং তাঁদের যেন আমরা নির্ভেজাল খাবারটা খাওয়াতে পারি।” বর্ধমান শহর সংলগ্ন দেওয়ানদিঘি পালিতপুর এলাকায় অবস্থিত এই ফার্ম হাউস।

রয়েছে নৌকা বিহার। এমনকি নৌকার মধ্যে বিশেষ দিন পালনের ব্যবস্থাও। ছিপ অথবা তগি দিয়ে মাছ ধরার ব্যবস্থাও রয়েছে । বিভিন্ন পাখির ডাক অতিথিদের এক সম্পূর্ণ গ্রাম্য পরিবেশ উপহার দেবে বলে মত ফার্ম হাউস কর্তৃপক্ষের। এখানে প্রবেশ করতে গেলে লাগবে না কোনও প্রবেশ মূল্য।কিন্তু ১০০ টাকার ফুড কুপনের বিনিময়ে প্রবেশ করতে হবে সকলকে। ১০০ টাকার খাবার খেয়ে নিতে পারবেন ফার্ম হাউসের মধ্যে। তবে বাচ্চাদের জন্য প্রযোজ্য নয় এই নিয়ম। দিনের ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকছে এই ফার্ম হাউস। ফার্ম হাউসের নিজস্ব ওয়েবসাইট এ উপলব্ধ রয়েছে যাবতীয় তথ্য।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Travel Tips: শহর থেকে দূরে একটু জিরিয়ে নিতে চান? কম সময়ে ঘুরে আসুন এখানে, শান্তি পাবে মন

পশ্চিম মেদিনীপুর: সারা দিনের ক্লান্তি শেষে প্রত্যেকেই নিজেকে একটু রেহাই দিতে কাছে পিঠে কোথাও থেকে ঘুরে আসার প্ল্যান করেন। কিংবা কেউ সপ্তাহ শেষে লং ড্রাইভেও যেতে পছন্দ করেন। পড়ুয়া হোক কিংবা চাকুরিজীবী, সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে এখানে এলে আপনার মন ভাল হবে। নদীর পাশে শান্ত-শীতল পরিবেশ। সেলফি জোন এবং চারিদিকে গাছে ভরা এই জায়গা আউটিংয়ের জন্য সুন্দর। মেদিনীপুর শহরেই রয়েছে এমন সুন্দর একটি জায়গা যা হয়তো আগে দেখেননি। বন্ধুদের নিয়ে কিংবা একান্তেই সময় কাটান এখানে। শান্তভাবে নদীর প্রবাহ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ মন সতেজ করে তুলবে।

মেদিনীপুর শহরের অনতিদূরে কলকাতা থেকে খুব কাছেই এই সুন্দর জায়গা। সৌন্দর্যায়ন করেছে মেদিনীপুর পৌরসভা। প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে পার্ক এবং বাঁধানো হয়েছে নদীর ঘাট। সপ্তাহে দু’দিন থাকে লাইট এবং সাউন্ডের ব্যবস্থা। তাই বিকেলের ছুটিতে পরিবারের সকলকে নিয়ে এখানে এলে মন ভাল হয়ে যাবে। এমন সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে কয়েকটা ঘণ্টা কাটালে পরের দিনের কাজের নতুন করে উদ্যম ফিরে পাবেন।

মেদিনীপুর শহরের কাছেই রয়েছে গান্ধীঘাট। এখানেই রয়েছে I LOVE MEDINIPUR লেখা সেলফি জোন। রয়েছে নদীর পাড়ে বসা এবং ফটো তোলার দুর্দান্ত জায়গা। মেদিনীপুর শহরের এক প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে কংসাবতী নদী। বর্ষার এই সময় টইটুম্বুর নদী। বিকেলের সূর্যাস্ত কিংবা নদীর শান্ত বাতাস আপনার সারাদিনের ক্লান্তি দূর করবে। শুধু তাই নয় বৃহস্পতিবার এবং রবিবার নদী বক্ষে ফোয়ারার মধ্য দিয়ে লাইট এবং সাউন্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনে তরফে।

 কলকাতা থেকে আসতে চাইলে খুব কাছেই এই জায়গা। কলকাতা থেকে প্রাইভেট গাড়ি, ট্রেন কিংবা বাসে করে আসা যাবে এখানে। প্রাইভেট গাড়ি করে এলে মেদিনীপুর ঢোকার মুখে মোহনপুর ব্রিজের খুব কাছেই গান্ধীঘাট। বাসে এলে মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ডে নেমে সেখান থেকে অটো ধরে আসা যাবে গান্ধীঘাটে। অন্য দিকে, ট্রেনের মাধ্যমে খড়গপুরে নেমে বাস কিংবার অটো ধরে পৌঁছনো যাবে কিংবা মেদিনীপুর স্টেশনে নামলে সেখান থেকে টোটো বা অটো ধরে আসা যাবে গান্ধীঘাটে।

রঞ্জন চন্দ

Travel Tips: বাড়ির একদম কাছে! একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন ইতিহাস জড়ানো এই গ্রামে! মন ভাল হবেই

ডায়মন্ডহারবার: স্বাধীনতার মাসে ঘুরে আসুন ডায়মন্ড হারবারের পুরাতন কেল্লার মাঠ থেকে। যদিও ডায়মন্ডহারবারের কেল্লার স্থাপত্য হুগলি নদীর করাল গ্রাসে প্রায় বিলীন হয়ে গিয়েছে৷ কেল্লার অবশিষ্ট বলতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইঁটের কয়েকটি স্তম্ভ৷

কেল্লাটির কিছু অংশ এখনও মাথা উঁচু করে ইতিহাসের স্বাক্ষ্য বহন করে চলেছে। জানা যায়, পর্তুগীজরা তৈরি করেছিলেন এই ঐতিহাসিক কেল্লা। এখন বর্ষার সময় কেল্লার কাছে যাওয়া দূরহ ব্যাপার। পর্তুগিজদের হাত থেকে একসময় কেল্লা আসে ইংরেজদের হাতে। এরপর নদী পথে নজরদারির পাশাপাশি সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য কয়েক বিঘা জমিতে তিনটি বিশাল আয়তনের বহুতল দুর্গ নিয়ে গড়ে ওঠে কেল্লা৷
কেল্লার নিরাপত্তার জন্য তিনটি কামানও বসানো হয়েছিল৷

আরও পড়ুন: সঠিক ডায়েট-ব্যায়ামের পরেও হঠাৎ বাড়তে পারে ওজন! কেন এরকম হয়, জানুন আসল কারণ

আরও পড়ুন: টুথপেস্ট কী দেখে কিনবেন? না হলেই দাঁতের বড়সড় ক্ষতি, চেক করতেই হবে ‘এই’ জিনিসটি

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রকৃতির নিয়মে ইতিহাসের স্মৃতি বিজড়িত চুন-সুড়কি এবং ইটের তৈরি কেল্লার ক্ষয় হতে শুরু করে৷ সঠিক নজরদারি এবং সংরক্ষণের অভাবে দুষ্কৃতীরা অবাধে লুঠ করে নিয়ে যায় কেল্লার ইট, কাঠ, কামানের যন্ত্রাংশ-সহ বিভিন্ন সামগ্রী৷ গত কয়েক বছর ধরে হুগলী নদীর ভাঙন ব্যাপক আকার নেয়৷ বর্তমানে কেল্লার অবশিষ্ট অংশ বলতে কেবলমাত্র কয়েকটি ভাঙা স্তম্ভ অবশিষ্ট রয়েছে। বর্তমানে এই কেল্লার কাছেই গড়ে তোলা হয়েছে সুন্দর একটি পিকনিক স্পট। সেই জন্য ইতিহাসের সঙ্গী হতে স্বাধীনতার মাসে দেখে আসতেই পারেন ডায়মন্ডহারবারের পুরাতন কেল্লা।

নবাব মল্লিক

Travel Tips: যেন গল্পের পাতা থেকে উঠে আসা! ছোট্ট ছুটিতে এখানে ঘুরে আসুন, ফিরতে ইচ্ছা করবে না

পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রতিদিন নিত্য নতুন ডেস্টিনেশন বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু থাকে পর্যটকদের কাছে। নদী, পাহাড়, সমুদ্র কিংবা বিভিন্ন পার্ক তো ঘুরে এসেছেন অনেকবার! তবে এবার ঘুরে আসুন সাজানো একটি সুন্দর নগরী থেকে। চারদিকে সুন্দর সুন্দর সাজানো প্রাচীর, দেওয়াল এবং প্রাচীন সভ্যতার একাধিক সাজানো গোছানো নিদর্শন। তাই একদিনের ছুটিতেই ঘুরে আসুন এই সুন্দর জায়গা থেকে। মন ভরে ছবি তুলুন। তবে এখানকার পরিবেশ আপনাকে নিয়ে যাবে একটা নতুন শহরে। কোথাও রয়েছে পার্ক, কোথাও স্টেশন, কোথাও এয়ারপোর্ট। সেখানে দাঁড়িয়ে প্লেন। আবার ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন। আপনার এবারের ট্যুর ডেস্টিনেশন হোক এই জায়গা।

মেদিনীপুর জেলায় রয়েছে এমনই এক ঘোরার অফবিট জায়গা। যা এক দিনেই ঘোরা যাবে এবং স্মৃতিতে থাকবে সারা জীবন। মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থেকে প্রায় ১৯ কিমি দূরে অবস্থিত এক শুনশান নগরী। এই শহরে থাকার জন্য সমস্ত কিছুই আছে। আছে ঘর, স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম, এমনকি এয়ারপোর্ট! শুধু নেই জনমানব। মেদিনীপুর শহর থেকে হাতেগোনা কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি মানবসৃষ্ট নগরী। বেশ কয়েক হেক্টর জায়গায় তৈরি এই সাজানো গোছানো জায়গা থেকে ঘুরে আসুন একবার। পরিবার-পরিজনদের নিয়ে ঘুরে এলে মন ভাল হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: ব্যথা গায়েব নিমেষেই! ছোট্ট ড্রাই ফ্রুটের হাজারও গুণ, ক্যালসিয়াম মিলবে অফুরন্ত

আরও পড়ুন: হাড় থাকবে লোহার মতো মজবুত! ক্যালসিয়ামের পাওয়াহাউজ এই খাবারগুলি পাতে রাখুন

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এমনই এক সুন্দর জায়গাটি হল প্রয়াগ ফিল্ম সিটি। প্রায় বেশ কয়েকশো একর জায়গা জুড়ে এই জায়গাটি বিস্তৃত।ভিতরে প্রবেশ করলে একটা আলাদা অনুভুতি মিলবে। মূলত নানা সিনেমা, ওয়েব সিরিজ শ্যুটিংয়ের জন্য সাজানো হয়েছিল ফিল্ম সিটি। বেশ কিছু হিন্দি, বাংলা সিনেমা শ্যুটিং হয়েছে এখানে। তবে নানা কারণে এখন তেমন শ্যুটিং হয়না। তবে এই সাজানো গোছানো ছবির নগরীতে এলে মন জুড়িয়ে যাবে।

এই ফিল্ম সিটিটি অবস্থিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা রোডের কাছে অবস্থিত ডুকিতে। কলকাতা থেকে চন্দ্রকোণা রোড বাস কিংবা ট্রেনে আসা যায়। কলকাতা থেকে খুব কাছেপিঠে রয়েছে এই ফিল্ম সিটি। বাসে এলে ডুকিতে নামতে হবে অথবা বাইকে আসা যাবে কিংবা ছোট গাড়ি করে এলে চন্দ্রকোণা রোড বাস স্টপে নামলে টোটো বা ছোট গাড়ি করে পৌঁছে যাওয়া যাবে। সারাটা দিন সেখানে কেমন করে কেটে যাবে টেরই পাবেন না।

রঞ্জন চন্দ

Travel Tips: যেন রূপকথার পাতা থেকে উঠে আসা! স্বপ্নের পৃথিবীর মতো এই গ্রামে ঘুরে আসতেই পারেন

উত্তর দিনাজপুর: গোটা গ্রাম যেন একটা ক্যানভাস। প্রত্যেকটি ঘর দেখলে মুগ্ধ হয়ে যাবে মন। এমনই সেখানকার গ্রামবাসীদের শিল্পকলা। ঘরে ঘরে যেন শিল্পী রয়েছে। এমনই আশ্চর্য সুন্দর গ্রাম থেকে বেড়িয়ে আসার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। বিশেষ করে সেটা যখন রয়েছে একেবারে ঘরের কাছেই মানে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ থেকে মাত্র কয়েক কিমি দূরে মনোহর পুর গ্রামে। যে গ্রামটি ইতিমধ্যে সকলের কাছে আলপনা গ্রাম নামে পরিচিত হয়ে গিয়েছে।

কালিয়াগঞ্জের ছোট্ট একটি গ্রাম মনোহরপুর। সেখানে যেন ঘরে ঘরে শিল্পী। ছোট্ট তিন বছরের শিশু থেকে প্রবীণা সকলের কাছেই তুলির টান যেন ছেলেখেলা। গ্রামের প্রতিটি বাড়ি যেন তাঁদের ক্যানভাস। তাঁদের শিল্পকর্ম সকলকে মুগ্ধ করবে। এই মনোহরপুর গ্রামের নাম তাই আলপনা গ্রাম হয়ে গিয়েছে। এই গ্রামের বাসিন্দাদের শিল্পকর্ম দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে সকলের।সেরকম দেখার বলতে কিছুই নেই এই শিল্পকর্ম ছাড়া। আমরা তো প্রায়ই শহুরে ব্যস্ততা ছেড়ে কোনও গ্রামীণ রিসর্টে সময় কাটাতে চাই। কিন্তু তাঁদের জন্য এই মনোহরপুর গ্রাম আদর্শ বললে ভুল হবে না।

একদিকে একেবারে গ্রামীণ পরিবেশ, আরেকদিকে শিল্পের সমাহার। দু’য়ের মেলবন্ধনে একেবারে মন ভরে যাবে। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের এই এমন মনোহরপুর গ্রামের কথা অনেকেই জানেন না। কালিয়াগঞ্জ থেকে সীতামোড় হয়ে যাওয়ার পথে পড়বে সেই গ্রাম। যাওয়ার পথে পড়বে মাইলের পর মাইল ধানের খেত। এই গ্রামে যায় না কোনও বাস।এই রাস্তায় যেতে হবে টোটো চড়ে। গ্রামে ঢুকতে না ঢুকতেই দেখা মিলবে শিল্পীদের কাজের। গ্রামের পাঁচিল, দেওয়াল সবকিছুই তাঁদের ক্যানভাস হয়ে উঠেছে।এই মনোহরপুর গ্রামকে ছবির গ্রাম বললে ভুল হবে না।

আরও পড়ুন: ঝোপেঝাড়ে অবহেলায় পড়ে থাকে! পাইলসের যম! ক্যালসিয়ামের খনি এই শাক, সারায় সব রোগ

আরও পড়ুন: সারা বছর পাতে রাখতেই হবে! কিন্তু বর্ষায় এই খাবারগুলি পেটে গেলে শরীরের বিরাট বিপদ

সব বাড়িতেই নানা রকমের ছবি রয়েছে সেখানে। এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ রাজবংশী। অসম্ভব সুন্দর সেই সব ছবি। প্রত্যেকটি ছবিতে রয়েছে কোনও না কোনও সামাজিক বার্তা এছাড়া বিভিন্ন দেবদেবীর শিল্পকলা। তাই ছুটির দিনে ঘুরে আসতেই পারেন কালিয়াগঞ্জের মনোহরপুরের এই গ্রাম থেকে।

পিয়া গুপ্তা

Travel Tips: যেন রূপকথার দেশ! চেনা ভিড় থেকে দূরে বেরিয়ে আসুন অফবিট এই পাহাড়ি গ্রামে

কালিম্পং: দার্জিলিং সিকিম তো অনেক ঘুরেছেন। এই মরশুমে ঘুরে আসুন কালিম্পংয়ের এক অজানা গ্রামে। চারিদিকে মেঘে ঢাকা পাহাড় আর মন মুগ্ধ করা সবুজের সমারোহ । তার মাঝে এক কাপ দার্জিলিং চা হাতে পাহাড়ের কোলে বসে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে কার না ভালো লাগে। পাশাপাশি রাতের অন্ধকারে জোনাকির মতো জ্বলতে থাকা পাহাড়ি গ্রামের সৌন্দর্য যেন আপনার মন জয় করে নেবে নিমেষেই । এখানেই শেষ নয়, রাতের অন্ধকারে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর তার সাথে কনকনে ঠান্ডায় বন ফায়ারের সামনে বসে বারবিকিউ খাবার মজা এক আলাদাই অনুভূতি প্রদান করে । নিরিবিলিতে প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে হলে  অবশ্যই যেতে হবে কালিম্পংয়ের এই গ্রাম গোকুলে।

ভ্রমণপিপাসু মানুষদের জন্য পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই গোকুলে একদম নতুন একটি গ্রাম। এতদিন পর্যন্ত এই গ্রামের কথা সকলের কাছে অজানা থাকলেও ধীরে ধীরে এই গ্রাম পর্যটকদের কাছে পছন্দের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাহাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার সঙ্গে পর্যটনে নয়া পালক জুড়তে চলেছে এই গোকুলে গ্রাম। গরমে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে এই গ্রামে। কালিম্পং শহর থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে এই গ্রামের অবস্থান।

আরও পড়ুন: মজার টয়ট্রেনেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! মুহূর্তে শেষ হয়ে গেল ১৮-র তরতাজা প্রাণ

আরও পড়ুন: মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বিবাদ মেটাতে যাওয়াই কাল! পথদুর্ঘটনায় সব শেষ… লরি-সুমোর সংঘর্ষে চরম পরিণতি পরিবারের

অপরূপ এই পাহাড়ি গ্রামে যেমন রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যতা, তার পাশাপাশি দেখতে পাবেন পাহাড়ের ঢাল বেয়ে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন অর্গানিক শাকসবজি। গ্রামের এক হোমস্টের মালিক গুঞ্জন তামাং বলেন, “উত্তরের পর্যটনে নয়া পালক হিসেবে জুড়তে চলেছে এই গোকুলে গ্রাম। পর্যটকরা এখন একটু অফবিট জায়গার খোঁজ করছেন। তাদের জন্য এই জায়গাটি খুব দুর্দান্ত একটি জায়গা।”

গোকুলে যেতে হলে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সেই পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ ধরে। কখনও কুয়াশা, কখনও বা মেঘ আর তার মাঝে দিয়ে চলতে চলতে সোজা পৌঁছে যাবেন কালিম্পং। তারপর কালিম্পং স্ট্যান্ড থেকে গাড়ি নিয়ে আধা ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন এই গোকুলে গ্রামে। আর এই গ্রামের মধ্যেই রয়েছে অনেক হোম স্টে ।

অনির্বাণ রায়

Travel Tips: পুরী, দার্জিলিং এবার ঘরের দুয়ারে! টিকিট পাওয়ার চিন্তা শেষ, পৌঁছে যেতে পারবেন নিমেষেই

দুর্গাপুর: ভ্রমণপ্রিয় মানুষের জন্য বড় সুখবর নিয়ে এল অণ্ডাল বিমানবন্দর। এবার আরও সহজ হয়ে গেল পুরী যাত্রা। খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন পাহাড়েও। অপেক্ষা করতে হবে না ট্রেনের টিকিটের জন্য। করতে হবে না লম্বা বাস জার্নি। মাত্র কয়েক ঘণ্টা। আর তাতেই পৌঁছে যাবেন পুরী অথবা দার্জিলিং। তেমনই ব্যবস্থা করছে অণ্ডালেক কাজী নজরুল বিমানবন্দর। এবার খুব সহজে দুর্গাপুর থেকে আকাশপথে যাত্রা করতে পারবেন পুরী অথবা দার্জিলিং এর উদ্দেশ্যে। তাছাড়াও হাতের কাছে আসছে আসামও।

প্রসঙ্গত বিগত কয়েক বছরে অন্ডাল থেকে একাধিক রুটে শুরু হয়েছে বিমান পরিষেবা। গত মাসেই ফের নতুন করে চালু হয়েছে অণ্ডাল থেকে চেন্নাই বিমান পরিষেবা। আর তখনই সামনে এসেছিল যে, আরও তিনটি নতুন রুটে বিমান চালানোর পরিকল্পনা করছে কাজী নজরুল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আর সেই তিনটি রুটে বিমান চালানোর তারিখ নির্ধারণ করা হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আগস্ট মাসের একদম শেষের দিকে নতুন তিনটি রুটে চালু হচ্ছে বিমান পরিষেবা। উড়ান সংস্থা ইন্ডিগোর তরফ থেকে তিনটি রুটে বিমান চালানো হবে বলে খবর কাজী নজরুল বিমানবন্দর সূত্রে।

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, আগস্ট মাসে তিনটি রুটে অণ্ডালেক কাজী নজরুল বিমানবন্দর থেকে উড়ান শুরু হচ্ছে। অণ্ডাল থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরের উড়ান পরিষেবা শুরু হচ্ছে আগস্ট মাসে। তাছাড়াও অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে ভুবনেশ্বরের বিমান পরিষেবা চালু করছে ইন্ডিগো। অন্যদিকে অণ্ডাল থেকে গুয়াহাটি যাওয়ারও বিমান পরিষেবা শুরু হবে আগস্ট মাসেই। জানা গিয়েছে, অণ্ডাল থেকে বাগডোগরা এবং ভুবনেশ্বর বিমান পরিষেবা শুরু হবে ৩০ আগস্ট থেকে। অন্য দিকে, অণ্ডাল থেকে গুয়াহাটি বিমান পরিষেবা শুরু হবে ৩১ আগস্ট।

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, অণ্ডাল থেকে বাগডোগরা বিমান সপ্তাহে চার দিন চলবে। সপ্তাহে চারদিন চালানো হবে অণ্ডাল গুয়াহাটি বিমান। আর অণ্ডাল ভুবনেশ্বর বিমান পরিষেবা পাওয়া যাবে সপ্তাহের সাতদিন। অণ্ডাল থেকে বিমান বাগডোগরার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে দুপুরে ১:১৫ মিনিট নাগাদ। বাগডোগরা বিমানবন্দর পৌঁছবে দুপুর ২:২০ মিনিটে। গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে বিমান রওনা দেবে দুপুর ১:১৫ মিনিট নাগাদ। গন্তব্যে পৌঁছাবে ২:৪০ মিনিটে। অন্য দিকে ভুবনেশ্বর এর উদ্দেশ্যে যে, বিমানটি সপ্তাহের সাত দিন চলবে সেটি অণ্ডাল বিমানবন্দর থেকে রওনা দেবে বিকেল ৪:৩৫ মিনিট নাগাদ। গন্তব্যে পৌঁছবে সন্ধ্যা ৬:১৫ মিনিটে।

অণ্ডাল থেকে এই তিনটি রুটে বিমান পরিষেবা শুরু হলে বহু মানুষ ব্যাপক সুবিধা পাবেন। বর্তমানে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ের মত শহরগুলির সঙ্গে বিমান চলাচল করছে অণ্ডালের কাজী নজরুল বিমানবন্দর থেকে। যার ফলে দুই বর্ধমানের পাশাপাশি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমের মানুষ এই পরিষেবা নিতে পারছেন। শুধুমাত্র কলকাতার বিমানবন্দরের উপর তাঁদের নির্ভর করে থাকতে হচ্ছে না। একইসঙ্গে বাঁচানো যাচ্ছে অনেক সময়। এরপর বাগডোগরা, গুয়াহাটি বা ভুবনেশ্বরের মধ্যে বিমান পরিষেবা শুরু হলে পর্যটকদের ব্যাপকভাবে সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ পুরী অথবা দার্জিলিং বাঙালির অত্যন্ত জনপ্রিয় ভ্রমণস্থল। স্বাভাবিক ভাবে এই জায়গাগুলি যাওয়া আরও সহজ হয়ে উঠবে পর্যটকদের কাছে। সহজ হবে দুর্গাপুর থেকে আসাম যাওয়া।

নয়ন ঘোষ

Travel Tips: বাড়ির কাছেই রূপকথার জগৎ! নিরিবিলিতে সবুজের দেশ! সময়-খরচ দুই-ই একেবারে কম

কোচবিহার: জেলা শহর কোচবিহারের একেবারে সংলগ্ন ভাবেই রয়েছে একটি জঙ্গলে ঘেরা এলাকা। নাম শাল বাগান। জঙ্গলে ঘেরা হওয়ার কারণে এই এলাকায় বিভিন্ন জীব বৈচিত্র্য লক্ষ্য করতে পারা যায়। বেশ কিছু সরীসৃপ, বিভিন্ন ধরনের পাখি এবং বন বিড়াল এবং শেয়াল রয়েছে এই এলাকায়। দিনের বেলায় আসলেও দেখতে পারবেন এই সমস্ত প্রাণীগুলিকে। বর্তমান সময়ে গরমের তীব্রতা যে ভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে  জঙ্গলে ঘেরা এই এলাকা পর্যটকদের পছন্দের জায়গা। তাই কিছু সময় নিরিবিলিতে কাটাতে চাইলে এখানে ঘুরতে আসতেই পারেন।

পরিবেশপ্রেমী সুমন্ত সাহা জানান, বর্তমান সময়ে যে ভাবে গাছপালার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে শহরের একেবারেই সংলগ্ন এই এলাকাটিকে শহরের ফুসফুস হিসাবে ধরা যেতেই পারে। বিস্তীর্ণ জঙ্গলে ঘেরা এই এলাকায় বিভিন্ন ধরনের জীববৈচিত্র্য রয়েছে। তবে শুধুমাত্র জঙ্গল নয়, তার পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে মরা তোর্ষা নদী। এই নদীর মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে জীববৈচিত্র্য লক্ষ্য করতে পারা যায়। গরমের সময়ে কিছুটা শান্তির এবং স্বস্তির সময় কাটাতে চাইলে এই জায়গাটি আদর্শ। তবে সরকারিভাবে এই জায়গায় পিকনিক কিংবা বনভোজনের ব্যবস্থা বন্ধ করা হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় এলাকাটি আরও অনেকটাই সুন্দর হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন: কুয়ো পরিষ্কার করতে নেমে আবারও দুর্ঘটনা, ২ যুবকের মৃত্যু

আরও পড়ুন: প্রাক্তনদের লড়াইয়ে জমজমাট বিষ্ণুপুর, হ্যাটট্রিক করতে পারবেন সৌমিত্র?

কোচবিহারের এক পশু উদ্ধারকারী অর্ধেন্দু বণিক জানান, কোচবিহারের এই শালবাগানে বিভিন্ন ধরনের সরীসৃপ প্রাণী রয়েছে। বিভিন্ন রূপ প্রজাতির সাপ এবং গিরগিটি এই এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া বহু প্রকার পাখি এখানে প্রায়শই চোখে পড়ে। দিনের আলোতে এই এলাকায় সোনালী শেয়াল বা গোল্ডেন জ্যাকেল ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এছাড়া বন বিড়াল বা ওয়াইল্ড ক্যাট তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে বর্তমানের এই সময়ে এই এলাকাটিকে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। ভবিষ্যৎদিনে শহর সংলগ্ন এই এলাকাটি পর্যটকদের পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়াবে এটুকু নিশ্চিত। কোচবিহারের মানুষদের পাশাপাশি বাইরেরও বহু মানুষ সৌন্দর্যের টানে এই এলাকায় মাঝেমাঝেই ভিড় জমান। বর্তমান সময়ে শহর সংলগ্ন এই জঙ্গল ঘেরা এলাকা বহু মানুষদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সার্থক পণ্ডিত

একেবারে অচেনা! পাহাড়ের কোলে রূপকথার মতো জায়গায় ছুটি কাটাতে পারেন

গরমের ছুটিতে পাহাড়ে যেতে চাইছেন যাঁরা। তাঁরা চলে আসুন পাহাড়ের একেবারে অচেনা একটি জায়গা গুফাপাতালে।উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ পর্যন কেন্দ্রই এখন পর্যটকে ঠাসা। এই ভিড়ে ঠাসা পাহাড়ে একটু ফাঁকায় ফাঁকায় যাঁরা থাকতে চান তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে উত্তরবঙ্গের একেবারে অচেনা লোকেশন গুফাপাতাল। ভারত নেপাল সীমান্তের একটি জায়গা এটি। এখানে খুব বেশি থাকার জায়গা নেই। গুটি কয়েক হোমস্টে রয়েছে। নির্জনে ভালোবাসার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাত কাটানোর দারুন জায়গা এটি।