রিষড়া, গুড়াপের মতো জনবহুল স্টেশনএবং হাওড়া ডিভিশনের আরও অন্য স্টেশনে এই ধরনের  বিঘ্ন সৃষ্টিকারী  বড় বড় গাছের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে।

Eastern Railway: যাত্রী সুরক্ষায় নজর দিতে বিভিন্ন স্টেশনে চলছে গাছ কাটা, ক্ষতি হচ্ছে বাস্তুতন্ত্রের? ‘বড়’ অভিযোগ

কলকাতা:  বর্তমান সময়ে একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনার কথা সামনে আসছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবার তাই হাওড়া ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনের গাছের  ডালপালা ছাঁটাই করা হল। জনবহুল স্টেশনগুলির প্লাটফর্মে থাকা বড় বড় গাছের ডালপালা প্রসারিত হওয়ার ফলে ট্রেন চলাচলের ব্যাঘাত ঘটে এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় প্রায়শই। ঝড়-বৃষ্টির সময়ে প্লাটফর্মে থাকা বড় গাছের ডালপালা ভেঙে রেল লাইনে পড়ে যাওয়ার কারণে রেল চলাচল ব্যাহত  হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি, অনেকসময় ওই গাছগুলির ডালপালা ভেঙে গাছের নীচে থাকা যাত্রীদেরও বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। কিছুদিন আগে প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে গুড়াপ স্টেশনে একটি বড় গাছ উপড়ে লাইনের উপর পড়ে যায় বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

বর্তমানে রিষড়া, গুড়াপের মতো জনবহুল স্টেশনএবং হাওড়া ডিভিশনের আরও অন্য স্টেশনে এই ধরনের  বিঘ্ন সৃষ্টিকারী  বড় বড় গাছের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে হাওড়া ডিভিশন রেলওয়ের পক্ষ থেকে প্ল্যাটফর্মে থাকা বড় বড় গাছের ডালপালা ছাঁটার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্দেশ্য, যাতে ট্রেন চলাচলে কোনও ব্যাঘাত  না ঘটে এবং ঝড়-বৃষ্টির সময় গাছের ডাল ভেঙে কেউ আহত না হয়।

আরও পড়ুন: ‘বৈঠকে গিয়ে জানলাম আমি প্রাক্তন!’ ভোটে হারের পর দলেও ধাক্কা, অভিমানী অধীর

গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্টে দেখা যাচ্ছিল, পূর্ব রেল বিভিন্ন ডিভিশনে একাধিক স্টেশনে থাকা গাছের ডাল কেটে ফেলছে। এর ফলে প্রচুর পাখির বাসা নষ্ট হচ্ছে। যা নিয়ে মূলত প্রতিবাদ করেন পরিবেশপ্রেমীদের একাংশ। এরই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রেল জানিয়েছে, তারা পরিবেশ নষ্ট হবে এমন কাজ করেনি৷ যাত্রী সুরক্ষার জন্য কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র  জানিয়েছেন, “পরিবেশ সংরক্ষণের সমতা রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সর্বদা যাত্রীদের সুরক্ষা এবং সুবিধার দিকে নজর রেখে কাজ করে এবং এই কার্যক্রমের মাধ্যমে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পূর্ব রেলের  মূল লক্ষ্য। তবে, ওই গাছ গুলিতে বসবাসকারী পাখিদের যদি কোনও অসুবিধা হয়ে থাকে  তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”