ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলা! নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা 

ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলা! নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা  

আগরতলা: ভারী বৃষ্টিপাতের দরুণ রাজ্যের দক্ষিণ জেলার বর্তমান পরিস্থিতির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি জানান, যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজস্ব দফতরের সচিব এবং মৌসম বিভাগের (আইএমডি) কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাঃ সাহা জানিয়েছেন, আইএমডি রিপোর্ট অনুসারে, বিলোনিয়ায় সর্বোচ্চ ২১৪.৪০ মিলিমিটার (মিমি) বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং সাব্রুম ও বগাফাতে যথাক্রমে ১৫২.০০ মিমি এবং ৮০.০০ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:  সারাবিশ্বে JCB মেশিনের রং সবসময় হলুদ হয় কেন? JCB-র নামেও আছে বড় রহস‍্য, ৯৯% লোকজনই আসল কারণ জানেন না

এর পাশাপাশি ভারী বর্ষণে মুহুরী ও লোগাং নদীতে জলের উচ্চতার স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে মুহুরীর জলস্তর ২৬.৬০ মিটার রয়েছে। যা ২৩.৬০ মিটারের প্রত্যাশিত বন্যা স্তরকে ছাড়িয়ে গেছে। যদিও সেটা ২৭.৫০ মিটারের ক্রিটিক্যাল স্তরের নীচে রয়েছে। লোগাং নদীর জলস্তর ২৪.৫০ মিটার বইছে, যা ২৪.০০ মিটার জলস্তরের বিদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ডাঃ সাহা আরও জানান, মুহুরী নদীর জল নিরাপদ সীমা অতিক্রম করেছে। বন্যায় প্লাবিত মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি রাখা হয়েছে এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা শুরু হয়েছে। বিলোনিয়া ও শান্তিরবাজার শহর এলাকা থেকে জলে প্লাবিত মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিলোনিয়া মহকুমায় এ পর্যন্ত ৬টি ঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা আরও জানান, টানা ভারী বর্ষণে গাছ উপড়ে পড়ায় অবরুদ্ধ সড়কগুলো সাফাই করার জন্য ইতিমধ্যে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে “আপদা মিত্র, সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার্স, টিএসআর, বিদ্যুৎ নিগম, বন দফতর-সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান রাখেন, এই উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।

আরও পড়ুন: মিইয়ে যাচ্ছে মুড়ি? ২ মিনিটেই হবে কুড়কুড়ে, এই টিপস মনে রাখলে মাসের পর মাস থাকবে মুচমুচে

প্রশাসন সার্বিক পরিস্থিতির উপর গুরুত্ব সহকারে নজর রেখে চলছে এবং যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় বসবাসকারী জনগণকে সতর্ক থাকার এবং যেকোনও জরুরী পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।