মানিক সাহা

Tripura CM Manik Saha: রিমলের প্রভাব বন্যা পরিস্থিতি ত্রিপুরার বেশ কিছু জায়গায়,পর্যবেক্ষণে মুখ‍্যমন্ত্রী

ত্রিপুরাঃ  বড়দোয়ালি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার। ত্রাণ শিবিরে গিয়ে বন্যায় ঘর ছাড়াদের খোঁজখবর নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।  ঘূর্ণিঝড় রিমল-এর প্রভাবে প্রবল বর্ষণের জেরে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা লাগোয়া হাওড়া নদীতে জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে। তবে গতবারের জলস্ফিতির তুলনায় এবার অনেকটা কম হয়েছে। এবছর বাঁধের কাজ বেশ ভাল হয়েছে। তাই জলস্ফীতি অনেকটা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ বড় সুখবর! আরও আরামদায়ক হচ্ছে রেল যাত্রা

রাজধানীর বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষন করে এই তথ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। ঘূর্ণিঝড় রিমল-এর জেরে হাওড়া নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের ফের একবার ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছে। যথারীতি এই খবর এসে পৌঁছতেই  বড়দোয়ালি এলাকা পরিদর্শন করতে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হাওড়া নদীর জলস্ফীতির জেরে যেসকল এলাকা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে সেখান থেকে দুর্গতদের দ্রুত উদ্ধার করা হচ্ছে। তাঁদের থাকা খাওয়া সবই প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

পরবর্তী সময়ে স্থানীয় বিবেকানন্দ স্কুলের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বন্যায় উদ্বাস্তুদের অবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তাঁদের থাকা খাওয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন তিনি। ডাঃ সাহা বলেন, ‘এই সময়ে কারোর যাতে কোন ধরণের অসুবিধা না হয় সেইজন্য সরকার নজর রাখছে। আগরতলা পুর নিগমের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এজন্য পুরনিগমের মেয়রকেও বলা হয়েছে।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেক মানুষ রয়েছেন যারা বাড়িঘর ছেড়ে আসতে চাইছেন না। অনেকে ছাদের উপর আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের নিরাপদ জায়গায় চলে আসতে আমি অনুরোধ জানাই। কারণ পাহাড় থেকে প্রচুর পরিমাণ জল আসছে নদীতে। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকা দরকার। সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।’ এদিন পরিদর্শন কালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ড. বিশাল কুমার সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ।