মানিক সাহা

Tripura News: স্মার্ট সিটি আগরতলায় জল জমা আটকাতে সচেষ্ট প্রশাসন, নেওয়া হল একাধিক পরিকল্পনা

কলকাতা: স্মার্ট সিটি মিশন প্রকল্প ২.০ এর জন্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা একাধিক প্রস্তাব আনতে চলেছেন৷ ইতিমধ্যেই আইএলএস ও টিএমসি হাসপাতাল মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা চালু করেছে। এই প্রসঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তাঁর উন্নয়নমূলক কাজের জন্য মনে রাখবেন মানুষ৷”

তিনি বলেন, “রাজ্যে আরও উন্নয়নমূলক কাজ রূপায়ণ করার জন্য স্মার্ট সিটি মিশন প্রকল্প ২.০ চালু করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এটি সম্পন্ন হলে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মনে রাখবেন মানুষ।” আগরতলা শিববাড়িতে রাজধানী শহরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

অম্রুত ২.০ প্রকল্পে  শিববাড়ি পুকুরের সৌন্দর্যায়ন ও উন্নয়ন, পশু হাসপাতালের সৌন্দর্যায়ন ও উন্নয়ন এবং উজান অভয়নগর বাজার পুকুরের সৌন্দর্যায়ন ও উন্নয়নের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ড সাহা বলেন,
“এই সকল উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ণে কেন্দ্রীয় সরকার ৯০ শতাংশ এবং রাজ্য সরকার ১০ শতাংশ ব্যয়ভার বহন করে। একই পদ্ধতিতে স্মার্ট সিটির প্রকল্পও রূপায়িত হচ্ছে। স্মার্ট সিটির উন্নয়নে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। স্মার্ট সিটি প্রকল্পে বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়ন করেছি আমরা। এর পাশাপাশি দিল্লির নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে আরও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। স্মার্ট সিটি ২.০-এর জন্য তাদের সাথে কথা বলব যাতে অম্রুত ২.০ প্রকল্পের মতো আমরা আরও উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যেতে পারি। বাইরে থেকে আসা লোকজন ত্রিপুরার উন্নয়ন দেখে অভিভূত।”

অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আইন শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে রাজ্যের সৌন্দর্যায়নে আমরা একের পর এক উন্নয়ন করে চলেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উন্নয়ন ছাড়া কোন কথা বলেন না। আমরাও সেই দিশায় উন্নয়ন ছাড়া কথা বলি না। রাজ্যের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে উন্নয়নমূলক বাস্তবায়নের দ্বায়িত্ব সরকারের। সরকারই সেই কাজ করে থাকে। তবে সেই কাজের রক্ষনাবেক্ষন ও সঠিক দেখভাল করার দ্বায়িত্ব কিন্তু সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনদের। আর সেটা হলেই উন্নয়নের কাজে গতি আসবে। কিছু কিছু উশৃঙ্খল মানুষ আছে যাদের সামলানোর দায়িত্ব নিতে হবে। তবেই শহর সৌন্দর্যায়নের বাস্তব সাফল্য আসবে।”