তীব্র যানজটের জেরে নাভিশ্বাস সোনভদ্রের পথচারীদের

Sonbhadra News: তীব্র যানজটের জেরে নাভিশ্বাস পথচারীদের ! সমস্যা ঠেকাতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল উত্তর প্রদেশের এই জেলায়

সোনভদ্র, উত্তর প্রদেশ: সাত বছরের পুরনো কিছু যানবাহনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে উত্তর প্রদেশের সোনভদ্র জেলায়। এই সিদ্ধান্ত মূলত নেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র শক্তিনগর রাখ পরিবহণের ৭ বছরের পুরনো গাড়িগুলির ক্ষেত্রেই। এর জন্য শক্তি প্রকল্পের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। ফলে এখন শক্তিনগর রাখ পরিবহণের সাত বছরের পুরনো ট্রাক এবং ট্রলারগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ট্রাক এবং ট্রলারের উপর নিষেধাজ্ঞা:

ডিএম এবং এসপি-র উপস্থিতিতে শক্তি প্রকল্পের আধিকারিকরা একটি বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। লোডিং পয়েন্ট থেকে যাতে ওভারলোডিং ঠেকানো যায়, তার জন্য কঠোর নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশের পরে পরিবহণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্কের উদ্রেক হয়েছে। আর অতিরিক্ত মালবোঝাই ট্রাক অথবা ট্রলারের জেরে প্রতিদিনই গুরুতর যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সেই কারণে মূলত অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডিএম এবং এসপি।

আরও পড়ুন– রিলের মাধ্যমে ভারতীয় রেলের শৌচাগারের তথৈবচ অবস্থা তুলে ধরলেন বিদেশি পর্যটক; নেটিজেনরা বললেন, ‘বাজেট বাড়ান’

ডিএম-এর দেওয়া তথ্য:

ডিএম বিএন সিং বলেন যে, খুব শীঘ্রই এই বৈঠকের ইতিবাচক ফলাফল দেখা যাবে। তিনি আরও জানান যে, অতিরিক্ত ছাই বোঝাই করা যানবাহন নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও যদি এই প্রবণতা না কমানো যায়, তাহলে পুলিশ এবং এআরটিও নিজেদের কর্তব্য পালন করবে। ডিএম আরও বলেন যে, শক্তি প্রকল্প এবং নির্মাণ কাজ যাতে বাধাহীন ভাবে চলতে পারে, তার জন্য ভারসাম্য তৈরি করতে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সমস্ত পক্ষের কথাই বিবেচনা করা হবে। তিনি এ-ও জানান, হাতিনালা ও রেণুকূটের কাছে ওই জায়গাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনা ও যানবাহন ভাঙনের ঘটনা ঘটে। সড়ক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন সরাতে রিকভারি ভ্যানেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন– রীতিমতো ফাঁদ পেতে এটিএম থেকে টাকা চুরি! প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে বাবা-ছেলে

শক্তি প্রকল্পের আধিকারিকদের দেওয়া নির্দেশ:

ডিএম বলেন, শক্তি প্রকল্পের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে যে, ছাইয়ের বাঁধের লোডিং পয়েন্ট থেকে যেন ওভারলোডেড ট্রাক এবং ট্রলার না ছাড়া হয়। একই সঙ্গে ছাইবোঝাই করা যানবাহন বেরোনোর সংখ্যাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এমনকী এই ধরনের যানবাহনগুলির পার্কিং সংক্রান্ত নির্দেশিকাও জারি হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে যে, রাস্তার উপর যত্রতত্র পার্কিং করা যাবে না এই যানবাহনগুলি।

এসপি-র বক্তব্য:

এদিকে, এসপি অশোক কুমার মীনা জানান, নির্বিঘ্নে এই কাজ চালানোর বিষয়ে প্রতি মাসে বৈঠক করা হবে। উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল যে, সড়কে যাতায়াতের সময় পুরনো ট্রাক ভেঙে যাওয়ার জেরে দিনভর যানজট দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বারাণসী-শক্তিনগর প্রধান সড়ক থেকে অনপড়া বা শক্তিনগরে যাওয়া মানুষের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। এসপি বলেন যে, শুধু তা-ই নয়, তীব্র যানজটের জেরে জীবনদায়ী অ্যাম্বুল্যান্স এবং স্কুল ভ্যানগুলি যাতায়াত করা মুশকিল হয়ে উঠছে। বিগত কয়েক দিনে যানজটের জেরে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। আর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।