প্রতীকী ছবি

Uttar Pradesh serial killer: মহিলাদের খুন করে টিপ, লিপস্টিক রেখে দিত খুনি! উত্তর প্রদেশে জালে সিরিয়াল কিলার

কলকাতা: একই জেলায় ৯ জন মহিলার একই ভাবে রহস্যজনক মৃত্যু৷ খুনিকে ধরতে ২২টি দল গঠন করে দেড়শো জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে, দেড় লক্ষ মোবাইল নম্বরের গতিবিধির উপর নজরদারি চালিয়ে শেষ পর্যন্ত সিরিয়াল কিলারকে ধরতে সক্ষম হল উত্তর প্রদেশ পুলিশ৷

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বরেইলি জেলায়৷ জানা গিয়েছে, বরেইলিতে ৯ জন মহিলাকে একই ভাবে গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়৷ প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঘটনাস্থল থেকে একই ধরনের তথ্যপ্রমাণ বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ৷ তার পরেও জটিল এই হত্যালীলার কিনারা করা সম্ভব হচ্ছিল না৷

আরও পড়ুন: সেমিনার রুমে ৩০-৩৫ মিনিট, মোবাইলে গিজগিজ করছে…! অপরাধী সঞ্জয়কে ধরিয়ে দিল ফেলে আসা হেডফোন

শেষ পর্যন্ত অবশ্য সাফল্য পেয়েছে পুলিশ৷ বরেইলির এসএসপি-র অনুরাগ আর্য জানিয়েছেন, ২০২৩-এর জুন মাস থেকে ২০২৪-এর জুলাই মাসের মধ্যে বরেইলি শাহি এবং শিষগড় থানা এলাকায় ৯ জন মহিলাকে হত্যা করা হয়৷ এই ঘটনা একজন মানসিক বিকারগ্রস্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এই অপরাধীকে ধরতে আমরা অপারেশন তালাশ নামে একটি অভিযান শুরু করি৷ অপরাধীকে খুঁজে বের করতে আমরা ২২টি দল তৈরি করেছিলাম৷

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ৩৮ বছর বয়সি ওই যুবকের নামে কুলদীপ কুমার গাংওয়ার৷ গত ৮ অগাস্ট দীর্ঘ তল্লাশির পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
চাঞ্চল্যকর দাবি করে পুলিশ জানিয়েছে, এক একজন মহিলাকে হত্যার পর তাদের লিপস্টিক, টিপ, আই কার্ড নিজের কাছে রেখে দিত অভিযুক্ত৷ পুলিশ জানতে পেরেছে, মহিলাদের কোনও কোনও ফাঁকা ক্ষেত, জঙ্গলে দেখলে প্রথমে তাঁদের কুপ্রস্তাব দিত অভিযুক্ত৷ যদি কোনও মহিলা বাধা দিতেন, তখনই সেই মহিলার উপরে হামলা চালাত অভিযুক্ত৷ ইতিমধ্যেই ৬ জন মহিলার হত্যার সঙ্গে অভিযু্ক্তের যোগ পেয়েছে পুলিশ৷ আরও তিনটি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত জড়িত বলেই অনুমান পুলিশের৷

অপরাধীর মানসিকতা বুঝতে মনোবিদদের সঙ্গেও কথা বলে পুলিশ৷ গ্রেফতারের পর ধৃত জানায়, মা এবং দুই বোনের মৃত্যুর পর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে৷ সৎ মা প্রতিদিনই তাকে প্রচণ্ড মারধর করত বলে অভিযোগ৷ ২০১৪ সালে বিয়েও করে অভিযুক্ত৷ কিন্তু স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যায়৷ এর পরই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে কুলদীপ৷ এই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই মহিলাদের একে একে নির্মূল করার লক্ষ্য নেয় অভিযুক্ত৷