জ্যোতিষকাহন Conch Vastu Tips: টাকার অভাব হবে না কোনও দিন, দূর হবে অশান্তি! বাড়ির পুজোর জায়গায় ‘এই’ নিয়মে রাখুন শঙ্খ Gallery March 27, 2024 Bangla Digital Desk শঙ্খ৷ যে কোনও গৃহস্থ বাড়িতেই শঙ্খ অবশ্যই থাকে৷ সকাল-সন্ধ্যা পুজোর শেষে শঙ্খ বাজালে গৃহস্থের কল্যাণ হয় বলে জানিয়ে থাকেন গুরুজনেরা৷ জ্যোতিষ পণ্ডিতেরা বলেন, মা লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণু, উভয়ের কাছেই শঙ্খ অত্যন্ত প্রিয়। কথিত আছে, যে বাড়িতে নিয়মিত শঙ্খ বাজানো হয় সেখানে কখনওই নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। বাস্তু শাস্ত্রবিদেরা জানাচ্ছেন, আমাদের পরিবারে থাকা প্রতিটি বস্তুরই দিক, অবস্থান আমাদের জীবনের উপরে নানা ভাবে প্রভাব ফেলে৷ সেই কথা মনে করিয়েই পণ্ডিতেরা জানাচ্ছেন, বাড়িতে রাখা পুজোর শঙ্খ ইচ্ছামতো রেখে দিলে সংসারের উন্নতি তো আটকে যায়-ই, উপরন্তু, সংসারে নেতিবাচক শক্তি ভিড় করে। আর্থিক ক্ষতি হয়৷ অনেকেরই বাড়িতে একাধিক শাঁখ অর্থাৎ, শঙ্খ থাকে৷ এটা কি আদৌ রাখা উচিত? এবিষয়েও আমাদের জানাচ্ছেন দিল্লির জ্যোতিষী পণ্ডিত অলোক পাণ্ড্য? পণ্ডিতদের মতে, কেউ যদি শঙ্খ কিনতে চান তবে একবারে ২টি শাঁখ কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু উভয়ই ফুঁ দেওয়ার জন্য বা বাজানোর জন্য নয়। একটি বাজানোর জন্য এবং অন্যটি পূজোর জন্য ব্যবহার করা উচিত। পূজার জন্য যে শঙ্খ ব্যবহার করা হয় তাকে জল শঙ্খ বলে। বলা হয়, বাজানোর শঙ্খ এবং জলশঙ্খ কখনওই একসাথে রাখা উচিত নয়৷ বাজানোর জন্য ব্যবহৃত শঙ্খ সবসময় ব্যবহারের আগে ও পরে লাল নরম কাপড় দিয়ে মুড়ে রাখা উচিত৷ যদি লাল কাপড় না-ও পাওয়া যায়, তাহলে অন্য যে কোনও শুদ্ধ কাপড় ব্যবহার করতে পারেন এই কাজে৷ পণ্ডিতেরা বলেন, এই কাজ করলে সংসারের আর্থিক সমস্যা দূর হয় এবং অর্থ প্রবাহ ঠিক থাকে৷ এছাড়া, শঙ্খ সবসময় ব্যবহারের আগে ও পরে জল দিয়ে পরিষ্কার করে তবে রাখা উচিত৷ মনে রাখবেন.. ভগবান শিবের কাছে কখনওই শঙ্খ রাখা উচিত নয়। পণ্ডিতরা বলেন, এই কাজ করলে সেই ক্ষতি কেউ পূরণ করতে পারে না। কথিত আছে যে, যেখানে শিবলিঙ্গ আছে সেখানে শঙ্খ থাকা কখনওই উচিত নয়। পুজোর সময় বাজানোর জন্য দু’টি শঙ্খ রাখা উচিত নয়। তাই উপরোক্ত পরামর্শ মেনে একটি শঙ্খ বাজানোর জন্য এবং একটি শঙ্খ পুজোর জন্য রাখতে পারেন। যে শঙ্খ বাজানোর জন্য ব্যবহার করবেন সেটি কখনওই সরাসরি ঠাকুর রাখার জায়গায় রাখবেন না৷ এই শাঁখটিতে আমরা মুখ দিয়ে বাজাই, তাই এটি এঁটো হয়ে যায়৷ দাবিত্যাগ: রাশিচক্র, ধর্ম ও শাস্ত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষী ও আচার্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সংবাদে দেওয়া তথ্য লেখা হয়েছে। কোনও ঘটনা, দুর্ঘটনা বা লাভ-ক্ষতি নিছকই কাকতালীয়। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার স্বার্থে লেখা হয়েছে। নিউজ-18 এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে না।