পাখিকে দানা খাওয়াতে অনেকেই ভালবাসেন। বাস্তুশাস্ত্রে মতে, পাখিদের খাবার ও জল দেওয়া অত্যন্ত শুভ কাজ। তবে পাখিদের খাবার ও জল দেওয়ার সময় কিছু নিয়মের কথা বলা হয়েছে। এইসব নিয়ম মেনে চললে পাখিদের দানা খাইয়েই ফিরতে পারে ভাগ্য।ভোপালের বাসিন্দা জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শদাতা পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মা বিশদে জানালেন পাখিদের জল ও দানা খাওয়াবার সময় কী কী নিয়ম মানা উচিত।রাহু-কেতু এবং শনির অবস্থা যদি কোনও ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে ভাল না হয়, তাহলে কালো রঙের পাখিকে দানা খাওয়াতে হবে। কালো পাখিদের খাবার দিলে রাহু, কেতু ও শনির প্রভাব কমে। রাশিতে রাহু-কেতুর মহাদশা থাকলে কালো পাখিদের বাজরা খাওয়ান।চন্দ্র শক্তিশালী হবে পাখিদের জল দেওয়া খুব ভাল বলে মনে করা হয়। এটি চন্দ্রকে শক্তিশালী করে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে উত্তর-পূর্ব, পূর্ব বা উত্তর দিকে জল খাওয়ার স্থান তৈরি করুন। আপনার বাড়ির সামনে অবস্থিত উঠোনে তাদের জলের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করুন।সন্তান লাভ হবে চড়ুই বা ছোট পাখির মতো ছোট পাখিকে দানা খাওয়ালে শুভ ফল পাওয়া যায়। এতে সন্তান লাভের সুখ পেতে পারেন। পাখিদের খাওয়ালে মনে সুখ শান্তি আসে।আপনি যদি আপনার উঠোনে বা বারান্দায় পাখিদের দানা খেতে দেন, তবে কয়েকটি নির্দেশ মনে রাখুন। বাস্তুবিদ জানালেন, দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে কখনও দানা রাখবেন না।যখনই আপনি খাবার দেবেন, সর্বদা পূর্ব বা উত্তর দিকে দিন। একই সময়ে, আপনি যদি শনিকে শান্ত করার জন্য দানা খেতে দেন তাহলে, পশ্চিম দিকেও দিতে পারেন।কুণ্ডলীতে সূর্যের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পাখিদের জন্য পূর্বদিকে ভাত বা গম খেতে দিতে পারেন। পাখিদের খাওয়ানোর জন্য কখনই ছাদে নষ্ট গম, চাল বা বাজরা ফেলবেন না। এটি পিতৃ দোষের অধীনে আসে। পাখিদের গম খাওয়ানোর সময় কালো মসুর ডাল মেশাবেন না। কখনই মসুর ডাল খাওয়াবেন না। পাখিদের খাওয়ানোর জন্য শুধুমাত্র জোয়ার, বাজরা, গম এবং চাল ব্যবহার করুন।(দাবিত্যাগ: রাশিচক্র, ধর্ম ও শাস্ত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষী ও আচার্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সংবাদে দেওয়া তথ্য লেখা হয়েছে। কোনও ঘটনা, দুর্ঘটনা বা লাভ-ক্ষতি নিছকই কাকতালীয়। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার স্বার্থে লেখা হয়েছে। নিউজ-18 এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে না।)
