জ্যোতিষকাহন Vastu Tips: এর মধ্যে কোনও অভ্যাস আপনার নেই তো? ভয়ঙ্কর রেগে যান মা লক্ষ্মী! ওই জন্যই হাতে থাকে না টাকাপয়সা Gallery May 22, 2024 Bangla Digital Desk মানুষের জীবনে অর্থ সবসময়েই গুরুত্বপূর্ণ৷ একটু ভাল ভাবে জীবনযাপন করতে একটু স্বচ্ছলতা সকলেই কামনা করে থাকেন৷ সনাতন ধর্মে মা লক্ষ্মীকে সম্পদের আরাধ্য দেবী বলে মনে করা হয়। সাধারণ বিশ্বাস, যে ব্যক্তি মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ ধন্য হন, তাঁর জীবনে কখনও অর্থের অভাব হয় না। মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে ভক্তেরা পূজার্চনা থেকে শুরু করে নানা ধরনের আচার আচরণ পালন করে থাকেন। সারাদিনে সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই মা লক্ষ্মীকে সুপ্রসন্ন করা যায়৷ তবে আমাদের কিছু বদ অভ্যাসের কারণে সংসারে তো বটেই আমাদের ব্যক্তিগত জীবনেও ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়ে যায়৷ মা লক্ষ্মীকে ক্রোধে না পড়তে হবে, সবার আগে ত্যাগ করা উচিত এই ৭টি অভ্যাস৷ যে বাড়ির সদস্যেরা নিত্য কলহ করেন, মুখে অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করেন, গালি দেয়, সেই বাড়িতে মা লক্ষ্মী কখনও অবস্থান করেন না৷ নোংরা কাপড় পরিধান করে৷ যাঁরা নোংরা পোশাক পরেন, তাঁদের থেকে মা লক্ষ্মী সবসময় দূরে থাকেন। এমন মানুষ সমাজ জীবনেও অপমানিত হন। একজন মানুষের সবসময় পরিষ্কার পোশাক পরিধান করা উচিত। এটি ব্যক্তিত্বকে উন্নত করে এবং মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতেও সাহায্য করে। বাড়ি ঘর দোর যাঁরা নিয়মিত পরিষ্কার করেন না৷ যে বাড়িতে সবসময় নোংরা জমে থাকে, আবর্জনা ছড়িয়ে থাকে, সবকিছু এলোমেলো ভাবে পড়ে থাকে সেখানে মা লক্ষ্মী কখনওই বসবাস করেন না। এমন বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি আসতে শুরু করে এবং পরিবারে সারাক্ষণ অশান্তি লেগেই থাকে। সকাল-সন্ধ্যা ঘরে আলো না জ্বালানো একটি অত্যন্ত খারাপ অভ্যাস৷ সন্ধে হলে বাড়িতে তো বটেই তুলসী গাছের সামনেও প্রদীপ জ্বালান৷ সন্ধের পরে ঘরদোর অন্ধকার রাখলে, সেখানে মা লক্ষ্মী অবস্থান করেন না৷ ব্রাহ্ম মুহূর্তে এবং সন্ধ্যার সময়ে ভোগ ও আনন্দ থেকে বিরত থাকা উচিত। বিশ্বাস অনুসারে, ব্রাহ্ম মুহূর্তে এবং সন্ধ্যার সময়ে অদম্য আনন্দে ভাগ্য বিপর্যস্ত হয়। শাস্ত্র মতে, এই সময়টি ভগবানের উপাসনা করার সর্বোত্তম সময় এবং এই সময়ে বিলাসিতা করলে মানুষের জীবনে খারাপ সময় নেমে আসে। মা লক্ষ্মীও এমন ব্যক্তির গৃহত্যাগ করেন। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় ঘুমনো অত্যন্ত খারাপ একটি অভ্যাস৷ ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে, সূর্যোদয়ের পরে জেগে ওঠা এবং সূর্যাস্তের সময় ঘুমনো মা লক্ষ্মীকে অসন্তুষ্ট করে। এ ধরনের প্রবণতা মানুষের জীবন জটিলতা ডেকে আনে। যাঁদের এমন অভ্যাস রয়েছে, তাঁরা সবসময় কোনও না কোনও রোগে ভোগেন এবং চিকিৎসার পিছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়।