জ্যোতিষশাস্ত্রের মতো সনাতন ধর্মেও বাস্তুশাস্ত্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এতে মানবজীবন সম্পর্কিত সকল সমস্যার সমাধান ব্যাখ্যা করা রয়েছে। সাধারণ বিশ্বাস, যে বাড়িতে যদি কোনও বস্তু সঠিক দিকে রাখা হয় তবে তা সংশ্লিষ্ট পরিবারের সকল ব্যক্তির সুখ, সমৃদ্ধি এবং শান্তির কারণ হয়।উন্নাওয়ের জ্যোতিষী পণ্ডিত ঋষিকান্ত মিশ্রের মতে, বাড়ি তৈরি করা থেকে শুরু করে সাজানো পর্যন্ত বাস্তুর যত্ন নেওয়া হয়ে থাকে। বাড়ি তৈরির পরে সেখানে লাগানো গাছপালা, জিনিসপত্রের রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদির মধ্যেও বাস্তুর নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। এতে সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। ঠিক সেইরকমই, জল দিয়ে কিছু প্রতিকার করাও শুভ বলে মনে করা হয়।বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, জল ছিটানো তখনই উপকারী হয়, যখন আপনার কাছে এটি সম্পর্কিত বিশেষ তথ্য থাকে। কিছু জিনিস জলে মিশিয়ে যথাযথ সময়ে নিয়মিত বাড়ির মূল দ্বারের সামনে ছিটিয়ে দেওয়া উচিত। এতে ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় বলে মনে করা হয়।বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে, স্নান করার পরে, একটি তামার কলসে জল ভরে বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে নিয়মিত ছিটিয়ে দিন। এই প্রতিকার করলে ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি ও ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়। বাড়ির কলহ থেকেও মুক্তি পেতে পারেন৷জ্যোতিষীরা বলেন, সপ্তাহে একবার বাড়ির মূল প্রবেশপথে লবণ জল ছিটিয়ে দিতে হবে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে লবণ নেতিবাচকতা দূর করে। এছাড়া রোগ ও ত্রুটিও কাছে আসে না।সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান ইত্যাদি করার পর বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে একটি তামার কলসে জল ভরে তাতে এক চিমটি হলুদ মেশান। এরপর মূল দরজার দুই পাশে এই জল ছিটিয়ে দিন। এই প্রতিকার মেনে চললে আশেপাশের পরিবেশ সুস্থ থাকবে এবং ঘরে ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধির অভাব হবে না।
