কর্পূর এমন একটি জিনিস যা প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পাওয়া যায়। কারণ, আরতিতে কর্পূরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কর্পূর আরতি ছাড়া পূজা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। কর্পূরের রয়েছে বিশেষ ধর্মীয় ও বাস্তু তাৎপর্য। রাঁচির জ্যোতিষী সন্তোষ কুমার চৌবে বলেন যে, কর্পূরের সাহায্যে ঘরে সুখ, শান্তি এবং ইতিবাচক শক্তি আনা যায়।জ্যোতিষীরা বলেন, কর্পূর একটি অত্যন্ত শক্তিশালী পদার্থ। কিন্তু, মনে রাখতে হবে আমরা যে কর্পূরের কথা বলছি তা যেন রাসায়নিক দিয়ে তৈরি না হয়, এটি একেবারে খাঁটি কর্পূর হওয়া উচিত। কর্পূর জ্বালালে ঘরের সমস্ত বাস্তু দোষ দূর হয়। বিশেষ করে বাড়ির সদস্যরা যদি অনেক দিন ধরে অসুস্থ থাকেন, তাহলে কর্পূর খুবই উপকারী প্রমাণিত হয়।ঘরে পজিটিভ এনার্জি আসবে-সকালে এবং সন্ধ্যায় আমাদের উপাসনালয়ে কর্পূর জ্বালানো যেতে পারে। এছাড়াও, এটি জ্বালিয়ে সারা বাড়িতে ঘুরিয়ে দেখানো যেতে পারে। কর্পূরে রয়েছে ইতিবাচক শক্তি যা পুরো বাড়ির নেতিবাচক শক্তিকে ধ্বংস করে ঘরকে বিশুদ্ধ করে তোলে।এই কারণেই এটি ঘরকে শুদ্ধ করে এবং ঘরে ধন, গৌরব ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। সেই সঙ্গে কর্পূরের সুগন্ধে মা লক্ষ্মীও খুশি থাকেন।এই কারণেই এটি ঘরকে শুদ্ধ করে এবং ঘরে ধন, গৌরব ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। সেই সঙ্গে কর্পূরের সুগন্ধে মা লক্ষ্মীও খুশি থাকেন।এই কারণেই এটি ঘরকে শুদ্ধ করে এবং ঘরে ধন, গৌরব ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। সেই সঙ্গে কর্পূরের সুগন্ধে মা লক্ষ্মীও খুশি থাকেন।বিজ্ঞানও মেনে নিয়েছে কর্পূরের গুরুত্ব-ধর্ম ছাড়াও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেও কর্পূরে অনেক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে যা ঘরের অণুজীব মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এটি ঘরের ব্যাকটেরিয়া মেরে ঘরকে বিশুদ্ধ করে, যার কারণে ঘরে কোনও রোগ, অসুস্থতা ও নেতিবাচক শক্তি থাকে না। বিজ্ঞানও এই বিষয়টি মেনে নেয়।এই ভাবে বাড়িতে কর্পূর জ্বালানো উচিতজ্যোতিষী আরও জানিয়েছেন যে, কর্পূরের শিখা ভগবান শিবের ধর্মীয় এবং শাশ্বত সত্ত্বার প্রতীক। আমরা কীভাবে আমাদের অহঙ্কারকে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করি এবং অন্যদের জীবনে আলো ও সুগন্ধ ছড়িয়ে দিই তারই প্রতীকী হল কর্পূর আরতি।তাই সকাল-সন্ধ্যা আরতিতে কর্পূর ব্যবহার করা উচিত এবং ঘরের প্রতিটি কোণে সেই কর্পূর ঘুরিয়ে দেখানো উচিত, কয়েকদিনের মধ্যেই এর সুফল দেখা যাবে।
