Viral Video : ‘ছোটদের এত কাজ কেন?’ ৬ বছরের কাশ্মীরি-কন্যার নালিশ ‘মোদি সাহাব’কে! তারপর কী হল?

 

#জম্মু : মাত্র ৪৫ সেকেন্ডের একটা ভিডিও (Viral Video)। ভিডিও শ্যুট করেছে মাত্র ৬ বছরের এক স্কুল পড়ুয়া (6 years Old Kashmiri girl)। অথচ ছোট্ট মেয়ের সেই ছোট্ট ভিডিও-ক্লিপই গত দু’দিন ধরে শাসন করছে নেট-রাজত্ব(Social Media)। ভিডিওতে অনলাইন ক্লাসের পড়ার চাপ নিয়ে রীতিমত গুরুতর অভিযোগ এনেছেন ম্যাডাম একরত্তি। আর অন্য কেউ নন, ছাত্রীর নালিশ কিনা সোজা দেশের প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) কাছে! আর সেই নালিশের আদুরে চয়ন মুহূর্তে মন গলিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনদের।

গত বছর থেকেইকরোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের স্কুল। অনলাইন ক্লাসই ভরসা এখন পড়ুয়াদের। কিন্তু সেই অনলাইন ক্লাসের বোঝাও কিছু কম নয়। ঘরোয়া-স্তরে খুদে ও তাঁদের অভিভাবকদের সেই অভিযোগ যে শোনা যায় না এমনটাও নয়। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে এসে তাই নিয়েই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে অভিযোগ করে বসা নেহাতই অভিনব ঘটনা। গত শনিবার এমনিই এক ভিডিও প্রকাশ করে সক্কলকে তাজ্জব করে দিয়েছে কাশ্মীরের এই ছোট্ট মেয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসনও।

সংক্ষিপ্ত ভিডিও-বার্তায় দেখা যাচ্ছে ৬ বছরের এক খুদে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে। তার দাবি, অনলাইনে পড়ার চাপ বেশি। ছোটদের কেন এতো চাপ দেওয়া হবে। ছোট ওই খুদের দাবি, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত তাদের ক্লাস করতে হয়। পড়ার বোঝা অনেকটাই থাকে উঁচু ক্লাসের মতোই। ইংরেজি, অঙ্ক, উর্দু, ইভিএস এবং আরও বেশ কিছু বিষয়ের ক্লাস চলে। ছোট বাচ্চাদের উপর কেন এতো চাপ দেওয়া হবে ভিডিওতে প্রশ্ন করেন ওই খুদে। পাশাপাশি হোমওয়ার্কের চাপ নিয়েও অভিযোগ করে সে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও দেখার জন্য অনুরোধ জানায় ওই ছাত্রী।

ভিডিও ভাইরাল হতেই সক্রিয় হন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল মনোজ সিনহা। পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসের একটি পলিসি নির্ধারন করার জন্য শিক্ষা দফতরকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন তিনি। নিজেও একটি ট্যুইট করেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল। সেখানে তিনি বলেন, “মিষ্টি অভিযোগ। কিন্তু পড়ুয়াদের উপর বোঝা কমাতে কমাতে হবে। শিক্ষা দফতরকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে উপযুক্ত নীতিমালা তৈরি করতে হবে অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে। ছোটবেলার দিনগুলি পড়ুয়াদের খুশিতে কাটুক।”

ছোট্ট মেয়ের আহ্লাদে ভরপুর এই বার্তায় ততক্ষণে কাঁপছে নেট দুনিয়া। মুহুর্মুহু পড়ছে লাইক আর লাভ ইমোজি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর শেয়ার হয় ও রিট্যুইট হয় সরল সোজা প্রশ্নের এই ভিডিও বার্তা। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখের বেশি ভিউয়ার্স হয়েছে ভিডিওটিতে। নেটিজেনরা ভিডিওটি পোস্ট করে ট্যুইটও করছেন। কেউ লিখেছেন এই ভিডিওর মিষ্টত্ব যেন হিমালয়ের থেকেও উঁচু ! কেউ মেয়েটির প্রশ্নের সুর ধরেই বলেছেন, “আপনি কি শুনছেন মোদি জি? এই বার্তা আরও অনেক ছোটদের মনের অভিযোগও। এর জন্য কিচ্ছু করুন।”

প্রসঙ্গত, এখনও সেই বালিকার কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে সে কাশ্মীরের বাসিন্দা। কিন্তু কাশ্মীরের কোথায় থাকে, তা জানাও সম্ভব হয়নি। আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় সংক্ষিপ্ত এই ভিডিও বিখ্যাত করে তুলেছে সেই নাম না জানা কাশ্মীরি কন্যাকে। আর তারই জেরে শিক্ষা দফতরকেও নতুন পলিসি ঠিক করতে হচ্ছে। এমনকি ট্যুইট করতে হয়েছে রাজ্যপালকেও।