Viral Video: পরম যত্নে ভল্লুকের দাঁত মেজে দিলেন এক ব্যক্তি; ভাইরাল ভিডিও-তে হতভম্ব নেটদুনিয়া

কলকাতাঃ সিংহই হল বনের রাজা। কারণ তারা হিংস্র প্রকৃতির শিকারি পশু। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে, বহু প্রাণীকেই ভয় পায় সিংহ। এর মধ্যে অন্যতম হল ভল্লুক। এমনিতে একাধিক প্রজাতির ভল্লুক দেখা যায়। আর সবথেকে বিপজ্জনক প্রজাতির ভল্লুক হল ব্রাউন বিয়ার বা গ্রিজলি বিয়ার। এজেড-অ্যানিম্যালস ওয়েবসাইট এই দুই পশুর শক্তি বা ক্ষমতার পর্যালোচনা করেছে। তাতে দেখা গিয়েছে যে, সিংকে অনায়াসে হারিয়ে দিতে পারে গ্রিজলি বিয়ার। এমনকী গ্রিজলি বিয়ার সিংহের প্রাণনাশও করতে পারে। তাহলে নিশ্চয়ই কল্পনা করা যাচ্ছে সেই সবথেকে বিপজ্জনক প্রজাতির ভল্লুক অর্থাৎ গ্রিজলি বিয়ারের সামনে মানুষের কী হাল হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ ৫০-এ এসে জাগল বডিবিল্ডিংয়ের সাধ, মহিলার ছবি দেখে এখন ভয় পাচ্ছেন ট্রোলাররা!

কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরেই ইন্টারনেটে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি ব্রাউন বিয়ারের দাঁত মাজিয়ে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। আর এ হেন ভিডিও দেখে শিউরে উঠছেন নেটপাড়ার জনতা। এমনকী অনেকে তো ওই ব্যক্তিকে সুপারম্যান-এর তকমাও দিয়েছেন।

@AMAZlNGNATURE নামে এক ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে হামেশাই আশ্চর্যজনক ভিডিও পোস্ট করা হয়। সম্প্রতি যে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, বিশালাকার একটি ব্রাউন বিয়ারের দাঁত মেজে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। জলে ব্রাশটাকে ভিজিয়ে নিয়ে ভল্লুকটির মুখ বড় করে হাঁ করিয়ে দাঁতের পাটির মাঝখানে হাত রেখে পরম যত্নে দাঁত মেজে দিচ্ছেন তিনি। ওই ভিডিও-র সঙ্গে লেখা হয়েছে যে, এটা রাশিয়ার সাধারণ বিষয়। যার থেকে মনে হচ্ছে যে, ভিডিওটি রাশিয়ার।

ভিডিও-তে ওই ব্যক্তিকে সেনা আধিকারিকের জ্যাকেট পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। ঘরের ভিতরেই বসে রয়েছে ভল্লুকটি। তবে সে ওই ব্যক্তির পোষ্য কি না, সেটা জানা যায়নি। তবে ভিডিও-তে যেটা সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে, সেটা হল, ভল্লুকটির মুখে হাত দিয়ে রাখলেও ওই ব্যক্তির কোনও ক্ষতি করেনি সে।

ভিডিওটি পোস্ট হতেই হু হু করে বাড়তে থাকে ভিউ। কমেন্ট বাক্সে উপচে পড়ছে সকলের প্রতিক্রিয়া। একজন তো আশ্চর্য হয়ে লিখেছেন, “এটা কীভাবে সম্ভব?” আর একজন আবার লিখেছেন, “যাঁরা বলেন যে, তাঁরা নিজেদের পোষ্য কুকুরের দাঁত মাজাতে পারেন না, তাঁদের এই ভিডিওটি দেখা উচিত।” অন্য এক নেটাগরিকের মন্তব্য, “রাশিয়ার ভল্লুকরা মনে হয় বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ।” অপরজন আবার বলেন, “এটা কোনও পোষ্য নয়, সে আসলে বন্ধু।”