Virat Kohli, RCB : ইডেনে আজ বড় রান পেতে মরিয়া কিং কোহলি! চলল বিশেষ অনুশীলন

#কলকাতা: তিনি আধুনিক সময়ের অন্যতম সেরা আইকন। তবুও শেষ ৩৬ মাসে তার চেনা ছন্দ অনেকটাই অস্তমিত। তবুও বড় ক্রিকেটারদের নিয়ে আগাম ভবিষ্যৎবাণী চলে না। সেটাই প্রযোজ্য বিরাট কোহলির ক্ষেত্রে। জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে দেওয়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না সাংবাদিকদের।

আরও পড়ুন – Jos Buttler, IPL play off : ইডেনে বাটলার ঝড়! পিটিয়ে ছাতু করলেন গুজরাতের শামি, ইয়াশদের

মাঠের চারপাশ প্রায় ছ’ফুট উচ্চতার কাপড়ে মোড়া। উঁকি-ঝুঁকি দিয়েও দেখার সম্ভাবনা নেই। কোনও রকমে একটি বিল্ডিংয়ের পাঁচিলে উঠে শুরুর দিকের অনুশীলনে নজর রাখা গেল। কিছুক্ষণ পরে হস্টেলের ছাত্ররাই তাঁদের দ্বার খুলে দিয়ে আমন্ত্রণ জানালেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বলয়ের বাইরে দাঁড়িয়েই বিরাট-দর্শন করছিলেন ছাত্র-অধ্যাপকরা।

পাশের নেটে ব্যাট করা কে এল রাহুল, কুইন্টন ডি’ককদের নজর এড়িয়ে মূল লক্ষ্য ছিলবিরাটের উপরে। বিরাট মাঠে গিয়ে অল্প স্ট্রেচিং করার পরে ব্যাট করতে চলে যান নেটে। আরসিবির ওপেনার হিসেবে তাঁর দায়িত্ব প্রথম ছয় ওভারে যতটা সম্ভব রান বাড়িয়ে নেওয়া। কিন্তু লখনউ সুপার জায়ান্টস দলের দুই তারকা পেসারই বিরাটের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারেন।

শেষ সাক্ষাতে দুষ্মন্ত চামিরার প্রথম বলে আউট হয়ে ফিরেছিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক। কিন্তু তাঁর আরও বড় কাঁটা হয়ে উঠতে পারেন বাঁ-হাতি পেসার মহসিন খান। পিচের কোণ থেকে ডান-হাতি ব্যাটারের বাইরের দিকে বল নিয়ে যান মহসিন। সম্প্রতি বিরাট বাইরের বলে খোঁচা মেরে একাধিক বার আউট হয়েছেন। একই ভুল যাতে আবারও না হয়, তার জন্য কুলবন্ত খেজরোলিয়ার হাতে নতুন বল তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

নেট থেকেই দেখিয়ে দেন তাঁকে বাইরের দিকে বল করা হোক। সুইং সামলাতে স্টেপ-আউট করে বাঁ-হাতি পেসারকে খেলার চেষ্টা করেন বিরাট। যাতে বল সুইং করার আগেই শট নিতে পারেন তিনি। মজার ব্যাপার হল এই ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ আন্তর্জাতিক শতরান পেয়েছিলেন বিরাট।

শেষ আইপিএল সেঞ্চুরি এসেছিল এখানেই। সেই অর্থে ইডেন গার্ডেন্স তার পয়া মাঠ। তবে আজ বৃষ্টি হোক বা নাই হোক, কিং কোহলির ব্যাট থেকে রানের বৃষ্টি দেখার অপেক্ষায় থাকবেন শহরের ক্রিকেটপ্রেমীরা। মহসিন খান, রবি বিষ্ণইদের চ্যালেঞ্জ তিনি কতটা মোকাবিলা করতে পারবেন তার ওপর নির্ভর করছে আরসিবির টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ।