উত্তর দিনাজপুর: গোটা গ্রাম যেন একটা ক্যানভাস। প্রত্যেকটি ঘর দেখলে মুগ্ধ হয়ে যাবে মন। এমনই সেখানকার গ্রামবাসীদের শিল্পকলা। ঘরে ঘরে যেন শিল্পী রয়েছে। এমনই আশ্চর্য সুন্দর গ্রাম থেকে বেড়িয়ে আসার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। বিশেষ করে সেটা যখন রয়েছে একেবারে ঘরের কাছেই মানে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ থেকে মাত্র কয়েক কিমি দূরে মনোহর পুর গ্রামে। যে গ্রামটি ইতিমধ্যে সকলের কাছে আলপনা গ্রাম নামে পরিচিত হয়ে গিয়েছে।
কালিয়াগঞ্জের ছোট্ট একটি গ্রাম মনোহরপুর। সেখানে যেন ঘরে ঘরে শিল্পী। ছোট্ট তিন বছরের শিশু থেকে প্রবীণা সকলের কাছেই তুলির টান যেন ছেলেখেলা। গ্রামের প্রতিটি বাড়ি যেন তাঁদের ক্যানভাস। তাঁদের শিল্পকর্ম সকলকে মুগ্ধ করবে। এই মনোহরপুর গ্রামের নাম তাই আলপনা গ্রাম হয়ে গিয়েছে। এই গ্রামের বাসিন্দাদের শিল্পকর্ম দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে সকলের।সেরকম দেখার বলতে কিছুই নেই এই শিল্পকর্ম ছাড়া। আমরা তো প্রায়ই শহুরে ব্যস্ততা ছেড়ে কোনও গ্রামীণ রিসর্টে সময় কাটাতে চাই। কিন্তু তাঁদের জন্য এই মনোহরপুর গ্রাম আদর্শ বললে ভুল হবে না।
একদিকে একেবারে গ্রামীণ পরিবেশ, আরেকদিকে শিল্পের সমাহার। দু’য়ের মেলবন্ধনে একেবারে মন ভরে যাবে। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের এই এমন মনোহরপুর গ্রামের কথা অনেকেই জানেন না। কালিয়াগঞ্জ থেকে সীতামোড় হয়ে যাওয়ার পথে পড়বে সেই গ্রাম। যাওয়ার পথে পড়বে মাইলের পর মাইল ধানের খেত। এই গ্রামে যায় না কোনও বাস।এই রাস্তায় যেতে হবে টোটো চড়ে। গ্রামে ঢুকতে না ঢুকতেই দেখা মিলবে শিল্পীদের কাজের। গ্রামের পাঁচিল, দেওয়াল সবকিছুই তাঁদের ক্যানভাস হয়ে উঠেছে।এই মনোহরপুর গ্রামকে ছবির গ্রাম বললে ভুল হবে না।
আরও পড়ুন: ঝোপেঝাড়ে অবহেলায় পড়ে থাকে! পাইলসের যম! ক্যালসিয়ামের খনি এই শাক, সারায় সব রোগ
আরও পড়ুন: সারা বছর পাতে রাখতেই হবে! কিন্তু বর্ষায় এই খাবারগুলি পেটে গেলে শরীরের বিরাট বিপদ
সব বাড়িতেই নানা রকমের ছবি রয়েছে সেখানে। এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ রাজবংশী। অসম্ভব সুন্দর সেই সব ছবি। প্রত্যেকটি ছবিতে রয়েছে কোনও না কোনও সামাজিক বার্তা এছাড়া বিভিন্ন দেবদেবীর শিল্পকলা। তাই ছুটির দিনে ঘুরে আসতেই পারেন কালিয়াগঞ্জের মনোহরপুরের এই গ্রাম থেকে।
পিয়া গুপ্তা