লবিবাজির জেরেই হারিয়ে গেলেন বলিউড থেকে… বিস্ফোরক ঐশ্বর্যর প্রাক্তন প্রেমিক! কী হয়েছিল?

রোহিত শেঠি পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘ইন্ডিয়ান পুলিশ ফোর্স’-এ শেষ বার দেখা গিয়েছিল বলিউড অভিনেতা বিবেক ওবেরয়কে। এবার উদ্যোগপতি হিসেবে নিজের সফর সম্পর্কে কথা বললেন তিনি। এদিকে ‘মস্তি’ ফ্র্যাঞ্চাইজি, ‘সাথিয়া’, ‘শ্যুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’ এবং ‘ওমকারা’-র মতো দুর্ধর্ষ ছবি ভক্তদের উপহার দেওয়া সত্ত্বেও বিবেককে কেন রুপোলি দুনিয়া থেকে সরে যেতে হল? এই প্রশ্ন অভিনেতার ভক্তদের মনে ঘুরপাক খায়। সেই বিষয়ে নীরবতা ভেঙে এক বিস্ফোরক দাবি করলেন অভিযোগ। বিবেক জানান যে, বলিউডে লবির জেরে তিনি আর ছবির অফার পান না।

ইন্ডিয়া নিউজ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিবেক ওবেরয় বলেন, “বেশ কিছু সময় ধরে আমি অন্য ব্যবসায় রয়েছি। আমার জীবনে এমন একটা সময় ছিল, যখন আমার প্রায় সমস্ত ছবিই হিট হত। আমার অভিনয়ও প্রশংসিত হত। তবুও অন্যান্য কারণে যখন আর ছবির অফার পাওয়া যায় না, তখন বুঝতে হবে যে, আপনি সিস্টেম ও লবির শিকার। সেই সময় আপনার হাতে মাত্র দুটো বিকল্প থাকে। হয় মানসিক অবসাদে ডুবে যাওয়া কিংবা বিষয়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে নিজের ভাগ্য নিজের হাতে লেখা। আমি পরেরটা বেছে নিয়েছি। যার ফলে আজ আমি একাধিক ব্যবসা শুরু করতে পেরেছি।”

প্রসঙ্গত বলিউড সুপারস্টার সলমন খানের সঙ্গে এক ঝামেলার পরেই বিবেকের কেরিয়ারের ভরাডুবি হয়। ২০০৩ সালের এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিবেক অভিযোগ করেছিলেন যে, সেই সময় ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে সলমন খান তাঁকে হুমকি দিচ্ছিলেন। এরপরে অবশ্য ঐশ্বর্যের সঙ্গে সম্পর্কে ভেঙে যায় বিবেকের। ২০০৭ সালের এপ্রিলে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন ঐশ্বর্য। এরপর ২০১১ সালে তাঁদের জীবনে আসে কন্যাসন্তান আরাধ্যা।

এদিকে কেটে গিয়েছে দুই দশক। ওই বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে মুখ খুলেছেন বিবেক। বলিউডের লবিবাজি এবং দমনমূলক নীতির কথা তুলে ধরেন। এমনকী এই বিষয়টাকে ইন্ডাস্ট্রির অন্ধকার দিক বলেও দেগে দেন বিবেক। কিন্তু সেই সময়টা কীভাবে নিজেকে সামলেছিলেন অভিনেতা? সেই প্রসঙ্গে সম্প্রতি বলিউড হাঙ্গামার কাছে মুখ খুলেছেন অভিনেতার বাবা সুরেশ ওবেরয়।

সুরেশ কথায়, “এটা ওর ক্ষমতা যে, ও এর মধ্যে দিয়ে যেতে পেরেছে। যদি এটা অন্য কেউ হতেন, তাহলে তিনি হয়তো মদ কিংবা মাদকেই ডুবে যেতেন। মানুষ একেবারেই ওর বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল। সংবাদমাধ্যম আর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মানুষজন, এমনকী অভিনেতারাও… আসলে কিছু মানুষ যখন দ্রুত সাফল্য পায়, তখন কেউ সেটা নিতে পারেন না।”