কলকাতা: রাজ্যে প্রথম দফার লোকসভা ভোট আগামী ১৯ এপ্রিল। এখন লক্ষাধিক ভোটারের কাছে পৌঁছল ভোটার আইডি কার্ড। যা নিয়ে এবার অসন্তোষ কমিশনের। কেন পৌঁছাচ্ছে না ভোটার কার্ড? কেন সমন্বয়ের অভাব? তা নিয়ে এ বার কমিশন রাজ্যের জেলাশাসক তথা ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসারদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিল কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, যত সংখ্যক ভোটার আইডি কার্ড ছাপা হয়েছে আর যত সংখ্যক ভোটার কার্ড পাঠানো হয়েছে তার সঙ্গে অনেকটাই ফারাক আছে। কমিশন সূত্রে খবর, লক্ষাধিক ভোটার আইডি কার্ড না পাঠানোয় এবার জেলাশাসকদের সরাসরি মনিটর বা নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩৭ টি ভোটার আইডি কার্ড ছাপানোর জন্য ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়। যার মধ্য এখনও পর্য্ন্ত ২৫ লক্ষ ৬৪ হাজার ৪৩৫টি ভোটার কার্ড পাঠানো হয়েছে ভোটারদের কাছে।বাকি ভোটার কার্ড মূলত বুকিং ও কার্ড পৌঁছে না দেওয়ার জন্য এত সংখ্যক ভোটার কার্ড পৌঁছানো যায়নি। কমিশন সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজ্যের সব জেলাশাসক ও ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসারদের এই সমস্যা সমাধানের দ্রুত নির্দেশ দেন। পাশাপাশি রাজ্যে আগামী সপ্তাহে দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক আসছে।
কমিশন সূত্রে খবর, বিশেষ পুলিশ অবজারভার হিসাবে অনিল কুমার শর্মা, বিশেষ সাধারণ অবজারভার হিসাবে অলোক সিনহাকে পাঠাচ্ছে কমিশন।এদিনই জানানো হয়েছে সিইও দফতরকে। খুব শীঘ্রই রাজ্যে আসছেন তাঁরা। রাজ্যের সাত দফা নির্বাচন পরিচালনা করবেন তারা। এপ্রিল এর প্রথম সপ্তাহেই আসবেন তাঁরা বলে কমিশন সূত্রে খবর। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহের শুরুতে রাজ্যে আরও বাহিনী আসতে চলেছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। অন্য দিকে, বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্যর অভিযোগে শো কজ করা হলেও এখনও তিনি কোনও উত্তর দেননি বলেই কমিশন সূত্রে খবর।
রাজ্যের সি ই ও আরিজ আফতাব জানিয়েছেন ” ভোটদানের জন্য ১৪ টি ডকুমেন্ট থাকে। শুধু ভোটার কার্ড নয় যেকোনো একটি ডকুমেন্ট দেখিয়ে ভোটদান করা যায়। তবুও আমরা ১০০% চেষ্টা করছি সকলের কাছে ভোটার কার্ড পৌঁছে দেওয়ার। ভোটার তালিকা নাম তোলা যেমন ভাবে প্রক্রিয়া তিনি ভোটার কার্ড তৈরি করে তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। হয়তো সব ভোটারের কাছে এখনো পর্যন্ত কার্ড আমরা পৌঁছতে পারিনি। কিন্তু সেটা খুবই কম গ্যাপ। তা না অন্য ডকুমেন্ট দেখিয়ে ভোট দিতে পারবেন তবু আমরা চেষ্টা করব যাতে কেউ ছোট গ্যাপ যত শীঘ্র সম্ভব পূরণ করা যায়।”
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়