সম্প্রতি ভারতের টি-২০ অধিনায়ক হয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। ফলে তাঁর এখন বাজার দর অনেকটাই বেড়েছে। তার মধ্যে হার্দিক পান্ডিয়া মুম্বইয়ের ক্যাপ্টেন হওয়ার পর থেকে দলের মধ্যে চাপা অসন্তোষ চলছেই।

Surya Kumar Yadav: কার জন্য এত সফল? বিশ্বকাপ জয়ের পর গোপন কথা ফাঁস করলেন সূর্যকুমার

মুম্বই: প্রত্যেক সফল পুরুষের পিছনেই এক জন নারীর অবদান থাকে। এই প্রবাদবাক্য কতটা সত্যি? সূর্যকুমার যাদবের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ। টি২০ বিশ্বকাপ জেতার পর নিজেই স্বীকার করেছেন এই কথা। ক্যামেরার সামনে বলেছেন, স্ত্রী দেবীশা শেঠিই তাঁকে টুর্নামেন্ট জুড়ে শান্ত রেখেছেন। শিখিয়েছেন নম্র হতে।

বার্বাডোজে টি২০ বিশ্বকাপ জেতার পর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি সূর্যকুমার। চোখে জল আর মুখে হাসি নিয়ে বলেন, “এখন কী বলা উচিত আমি জানি না। আসলে এইমাত্র কী ঘটল সেটাই বুঝতে পারছি না। একটা ঘোরের মধ্যে আছি। এক বা দুই দিন সময় লাগবে। ভারতের মাটিতে পা রাখলে হয়তো বুঝতে পারব কী হয়েছে”।

আরও পড়ুন: টি২০ থেকে অবসর নিলেও টেস্ট এবং ওডিআই খেলবেন বিরাট-রোহিত, মাঠে নামবেন কবে?

সূর্যকুমারের এমন আবেগমাখা বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিসিসিআই। ক্যাপশনে লেখা, “বার্বাডোজে জয়ের পর আবেগে ভাসছেন সূর্যকুমার”। পোস্টের কমেন্টে সূর্যকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। সবার মুখেই সেই অবিশ্বাস্য ক্যাচের কথা। একজন লিখেছেন, “ওটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট সূর্য”। অধিকাংশ নেটিজেনই একমত। তাঁরা লিখেছেন, “আমাদের চ্যাম্পিয়ান সূর্যর সেরা ক্যাচগুলোর মধ্যে এটা অন্যতম। অভিনন্দন স্যর”।

এমন ক্যাচের পর বিসিসিআইকে ফাইনাল ম্যাচের বল সূর্যকুমারকে উপহার হিসেবে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন এক ক্রিকেট অনুরাগী। তিনি লিখেছেন, “সূর্যকুমারের ওই অবিশ্বাস্য ক্যাচের পর ফাইনাল ম্যাচের বল উপহার হিসেবে তাঁকে দেওয়া হোক। বিসিসিআই বিষয়টা দেখুক”।

—- Polls module would be displayed here —-

শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ৬ বলে ১৬ রান। হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলে বাউন্ডারি লাইন থেকে দুর্দান্ত ক্যাচে ডেভিড মিলারকে ফেরান সূর্যকুমার। অনেকেই বলছেন, ওই ক্যাচই ভারতের জয়ের রাস্তা খুলে দেয়। বিসিসিআই-এর শেয়ার করা ভিডিওতে সূর্যকুমার বলছেন, “শুধু এই মুহূর্তটাই বাঁচছি। পরিবারের সঙ্গে সবকিছু উপভোগ করছি”।

নিজের সাফল্যের পিছনে স্ত্রী দেবীশা শেঠির অবদান রয়েছে বলে জানান সূর্যকুমার। ম্যাচ শেষে স্ত্রীকে টেনে আনেন ক্যামেরার সামনে। দেবীশাকে পাশে নিয়ে বলেন, “পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে আমাকে শান্ত রেখেছে। নম্র রেখেছে।” তারপর বিশ্বকাপ দেখিয়ে বলেন, “আমরা এই নিয়ে কথা বলিনি। কিন্তু মনে মনে ভেবেছিলাম, এটা নিয়েই বাড়ি ফিরব। আমি খুশি”।