#ওয়াশিংটন: ভিডিওটি দেখলেই এক মুহূর্তের মধ্যে মন ভালো হয়ে যায়। বরফে ঢাকা চারদিক। আর সেই বরফের প্রান্তরে নিজেদের মতো করে খেলাধূলায়-আনন্দে মেতে উঠেছে পান্ডারা। সম্প্রতি, ওয়াশিংটন DC-র স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল জু অ্যান্ড কনজারভেশন বায়োলজি ইনস্টিটিউটের তরফে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। আপাতত পান্ডাদের এই বরফ প্রেমের ভিডিওতেই মজেছেন নেটিজেনরা।
❄️? Slides, somersaults and pure panda joy. Happy snow day from giant pandas Mei Xiang and Tian Tian! ??
. . . #SnowDay #PandaStory pic.twitter.com/my02GwnPFL— National Zoo (@NationalZoo) January 31, 2021
স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল জু অ্যান্ড কনজারভেশন বায়োলজি ইনস্টিটিউটের ক্যাপশান সূত্রে জানা গিয়েছে, জায়ান্ট পান্ডাদু’টির নাম মেই জিয়াং (Mei Xiang) ও টিয়ান টিয়ান (Tian Tian)। সব ভুলে নিজেদের মতো করে বরফের চাদরে খেলতে শুরু করেছে তারা। কখনও গুটি-গুটি পায়ে উপরে উঠে আসছে। কখনও চিত হয়ে শুয়ে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। কখনও আবার গড়াগড়ি খাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ব্যাপক মাত্রায় ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি। শুধুমাত্র ট্যুইটারেই ২.৫ মিলিয়ন বারের বেশি দেখা হয়েছে। ৫১ সেকেন্ডের এই ভিডিও ক্লিপে লাইক পড়েছে ৮২,০০০। ২৪,০০০ বারের বেশি রি-ট্যুইটও করা হয়েছে।
বলা বাহুল্য নেটিজেনদের নজর কেড়েছে পান্ডাদের এই মজার ভিডিও। ন্যাশনাল জু কর্তৃপক্ষকে এই ধরনের আরও ভিডিও পোস্ট করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। কমেন্ট বক্সেও সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এক ব্যবহারকারী লেখেন, আমার দিনটিকে আরও সুন্দর করে তোলার জন্য ন্যাশনাল জু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। পান্ডাদের বরফপ্রেম দেখে রীতিনতো উচ্ছ্বসিত সকলে। অনেকে আবার মজা করে লিখেছেন, এই পান্ডারা বুঝিয়ে দিচ্ছে কী ভাবে লকডাউন পরিস্থিতিকে উপভোগ করা যায়!
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই চিনের সিচুয়ান প্রদেশের জঙ্গলে বিরল প্রজাতির অ্যালবিনো পান্ডাকে দেখা গিয়েছিল। জায়ান্ট পান্ডা ন্যাশনাল পার্কের WeChat অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়েছিল সেই সংক্রান্ত দু’টি ভিডিও। এর মধ্যে প্রথম ভিডিওতে দেখা যায়, জঙ্গলে একটি গাছের গোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সাদা অ্যালবিনো পান্ডা। দিন তিনেক পরে রেকর্ড করা আর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ছোট্ট নদী পেরোচ্ছে এক অ্যালবিনো পান্ডা। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে পুরো পৃথিবী জুড়ে আর মাত্র ১,৮৬৪টি অ্যালবিনো পান্ডা বেঁচে আছে। গবেষকদের একাংশের মতে, এর পিছনে দায়ী এই প্রজাতির জেনেটিক মিউটেশন। এর জেরে আর বংশবিস্তার করতে পারছে না এই অ্যালবিনো পান্ডারা!