নয়াদিল্লি: প্রবল বৃষ্টিতে ভয়াবহ ভূমিধস৷ কাদা, মাটি, পাথরের নীচে জীবন্ত চাপা পড়ে কেরলের ওয়ানাডে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১৫০ জন৷ উদ্ধারকাজ চলছে এখনও৷ এরই মধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দোষারোপ পাল্টা দোষারোপ৷ কেন ছিল না দুর্যোগের আগাম খবর? কেনই বা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে সরব হয়েছেন বিরোধীরা৷
আর এদিকে দুর্যোগ নিয়ে রাজ্যসভায় বিবৃতি দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, কেরল রাজ্য প্রশাসনকে নাকি এক সপ্তাহ আগেই দুর্যোগের পূর্বাভাস নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল৷ তা সত্ত্বেও তাতে কর্ণপাত করেনি পিনারাই বিজয়নের সরকার৷
রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এহেন অভিযোগকে অবশ্য সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন৷ কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ভূমিধসের আগে আবহাওয়া দফতরের তরফে শুধুমাত্র ওই এলাকার বৃষ্টিপাতের উপরে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল৷ কিন্তু, ওই জেলায় ৫০০ মিলিলিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের তুলনায় যা ঢের ঢের বেশি৷
এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যের পরে সাংবাদিক বৈঠক করে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সকালে যখন ভূমিধসের ঘটনা ঘটল, তার পরেই একমাত্র ওই এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল৷’’ এরপরেই পিনারাই বিজয়নের মন্তব্য, এটা একে অপরকে দোষারোপ করার সময় নয়৷
রাজ্যসভায় বিবৃতি দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুধবার জানান, গত সপ্তাহেই প্রবল বৃষ্টিতে ওয়ানাডে সম্ভাব্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে কেরল রাজ্য সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে৷ পাঠানো হয়েছিল ৯ দল কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও৷
রাজ্যসভার বক্তৃতায় অমিত শাহ দাবি করেন, কেরলের পিনারাই বিজয়নের সরকারকে সপ্তাহ খানেক আগেই সে রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলে ধস নামার বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, তাঁরা সেই সতর্কবার্তায় কর্ণপাত করেননি৷ এমনকি, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পৌঁছনোর পরেও তাঁরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ শাহের৷